সকাল সকাল মিষ্টি নিয়ে তুলকালাম
নমস্কার,,
সকাল ৭টা ২০ মিনিট থেকে ফোন আসতে শুরু করেছে। কারণ আর অন্য কিছুই না, আমি যেন ঘুম থেকে উঠে সময় মত বেড়িয়ে পরি। বন্ধু আসছে টাঙ্গাইল থেকে। ফরিদপুর যাবে আজই। আমি শ্যামলী তে থাকি তাই গাবতলী যেতে বলছে বার বার। ১০ মিনিটের জন্য শুধু। কি আর করা। ফ্রেশ হয়ে বেরোলাম ৯ টার দিকে। এত সকাল থেকে ফোন দেওয়ার একটাই কারণ আমি সময় মত কোথাও পৌঁছাতে পারি না। সকাল সাড়ে আটটার মাঝে মোটামুটি চার বার ফোন করেছে। আসলে আমি ফোনে বলি একটা করি আরেকটা 😉। তাই আমার সাথে ফোনে বিশ্বাস কম। হিহিহিহি।
আমি নয় টা পনেরর দিকে পৌঁছে যাই গাবতলী বাস টার্মিনাল। দশ মিনিট লাগে যেতে। খুব কাছে। জ্যাম ছিল না একদম। তো আমি পৌঁছার সাথে সাথেই বন্ধুর গাড়ি এসে পৌঁছায়। একটু দূরেই নামিয়ে দিল। আমি রাস্তার পার হয়ে বন্ধুর দিকে হাঁটা শুরু করলাম। দশ মিনিটের মাঝেই পেয়ে গেলাম দেখা। স্বাভাবিক ফাজলামো শুরু হলো। এবার কথা বলতে বলতেই দেখি বন্ধুর মুখ কালো হয়ে গেল। জিজ্ঞেস করতেই বলল, আমার জন্য টাঙ্গাইল থেকে মিষ্টি নিয়ে এসেছিল কিন্তু সেটা বাসে রেখেই নেমে পরেছে। বাস ততক্ষণে টেকনিক্যাল পার হয়ে খালেক ফিলিং স্টেশনে চলে গেছে ওদের কাউন্টারে।
মনটা চাইছিল একটা ইট তুলে মাথায় মারি। তখন অবশ্য বুঝতে পারলাম কেন এত তাড়া দিয়ে আমাকে টার্মিনাল নিয়ে এসেছে। সে যাই হোক কি আর করা। আমরা গাবতলী বাস টার্মিনাল এর ভেতরে ঢুকে ফরিদপুর যাওয়ার জন্য একটা টিকিট কেটে রাখলাম। দশ টায় বাস। হাতে ছিল বিশ মিনিট সময়। আমার বন্ধু আর আমি বসে কিছুটা গল্প করলাম আইস্ক্রিম খেতে খেতে। তারপর ওকে আমি বললাম টেকনিকেল বাসের কাউন্টারে একবার ফোন দেয়ার জন্য। যদি মিষ্টির প্যাকেট টা ওরা রেখে দেয়। কারন আমার তো ওই দিক দিয়ে ফিরতে হবে যাওয়ার সময় তাহলে নিয়ে যাব। বাসের কাউন্টারে ফোন দিয়ে সব খুলে বলল। ওনারা বললেন প্যাকেট পেলে রেখে দেবেন।
যথারীতি একটু ফাজলামো হচ্ছিল এসব নিয়ে। তারপর ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে গাড়ি দশ টায় ছেড়ে দিল। আর আমি টেকনিক্যাল এর দিকে রওনা দিলাম। বাস কাউন্টারে গিয়ে মিষ্টির কথা বলার সাথে সাথে এক গাল হাসি নিয়ে আমাকে মিষ্টির প্যাকেট টা বের করে দিল। আমিও বেশ খুশি মনেই নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। মাঝে কয়েক বার ফুট ওভার ব্রিজ পার হতে হল। ঢাকা শহরে এটা খুব বিরক্ত লাগে আমার। কিন্তু তারপরেও নিরাপত্তার জন্য করতেই হয়।
বাড়ি এসে প্যাকেট টা খুলে একটা মিষ্টি মুখে দিতেই যেন অদ্ভুত একটা তৃপ্তি পেলাম। টাঙ্গাইলের চমচম বলে কথা। একটা অন্যরকম মজা 👌😊। এই স্বাদের ভাগ হবে না একদম 😉।
শেষমেষ বাসে এতো সাদের টাঙ্গাইলের মিষ্টি গুলো ফেলে নেমে গেছেন। তবে মাথায় ইট ছুড়ে মারতে ইচ্ছে করার বেশ মজা লেগেছে। তাছাড়া শেষমেষ মিষ্টিগুলো ফিরে পেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। তাহলে নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই বেশ সুস্বাদু হয়েছে। আপনার এই রকম পোস্ট গুলো দেখলে ভীষণ ভালো লাগে।
আসলেই আপু,, মিষ্টি যে ফেরত পেয়েছি এটাই অনেক বড় ব্যাপার ছিল। ব্যাপারটা বেশ মজার ছিল 😊। অনেক ধন্যবাদ।
আমি হলে হাটতে হাটতে একটা দুটো খেয়ে নিতাম। কারন হারিয়ে যাওয়া মিষ্টি ফেরত পেলাম তাই আগেই মিষ্টি মুখ করে নিতাম। বাস্তবতা সত্যি রহস্যময়। তবে বন্ধুর দেয়া মিষ্টি ছিল প্রান ভরা ভালবাসা সে করনেই ফেরত পেয়েছো।
হিহিহি,,, ওখানে সবাই এটাই বলছিল। আসলে কাউন্টারে এত মানুষ ছিল কাকে ছেড়ে কাকে দেব,, তাই না দিয়েই চলে এসেছি 😉😉
মিষ্টির প্যাকেট ফিরে পেলেন শুনে খুব ভালো লাগলো। ভাগ্যিস কেউ নিয়ে যায়নি হাহাহা। এত সুন্দর করে কাটানো মুহুর্ত গুলো লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন যেন মনে হলো আমার সামনেই সব ঘটছে। এরপর আপনার বন্ধুকে সতর্ক হতে বলবেন। যেন পরবর্তিতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কোথাও না ফেলে আসে।
এটা আমার জীবনে বেশ একটা মজার ঘটনা হয়ে থাকবে ভাই। অনেক ধন্যবাদ। পাশে থাকবেন সবসময়।
জি ভাই টাংগাইলে ছেলে আমি। আমাদের জেলার মিষ্টি খেয়ে দেখেন। মুখে লেগে থাকবে। হিহি। ভাগ্যিস বাস কাউন্টারের লোকের ভাল ছিল। না হলে প্যাকেট আর ফিরত পেতেন না। সকাল সকাল মিষ্টি মুখ করে দিনটা শুরু করেছেন। ভাল লাগল পড়ে।
আমি টাঙ্গাইল গিয়েছি বেশ কয়েক বার। অনেক ভালো একটা শহর। আর টাঙ্গাইলের মিষ্টি গুলো সত্যি ভালো হয় খেতে । অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপনার মত আমিও সময় মত কোন জায়গায় পৌঁছতে পারি না। সেজন্য বন্ধুদের কাছে ঝাড়িও খাই সেরকম।
শেষমেষ যে মিষ্টির প্যাকেট গুলো হাতে পেয়েছেন এটাই অনেক।
আইসক্রিমের ছবিটা দিয়ে দিলেন তো লোভ ধরিয়ে।
এই মাঝরাতে আমি আজকে আমি আইসক্রিম কই পাবো।🤔
আমি যে কিভাবে কিভাবে ম্যানেজ করে চলি সেটা তো আমিই জানি শুধু 😉😉। আর আইসক্রিম তো দিন রাত সব সময়ের জন্য প্রিয়। এর পরের দিন খাইয়ে দেব কেমন 🥰🥰
যাক ইট দিয়ে মাথা ফাটানো আর দরকার হয় নি।মিষ্টি যে অবশেষে পেলেন এটাই বড় কথা।এবার আমাদের জন্য পাঠিয়ে দিয়েন।😜।ধন্যবাদ
হাহাহাহাহা,,, খুব তাড়াতড়িই আসছি । রেডি থাকবেন আপু।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আসলে বলা যায় যে আপনি মিষ্টি জন্য খুব পাগল। মিষ্টির জন্য এত ঘটনা ঘটলো। এত চমৎকার পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
এটা সত্যি ভাই,, আমি ছোট বেলা থেকেই মিষ্টির জন্য পাগল পুরো। 🥰। অনেক ধন্যবাদ