স্বার্থপর আর বিশ্বাসঘাতকেরাই ভালো থাকতে পারে ।। পৃথিবীর অঘোষিত সংবিধান
নমস্কার,
নিজের হাতের পাঁচ আঙ্গুল যেমন সমান নয়। তেমন পৃথিবীতে সব মানুষ সমান নয়। এক এক জনের মন এক এক রকম। তাদের চিন্তা ধারা এক এক রকম। কেউ আছে যারা পরের জন্য নিজের সবটা উজাড় করে দিতে পারে। আবার কেউ আছে প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলেই চলে যাবে। অন্যের কি ক্ষতি হলো না হলো এতে তাদের কিছুই যায় আসে না। এভাবেই চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। হয়তো সৃষ্টির নিয়ম এটাই। ভালো মন্দের ভারসাম্য রক্ষা করতে এছাড়া বিকল্প কোন রাস্তা আর নেই হয়তো।
হাজারো নকলের ভিড়ে আসল জিনিসটাকে সামনে খুঁজে পেতে এই লোভী এবং স্বার্থপর মানুষেরাই আমাদের সাহায্য করে সবচেয়ে বেশি। সেই দিক থেকে ভাবলে এই শ্রেণীর মানুষদের কাছে একদিক থেকে কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। হয়তো তাদের জন্যই আমাদের ভেতরের জ্ঞানচক্ষুর দ্বার উন্মোচিত হয়। নতুন করে বাঁচতে শিখি। নতুন করে ভাবতে শিখি।
তবে দুধের মাছি হয়ে যারা আমাদের জীবনে আসে তারা এমন এমন কিছু ক্ষতি করে দিয়ে যায় যার যন্ত্রণা সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয়। আমাদেরই বা দোষ কোথায়! কারো গায়ে যদি একটা সিল দেওয়া থাকতো যে সে বেঈমান অথবা বিশ্বাসঘাতক তাহলে কি আমরা সেই পথে পা বাড়াই! আমার কাছে বিশ্বাস জিনিসটা একটা স্বচ্ছ কাঁচের মত। যেটা একবার ভেঙ্গে গেলে আর সহজে জোড়া লাগে না। কখনো যদি জোড়া লাগেও তবুও একটা দাগ থেকেই যাবে সারা জীবনের জন্য।
সেই দাগ আমাদের মনে চিরস্থায়ী ভাবে জায়গা করে নেয়। কোন কাছের মানুষের ওপর সেই আস্থাটা আর কখনো আসে না। কিন্তু যারা বিশ্বাসঘাতক , যারা স্বার্থপর তারা দিব্যি সুখেই ঘর করে যায়। কোথাও কোন সমস্যা নেই তাদের। হাসি খুশিতে মত্ত তাদের জীবন। আচ্ছা এটা পৃথিবীর কেমন সংবিধান বলতে পারেন!!! এই শ্রেণীর মানুষ গুলো সত্যিই কি কখনো সাজা পায়? নাকি সাজা পেলেও সেটা আমরা বুঝতে পারি না! এর উত্তর আমার জানা নেই।
পৃথিবীটা মিষ্টি কথার পূজারী। হোক না সেটা দুষ্টু লোকের মিষ্টি কথা। হোক না তার মুখে মধু আর অন্তরে বিষ। লোকচক্ষুর আড়ালে গিয়ে এই মানুষ গুলোই প্রতিনিয়ত আমাদের প্রতারিত করে চলেছে। আর সবচেয়ে বড় কথা এই শ্রেণীর মানুষগুলোর অভিনয় করতে খুব ভালো পারে। চোখের জলে ভোলাতে জুড়ি নেই তাদের। নিজেকে ভালো রাখতে এবং নিজের কাজ হাসিল করতে যতটা নিচে নামা সম্ভব সে রাজি। দিনশেষে এই সকল মানুষেরাই প্রকৃত সুখী হয়ে আমাদের চোখের সামনে ধরা দিচ্ছে। আর আমরা এক বুক কষ্ট আঁকড়ে ধরে পার করছি প্রতিটা রাত।
তবে আমি ঈশ্বরকে বিশ্বাস করি। জানি আমাদের কর্ম অনুযায়ী ফল তিনি নিশ্চয় আমাদের দেবেন। সেটা দুদিন আগে অথবা পরে। হয়তো তার প্রিয় মানুষদের বার বার প্রতিকূলতায় ফেলে ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়ে থাকেন। সত্যি বলতে মিষ্টি ফল গাছে বার বার ঢিল ছুড়ে মারবে এটাই বাস্তবতা। আসলে সব কিছুই মানি, সব কিছু বিশ্বাস করি। কিন্তু কখনো কখনো শান্তু মন টাও অশান্ত হয়ে যায়। একা একাই শত মহাকাব্য রচনা করে ফেলি চোখের পলকেই। এভাবেই নিয়ম মেনে চলছে প্রতিটা দিন , প্রতিটা রাত, প্রতিটা মুহূর্ত।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন স্বার্থপর এবং বিশ্বাসঘাতক রাই ভালো থাকে। গল্পটি পড়ে অনেক কিছু উপলব্ধি করতে পারলাম। আসলে আমাদের সাথে কেন এমন হয়, সত্যি কথা বলতে কি, নিন্দুক যদি না থাকতো তাহলে আপনি নিজের ভুলগুলো দেখবেন না এবং সচেতন হবেন না। আর স্বার্থপর বেইমান মানুষ ভালো থাকে এ কারণে, কারণ তাদের কাছে পরকাল নেই। উপরওয়ালা তাদের জন্য রেখেছেন পরকালে কঠিন শাস্তি যা তাকে হাজার হাজার বছর অনুশোচনার ভুগতে হবে। আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে আপনার গল্পটি শেয়ার করেছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
খুব ভালো লাগলো ভাই এভাবে পুরো লেখা পড়ে নিজের মতামত প্রকাশ করার জন্য।
বাহ্ বেশ ভারী ভারী কথা লিখেছো ভাই । দুনিয়াটা এমনি রে ভাই । দেখো শেখো নিজেকে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে , এগিয়ে চলার চেষ্টা করো । বেশ যুক্তি ছিল লেখাতে ।
অনেক কিছু নতুন করে জানছি শুভ ভাই। মানিয়ে নিতে একটু প্রবলেম হচ্ছে তবে আমি পারবো এই বিশ্বাস রেখেই এগোনোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। ভালোবাসা রইলো ভাই।
অনেক ভাল লিখেছেন ভাই। স্বার্থপর ব্যক্তিরা নিজেরা ভাল থাকতে পারে কিন্তু কাউকে ভাল রাখতে পারে না। ভাল লেগেছে আপনার লেখা। আপনার কন্টেন্ট গুলো খুব ইউনিক হয়। ভাল লিখেন। চালিয়ে যান। নিয়মিত চেক করি আপনার পোস্ট। ভালবাসা রইল
অল্প কথায় অনেক দামি কিছু কথা বলে গেলেন ভাই। সত্যি ভালো লাগলো খুব। অনেক ভালো থাকবেন।
আমি মনে করি সবটাই সৃষ্টিকর্তার পরীক্ষা। তিনি দেখেন শেষ পর্যন্ত আমরা তার উপরে কতটা আস্থা রাখি এবং কতোটা মানুষ চিনতে পারি। আসলে আমাদের চারপাশটা এমনই।
একদম খাটি কথা বলেছেন আপু। অল্প কথায় অনেক সুন্দর করে অনুভূতি প্রকাশ করলেন। ভালো লাগলো খুব।