প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন
নমস্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। সত্যি বলতে এই গরমে কি করে যে ভালো থাকা যায় এটাই এখন সবার মুখে মুখে। প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ চারপাশ। গরমের তীব্রতা সহ্যের সীমাকে অতিক্রম করে গিয়েছে। ধীরে ধীরে আমরা কোন দিকে যে ধাবিত হচ্ছি সেটা হয়তো নিজেরাই অনুমান করতে পারছি। জলবায়ু পরিবর্তন পুরো বিশ্বকে হুমকির মুখে দাঁড় করে দিয়েছে। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। অথচ এই মানুষই প্রকৃতির কাছে কতটা অসহায় সেটা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে।
এই গরমে খেটে খাওয়া মানুষদের কথা ভাবলেই চোখ কপালে উঠে যায়। যেখানে ঘর থেকে বের হওয়া টাই কষ্টের সেখানে তীব্র রোদের ভেতরে কাজ করাটা কতটা যন্ত্রণার সেটা যে করছে সেই শুধু বুঝতে পারছে। যারা অফিসে বসে কাজ করছেন তারা হয়তো কিছুটা হলেও শান্তিতে আছেন। অফিসে যেটুকু সময় এসিতে থাকা যায় তখন খুব আরাম পাওয়া যায়। তবে যেই অফিস থেকে বাড়িতে ফিরতে হয় সাথে সাথে পুরো শরীরে যেন আগুন ধরে যায়। রীতিমতো ঘুমোতে পারছি না দুই রাত হলো। একটু পরপরই শরীর ঘেমে উঠছে। অনেকের দেখলাম এই ঘাম বসে ঠান্ডা লেগে গিয়েছে। কেউ কেউ আবার জ্বরেও আক্রান্ত হচ্ছে। এমন বাজে আবহাওয়াতে সাবধানতার কোন বিকল্প নেই আর।
আজ অফিস থেকে ফিরে ভেবেছিলাম একটু ঘুমাবো। কিন্তু গরমের ঠেলায় সেই শান্তিটুকু আর পাওয়া হয়নি। সামনের সপ্তাহে বাড়িতে যাব। বাবার জন্য একটা শার্ট কিনতে আড়ংয়ের শোরুমে গিয়েছিলাম। এই গরমে বিন্দুমাত্র ইচ্ছে ছিল না বের হওয়ার। কিন্তু আজ বাইরের না গিয়েও কোন উপায় ছিল না। বাড়িতে ফেরার পরে আমার অবস্থা পুরোই কেরোসিন। সাথে সাথে একটা স্যালাইন খেয়ে নিলাম। একটু পর কিছুটা স্বস্তি বোধ করলাম।
গ্রীষ্মের শুরুতেই যদি এরকম আবহাওয়া চলতে থাকে, না জানি পরে আরো কত ভয়ংকর রূপ আমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে। আমার তো এসব কথা মনে হলেই ভয়ে গা শিউরে ওঠে। গাছ লাগানোর কোন বিকল্প নেই। আমার মনে হয় যদিও অনেকটা দেরি হয়ে গেছে তারপরেও এখনো হয়তো হাতে কিছুটা সময় বাকি আছে। যদি আমরা সঠিকভাবে পরিবেশের দিকে একটু নজর দেই, বেশি বেশি করে বৃক্ষ রোপন করি, তাহলে হয়তো এখনো বাঁচার রাস্তা খোলা আছে। তাই আসুন আমরা সময় থাকতে সচেতন হই এবং অন্যকেউ পরিবেশ নিয়ে সচেতন করে তুলি।
ভাই এত পরিমাণে গরম বেড়েছে যেটা বলার না, বাইরে বের হওয়া তো দূরের কথা খাওয়া-দাওয়া ঘুম সবকিছুই যেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে আমার মনে হয় যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে একটা উদ্যোগ নেওয়া যায় তাহলে বেশি ভালো হয়, মাথাপিছু একটি করে গাছ লাগালে অনেকটা স্বস্তি পাওয়া যাবে বলে মনে করি।
ভালো একটা আইডিয়া দিয়েছেন ভাই। সবাই যদি এভাবে ভাবতো তাহলে হয়তো দেশটা বদলে যেত। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
হ্যাঁ প্রচন্ড তাপদাহ ে অতিষ্ঠ জনজীবন। বিশেষ করে কর্মজীবী মানুষের জন্য অনেক কষ্টের। তাদের জীবনযাত্রা কর্মের মাধ্যমে চালিয়ে যেতে হয়। এই প্রচন্ড গরমে যেটা তাদের জন্য আরো কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটা ভাবতেও খারাপ লাগে। গ্রামীণ পরিবেশে যারা থাকে হয়তো গাছ তলায় গিয়ে একটু তৃপ্তি পেয়ে থাকে শহরের অবস্থা তো খুবই খারাপ।
আজকাল গ্রামেও খুব একটা গাছপালা আর দেখা যায় না। ভোগান্তি সব খানেই প্রায় সমান। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
এই গরমে ঘরের মধ্যেই টিকতে পারিনা আর বাইরে যাওয়ার কথা তো চিন্তাই করা যায় না। বাচ্চাদের স্কুল আরো এক সপ্তাহ বন্ধ দিয়েছে জন্য বেঁচে গেলাম। তা না হলে তো আজকে অবস্থা খারাপ হয়ে যেত। এই গরমের জন্য প্রকৃতিকে দোষ দিয়ে কোন লাভ নেই। এই এরকম পরিবেশ আমরাই তৈরি করেছি অনবরত গাছ কেটে কেটে এবং বিল্ডিং তৈরি করে। সামনে আমাদের জন্য কি ঝুঁকি অপেক্ষা করছে তা আমরা কেউই জানিনা। সুস্থ থাকাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে এখন।
এভাবে চলতে থাকলে কাউকে আর সুস্থ থাকতে হবে না আপু। একে একে সবাইকে অসুস্থ হতে হবে। অবস্থা সত্যিই খুব করুণ। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এই গরমে যেন কোন কিছু একেবারেই ভালো লাগতেছে না। গরমে নাজেহাল অবস্থা হয়ে গিয়েছে। বাহিরে তো একেবারে বের হওয়া যাচ্ছে না তবুও যেতে তো হবেই। যারা দিনমজুর তাদের কি অবস্থা এটা তো ভাবতেই কষ্ট হয়। সামনে নাকি গরমের তাপমাত্রা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে। আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে স্কুল কলেজ সবকিছুই বন্ধ দিয়ে দিয়েছে অলরেডি সাত দিনের জন্য। অনেকেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে এরকম আবহাওয়ার জন্য। অনেক সুন্দর করে আপনি এটা লিখেছেন পড়ে খুব ভালো লাগলো।
এভাবে চলতে থাকলে বেচেঁ থাকা কঠিন হয়ে যাবে ভাই। এই করুন অবস্থা থেকে আদেও আমরা মুক্তি পাব কিনা এটাই এখন ভাবার। ভালো থাকবেন ভাই।
ব্যাপার টা খুবই ভয়াবহ দিকে যাচ্ছে ভাই। আমি তো প্রয়োজনেও বাইরে যাচ্ছি না। বাইরে যেতে হলে সন্ধ্যার পর যায়। কিন্তু তারপরও তখনও বেশ ভালো গরম লাগে। এই গরমে খেটে খাওয়া মানুষদের কে কোনকিছুর পরোয়া না করেই বাইরে বের হতে হচ্ছে। কোন উপায় নেই তাদের। কী জানি সামনে আরও কী অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।
সামনে আমাদের চরম মূল্য দিতে হবে ভাই। ধুকে ধুকে মরতে হবে আমাদের। এছাড়া তো আর কোন রাস্তা আমার চোখে পড়ে না। দোয়া করবেন ভাই।
গরমের কথা কি বলবো। গরম দিন দিন এত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, মানুষের অবস্থা একেবারে খারাপের দিকে চলে যাচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষ অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়তেছে এই গরমের কারণে। গরমের কারণে অনেকেই মারাও যাচ্ছে। প্রত্যেকটা মানুষের জন্য এখন বৃষ্টিটা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বৃষ্টি হলে মনে হয় সবকিছু একেবারে ঠান্ডা হয়ে যেতো। গরম এখন এত বেশি যে, গাছের বাতাসও আর গায়ে লাগছে না। এই সময়টাতে সবার উচিত অনেক বেশি সচেতন হওয়া। বৃক্ষরোপণ টা সব থেকে বেশি জরুরী। বৃক্ষরোপণ বেশি করে করলে হয়তো আমরা গরমের হাত থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাবো।
এখনো হয়তো আমাদের হাতে সময় আছে গাছ লাগানোর। সেটা না হলে একটা সময় রোদের তাপেই পুড়ে ছাই হয়ে মরতে হবে।