বাংলা ফোক গান 🙏🎼🎼🎼🪕🎹
নমস্কার,,
সব বাড়িতে পুজোর গন্ধ এসে গেছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব এই দুর্গাপূজা। এই সময়টাতে সব হিন্দু বাড়িতে নাড়ু মোয়া বানানোর ধুম পড়ে যায়। চিনি গুড়ের গন্ধে ঘর সব সময় মো মো করে। আমাদের বাড়িও এর ব্যাতিক্রম ছিল না। তবে এবছর কোন আয়োজন নেই। সবাই অসুস্থ। আর আমাকে নিয়ে পাঁচ দিন হলো টানাটানি চলছে তো চলছেই। সাথে বাড়তি একটা টেনশন তো আছেই।
পোস্ট কমেন্ট কোন টাই করতে পারি না বেশ কিছু দিন হলো। শরীরের যে অবস্থা ছিল তাতে করে লেখার মত কোন শক্তিই ছিল না। আর হাতে ক্যানুলা লাগিয়ে নিয়ে টাইপিং ও করা যায় না। একদিন হলো হাত থেকে ক্যাণুলা খুলে দিয়েছে। তাই ফোন টা নিয়ে একটু টাইপ করতে পারছি। আর এমনি বসে থাকতেও ভালো লাগে না। কিছুটা সময় যদি উটিলাইজ করা যায় তাহলে তো খারাপ হয় না।
গ্যালারি তে দেখলাম একটা গান রেকর্ড করা ছিল ঢাকা থেকে আসার আগের। ভাবলাম এটাই আজ পোস্ট করে দেই। এটা একটা পল্লীগীতি, আমার হাড় কালা করলাম রে। গীতিকার পল্লী কবি জসীমউদ্দীন, সুরকার আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, আর গেয়েছিলেন রথীন্দ্রনাথ রায়।
গানের কথা:
আমার হাড় কালা করলাম রে
আমার দেহ কালার লাইগা রে
ওরে আমার অন্তর কালা করলাম রে
দুরন্ত পরবাসী
মন রে…
ওরে হাইলা লোকের লাঙ্গল বাঁকা,
জনম বাঁকা চাঁদ রে জনম বাঁকা চাঁদ
তার চাইতে অধিক বাঁকা
যারে দিসি প্রাণ রে
দুরন্ত পরবাসী
মন রে…
ওরে কূল বাঁকা গাঙ বাঁকা
বাঁকা গাঙের পানি রে
বাঁকা গাঙের পানি
সকল বাঁকায় বাইলাম নৌকা
তবু বাঁকা রে না জানি রে
দুরন্ত পরবাসী
মন রে…
ওরে হাড় হইল জর জর
অন্তর হইল গুড়া রে
আমার অন্তর হইল গুড়া
পিরীতি ভাঙ্গিয়া গেলে
নাহি লাগে জোড়া রে
দুরন্ত পরবাসী
আমার মনে হয় এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে যে এই গানটি একবার হলেও শোনেননি। মোটামুটি সবাই গুনগুন করে হলেও এই গানটা গেয়েছে। আমি আমার জায়গা থেকে আমার মত করে চেষ্টা করেছি। আপনাদের কেমন লাগলো সেটা অবশ্যই জানাবেন।
আজ এখানে শেষ করছি। আমার জন্য সকলে আশীর্বাদ করবেন যেন খুব তাড়াতাড়ি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে আপনাদের সাথে আবার আগের মতো করে নিজের সব কাজ করতে পারি।
দারুণ গেয়েছেন তো আপনি। গলাটা ভালো। এমনিতেও ফোক সং দারুণ লাগে আমার। এমন আরো অনেক গান শুনতে চাই।
অনেক ধন্যবাদ দাদা।
আমি তো ভাবছি আপনি এই অবস্থায় কিভাবে গান করলেন, পড়ে দেখলাম যে এটি অনেকদিন আগে আপনার গ্যালারিতে সেভ করা ছিল। খুবই চমৎকার গেয়েছেন ভাইয়া আর ঠিকই বলেছেন এই গানটা কম বেশি সবাই শুনেছে ।আপনার কন্ঠে কিন্তু দারুণ মানিয়েছে গানটি। আগে বাড়ির সবাই সুস্থ হয়ে উঠুন তারপরে আল্লাহ চাইলে পূজার উৎসব আরো অনেক করতে পারবেন। আপনাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল। আর নাড়ুর কথা কি বলব আপনাদের পূজার সময় যে নাড়ুগুলো তৈরি করা হয় ওই নাড়ুগুলো আমার কাছে খেতে অনেক ভালো লাগে আগে যখন বাসায় ছিলাম তখন ফ্রেন্ডদের বাসায় গিয়ে গিয়ে যেয়ে খেয়ে আসতাম এখন আর সেই সুযোগ হয় না।
ঠিক বলেছেন আপু, সুস্থ থাকলে এমন উৎসব অনেক আসবে। এবার না হয় একটু সাদামাটা ভাবেই হোক পুজোর আনন্দ। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে আমার পাশে থাকার জন্য।
এই উৎসবমুখর দিনগুলোতে সবাই অসুস্থ শুনে সত্যিই খুব খারাপ লাগলো। দোয়া করি যেন খুব তাড়াতাড়ি সবাই সুস্থ হয়ে ওঠেন। এই গান টি আসলেই কম বেশি শুনেছে সবাই। আপনার কন্ঠে দারুন লাগছিল শুনতে। অসাধারণ গেয়েছেন আপনি।
সময়টা বেশ খারাপ যাচ্ছে পরিবারের জন্য আপু। দোয়া করবেন যেন খুব তাড়াতাড়ি সবকিছু সামলে উঠতে পারি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ ভাই। দারুণ ভাবে গেয়েছেন আজকের এই গান। সত্যি অসাধারন। আমি মাঝে মধ্যে খালি গলায় গুনগুন করি। তবে সাথে ইন্সট্রুমেন্ট থাকলে মনে হয় অনেক ভালো হয়।
হ্যাঁ ইন্সট্রুমেন্ট থাকলে গানগুলো গেয়ে একটু মজা পাওয়া যায়। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
আপনার জন্য সুস্থতা কামনা করছি ভাইয়া। আপনি অতি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। আজ আপনি আমাদের মাঝে আপনার গলায় গাওয়া অনেক সুন্দর একটি গান উপহার দিয়েছেন। আপনার গলার গান গুলো শুনতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে আমার পাশে থাকার জন্য। অনেক ভালো থাকবেন।
ভাইয়া প্রথমে জানাই পুজোর অনেক অনেক শুভেচ্ছা। প্রতি বছর পুজোতে অনেক আনন্দ করলেও এ বছর অসুস্থতার কারণে আপনাদের পরিবারে এতটা আনন্দ করতে পারছে না এটা খুবই খারাপ লাগলো। কিন্তু তারপরেও আজকে যে পোস্ট করতে পেরেছেন এটা দেখে ভালো লাগলো। আর এই গানটা কিন্তু এমনিতে অনেক বেশি জনপ্রিয়। আপনার কন্ঠে শুনে ভালো লাগলো।
পোস্ট করতেও ভীষণ প্রবলেম হচ্ছে আপু। কিন্তু তারপরও চেষ্টা করে যাচ্ছি আবার আগের মত রেগুলার হওয়ার। এভাবেই পাশে থাকবেন সবসময়। তাহলে নিজের এনার্জি টা আবার ফিরে পাবো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বছরে একটা মাত্র বড় উৎসব আপনাদের তারপরও পরিবারের সবাই অসুস্থ হওয়ার কারণে উৎসব টাই নষ্ট হল। আমি আরো ভাবছিলাম যে আপনার কাছে নাড়ু খেতে চাইবো। এখন তো দেখছি উল্টা অবস্থা । যাইহোক দোয়া করি দশমীর আগেই যেন সুস্থ হয়ে বাড়ি পৌঁছে যেতে পারেন। আর আপনার গান তো সবসময় ভালো লাগে। খুব চমৎকার হয়েছে আজকের গানটিও।
এবার পুজোতে খুব বাজে অবস্থা আপু আমাদের। না আছে বাড়িতে কোন আয়োজন , না আছে কোন কেনাকাটা। সুস্থ থাকলে কোন একবার অবশ্যই খাওয়াবো পুজোর নাড়ু। 🙏
সত্যি দাদা আপনি এখনো সুস্থ হোন নি শুনে খুবই খারাপ লাগলো ৷ যদি সুস্থ থাকতেন পুজো তে কি আনন্দ করতেন ৷ আর দাদা পরিবারের কেউ কিছু হলে কার ও মন কি ভালো থাকে ৷ বিশেষ করে বাবা মা চিন্তা সত্যি খুবই খারাপ লাগতেছে এ রকম উৎসবের মাঝে আপনার অসুস্থ ৷ যা হোক সবই ঈশ্বরের ইচ্ছা ৷
আপনি খুব তারাতারি সুস্থ হোন এটাই কামনা করি ঈশ্বরের কাছে ৷
সবার আগে ভালো থাকতে হবে তারপর পুজো আনন্দ সবকিছু ৷ এবার হলো না সামনের বছর হবে ৷
ডেঙ্গু জ্বর রে ভাই,, চাইলেও ভাগিয়ে দূরে পাঠানো যায় না। মা যেমন চাইবেন তেমনটাই হবে। নিশ্চয়ই সামনে ভালো কিছুই আছে 🙏🙏। জয় মা 🙏❤️
বাংলা ফোক গানটি অসাধারণ লাগলো দাদা। এই সমস্ত গানগুলোই আমার মনের খোরাক যোগায়। মাঝে মাঝে যখনই সময় পাই সোনার একটু চেষ্টা করি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমারও এই ধরনের গানগুলো ভীষণ পছন্দের। তাই সময় পেলে নিজে নিজেই বসে যাই গাইতে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
এখনও বাড়ি আসেন নাই,,কি একটা রোগ বাঁধাইলেন।যাই খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ্যতা কামনা করছি।আহা নারকেলের নাড়ুর কথা শুনে খেতে ইচ্ছে করছে 😉😉।গানটা বেশ দারুন হয়েছে। এই ধরনের গান আসলেই অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ
বাড়ি আসছি তো চার দিন হলো। বেড রেস্টে আছি পুরা। ফল নিয়ে ভাইকে দেখতে আসেন,তাহলে আরো তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাব।
বাড়ি চলে আসছেন,আমি ভাবলাম হাসপাতালে ফলমূল নিয়ে দেখতে যাব😉😉
এই যে এত কিপটামি করেন কেন হ্যাঁ! আমি কি সুস্থ্ হয়ে নাচানাচি করতেছি নাকি যে ফলমূল আর আনা যাবে না! বাড়িতে বেড রেস্টে আছি পুরা। তারাতারি ভালো মন্দ নিয়ে চলে আসেন।
আরে ভালো বিদায় তো, হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিয়েছে😉😉।আর সুস্থ মানুষের জন্য কি দরকার দেখতে যাওয়া বলেন কষ্ট করে।হি হি।আপনি যেহেতু সুস্থ হয়েছেন, আপনি বরং আমার জন্য ভালো ভালো খাবার নিয়ে আসতো পারেন😉😉