হঠাৎ ছুটে চলা
নমষ্কার,,
গতকাল ছিলাম বোনের বাড়িতে। বোন জামাই চেন্নাই গেছেন। আমার ভিসা এখনো হাতে পাই নি তাই আর যাওয়া হলো না। দিদি ভাগ্নে আর দিদির শাশুড়ি এই তিনজনই শুধু বাড়িতে আছেন। তো হঠাৎ শুনি ভাগ্নের জ্বর। দিদি তাই যেতে বললো। একা একা একটু অসুবিধাই হয় ছোট বাচ্চা নিয়ে। ভাবলাম দুই দিন বোনের বাড়িতে ভালো মতোই যাবে সময়টা। দুপুরের দিকে হঠাৎ একটা ইমেইল আসলো। ঢাকা আসতে হবে। ব্যাংক জব ইন্টারভিউ। কোন দিকে আর না ভেবে সিদ্ধান্ত নিলাম ঢাকা আসার। ভাবলাম অনেক দিন পর বাড়ির বাইরে থেকে ঘুরে আসলে, এবং বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলে সময়টা ভালোই কাটবে। তাই রওনা দিয়ে দিলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে।
যেহেতু হঠাৎ ঢাকা আসা, তাই আগে থেকে কোন টিকিট কাটা ছিল না। টার্মিনালে এসে মোটামুটি একটা ভালো গাড়ি দেখে উঠে যাব। আর করলামও তাই। তবে মোটামুটি ত্রিশ মিনিটের মত অপেক্ষা করতে হয়েছে। বলা যায় একদম ভর দুপুর বেলা রওনা দিয়েছিলাম এই গরমে। আসলে এই সময় টা তে জ্যাম অনেকটা কম থাকে, তাই রওনা হই এমন সময়ে। বাস জার্নি করতে করতে এক রকম অভ্যস্ত আমি বলা যায়। তাই এটা এখন অনেকটাই নরমাল আমার কাছে। তবে আজ দুপুরে বেশ ক্ষিদে পাচ্ছিল বাসে বসে। আমি আবার জার্নির সময় অন্য কিছুই খেতে পছন্দ করি না। তাই শুধু পানি খেয়েই গলা ভিজিয়েছি বলা যায়।
জার্নি টা বেশ ভালো ছিল আমার জন্য। একদম পারফেক্ট চার ঘন্টার মধ্যেই গাবতলী বাস টার্মিনাল নেমে যাই। ঢাকায় পৌঁছানোর সময় দেখলাম আকাশ টা বেশ মেঘলা। মনে হলো আমি আসবো আর বৃষ্টি হবে না, এমনটা তো হতে পারে না, হিহিহিহি। প্রতিবার শ্যামলী মামাতো বোনের বাড়িতে উঠি। কিন্তু এবার বন্ধুদের ফ্ল্যাটে উঠেছি বুয়েটের পাশেই। অনেক লম্বা সময় পর সবার সাথে দেখা। এক কথায় ভালো লাগছিল এই হাসি মুখ গুলোকে দেখে। দুই দিন খুব ভালো একটা সময় কাটবে এদের সাথে এটা চোখ বুজে বলা যায়। আর ঢাকাতে ঢাকা ভার্সিটি এবং বুয়েটের আশেপাশে থাকতে এবং ঘুরতে সব সময় অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। ক্ষণিকের জন্য হলেও যেন ক্যাম্পাস লাইফের সেই পুরোনো দিন গুলোতে ফিরে যাই।
ভিসা হতে পেলে নিশ্চয় খুব তাড়াতাড়ি চেন্নাই চলে যাবেন।আপনার ভাগ্নের জ্বর এবং বাড়িতে কম লোক থাকায় আপনার দিদির অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল।তাই দিদির ওখানে গেলেন,বেশ ভালোই কাটবে আপনার সময়।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি বোধ হয় পুরো লেখাটা ঠিক মত খেয়াল করেন নি। আমি দিদির বাড়ি গিয়েছিলাম কিন্তু সেখান থেকেই আর্জেন্ট ইমেইল পেয়ে ঢাকার দিকে রওনা হই। যাই হোক ভালো থাকবেন। আর দোয়া করবেন।