তমালিকার শুভ আশীর্বাদ সম্পন্ন ❤️

নমস্কার,,

গিয়েছিলাম মাসির বাড়ি গোবিন্দগঞ্জ। উপলক্ষ ছিল মাসতুতো ছোট বোন তমালিকার বিয়ের শুভ আশির্বাদ। আমার ছোট মাসির মেয়ে। অনেক দিন ধরেই বিয়ের জন্য ভালো একটা ছেলে খোজা হচ্ছিলো। কিন্তু সবার মন মতো পাচ্ছিলো না। অবশেষে ব্যাটে বলে মিলে গেছে। আর আমার ছোট বোনরে বিয়ের বাঁশিও বেজে গেছে। আমাদের সবার খুব খুব আদরের তমালিকা। সব সময় ফাজলামো চলতেই থাকে ওর সাথে। তাই ওর বিয়ের আশীর্বাদে না গিয়ে কোন উপায় ছিল না একদমই। পরিবারের সবাই মিলেই অনুষ্ঠানের আগের দিন চলে গিয়েছিলাম। বাড়ির কাজ গুলো গুছিয়ে নিতেই একটু আগে ভাগে যাওয়া।

IMG20231215160917.jpg

Location

মাসির বাড়ি পৌঁছানোর পর দেখি বাড়িতে চাঁদের হাট লেগে গেছে। সব আত্মীয় স্বজন এসেছে। হাসি ঠাট্টায় চারদিক মাতোয়া একদম। বেশ ভালো লাগছিল সবাইকে এক সাথে পেয়ে। গল্পে গল্পে কাজে লেগে গেলাম সবাই। আমি ডেকোরেটরের পিছনে ছোটাছুটি করতে শুরু করলাম। ঐ দায়িত্ব পরেছিল আমার ওপর। শীতের রাতে ছাদে ডেকোরেটরের লোকদের পিছনে থাকতে বেশ কষ্টই হয়েছিল। তবে আনন্দে সব কিছুই ভুলে গিয়েছিলাম।
অন্যদিকে ছোট বোনেরা হাতে মেহেদী করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। যে যার মতো নানান ভাগে নিজের কাজগুলো নিয়েই ব্যস্ত ছিল সব সময়।

IMG20231214230040.jpg

IMG20231215155459.jpg

Location

অনুষ্ঠানের দিন শীত উপেক্ষা করেই সবাই সকাল সকাল উঠে কাজে লেগে গিয়েছিল। মোট ১২০ জন লোকের আয়োজন করা হয়েছিল। আমি শুধু ভাবছিলাম আশীর্বাদেই এতো মানুষ, না জানি বিয়েতে কি হবে। একরকম ছোট খাটো বিয়ে পাড়ি দেওয়ার মতোই আয়োজন। ছেলের বাড়ির লোকজন আসতে আসতে প্রায় আড়াইটা পার হয়ে গিয়েছিল। সবার দেখাশোনা করতে গিয়ে ছবি তোলার কথা আমার মাথাতেই ছিল না একরকম। তারপরও যে কয়েকটা তুলেছিলাম সেটা দিয়েই আজ পোস্ট করছি।

ছেলের বাড়ির লোকদের খাওয়া দাওয়া শেষ হতে প্রায় সন্ধ্যা ছয়টা বেজে গিয়েছিল। আমি অবশ্য আর বেশি দেরি করি নি। সবার খাওয়া দাওয়ার পর্ব মিটিয়ে দিয়ে তাড়াহুড়ো করে বাড়ির দিকে রওনা দেই । আসলে কিছু প্রয়োজনীয় কাজে মেন্টাল প্রেসার খুব বেশি যাচ্ছে ইদানিং।

আমার বাড়ি ফিরতে রাত এগারটা বেজে গিয়েছিল। রাস্তায় খুব জ্যাম ছিল। তারপরও অনুষ্ঠানটা যে ভালোভাবে শেষ হয়েছিল, এটাই বড় কথা। হয়তো এই জানুয়ারির শেষের দিকে বিয়ের পর্ব টা সম্পন্ন হবে। তখন সবার সাথে বিয়ের বেশ কিছু পর্ব শেয়ার করব, এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আজকের মত এখানেই সমাপ্তি করছি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।

Sort:  
 8 months ago 

আপনার মাসতুতো বোনের আশীর্বাদে দেখছি বেশ ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন। আসলে এরকম অনুষ্ঠানগুলোতে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকে সবাই। আর আপনিও ব্যস্ত ছিলেন। যার কারণে খুব একটা ফটোগ্রাফি করতে পারেননি‌। তবুও যে কয়েকটা ফটোগ্রাফি করেছেন, সেগুলো আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালো লেগেছে। আশা করছি বিয়ের সময়ও খুব ভালো সময় অতিবাহিত করবেন। ধন্যবাদ আপনাদের কাটানো মুহূর্তটা এভাবে সুন্দর করে সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।

অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়।

 8 months ago 

আদরের বোনের আশীর্বাদ অনুষ্ঠানে গিয়েছেন এটা শুনে খুবই ভালো লাগলো, যেহেতু খুব আদরের তাহলে তো মিস করার কোন উপায় নেই, আপনার বোনের নতুন জীবন শুরু হচ্ছে তার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 8 months ago 

গুরুজনেরা আশির্বাদ করে বিয়ে ঠিক হলে কেউ বা বিয়ের দিনেই এই আশির্বাদ পর্ব সেরে নেয়।বিয়ে মানেই আনন্দ। আপনার ছোট বোন কে খুব সুন্দর লাগছে। ছোট বোন মানেই আদরের। আপনাকে তো দাদা হিসেবে কষ্ট করতেই হবে বোনের বিয়েতে তাই শীতের দিনে ডেকোরেশনের দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে আপনাকে।আসলে নিজেদের কোন অনুষ্ঠান হলে ব্যাস্ততার মাঝে আর ছবি তোলার কথাই মনে থাকে না।

একদম ঠিক বলেছেন দিদি, কাজের ভিড়ে মাথা কাজ করে না একদমই। অনেক ধন্যবাদ দিদি সব সময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 8 months ago 

আপনার আদরের ছোট বোনের শুভ আশীর্বাদ সম্পন্ন হয়েছে শুনে ভালো লেগেছে। আপনার মাসতুতো ছোট বোন তমালিকার শুভ আশীর্বাদে আপনাদের ভালোই মুহূর্ত কেটেছিল নিশ্চয়ই। আপনি যেহেতু বড় দাদা তাই আপনার কাঁধে তো দায়িত্ব অবশ্যই আসবে। যাই হোক আপনি দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করেছেন দেখে ভালো লেগেছে। আর এরকম ব্যস্ততার মধ্যে থাকলে ছবি তুলতে একেবারেই মনে থাকে না এটা ঠিক।

বড় ভাইদের কাজের প্রেসার টা সত্যিই অনেক বেশি থাকে ভাই। দোয়া করেন যেন সব কিছু ভালো ভাবে হয়ে যায় পরবর্তীতে। অনেক ধন্যবাদ ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60777.85
ETH 2609.63
USDT 1.00
SBD 2.65