উৎসবে মেতে উঠুক পুরো বিশ্ব
নমষ্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ঈদ মোবারক। আশা করি সকলে পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক আনন্দের সাথে ঈদের সারাটা দিন কাটিয়েছেন। যদিও তীব্র গরম। রোদের রক্ত চক্ষু বড্ড বেশি ছিল মনে হলো আজ। মোটামুটি সব ঈদেই বৃষ্টির দেখা পাই। ভেবেছিলাম আজকেও হবে হয়তো। সকালের দিক একটু মেঘ করেছিল আকাশটা। কিন্তু একটু পরেই পুরো নীল আকাশে রোদের ঝলমলে আলো ছড়িয়ে পড়লো। দুপুরের দিকে বাড়িতে থাকা যাচ্ছিল না যেন এতটাই তাপ ছড়াচ্ছিল।
এই গরম উপেক্ষা করে আপনারা সবাই কেমন ঘোরাফেরা করেছেন জানি না। তবে বাঙালি উৎসব প্রিয় জাতি। রোদ বৃষ্টি কোন কিছুই দমিয়ে রাখতে পারে না। মনের জোরের কাছে সব যেন হার মানে। বিকালের দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। অন্যান্য বারের তুলনায় রাস্তায় অনেক মানুষ কম দেখলাম। গরমের জন্য সবাই কি বের হয় নি নাকি এটাই বুঝলাম না। কোরবানির ঈদে বন্ধু কম থাকে আমার। সবাই গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। তাই তেমন করো সাথে ঘোরাঘুরি হয় না। একাই আপন মনে নিরিবিলিতে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে বাড়ি চলে আসলাম। আসলে এত গরম। ঘেমে যা তা অবস্থা পুরো। বাইরে থাকারও উপায় নেই।
আজ যখন হাঁটছিলাম একা একা পুরোনো দিনের কথা ভাবছিলাম খুব। আজ থেকে ১৪,১৫ বছর আগেও ঈদ মানে ছিল ঘোরাঘুরি আর খাওয়া দাওয়ার মেলা। স্কুলের লম্বা ছুটি পেতাম। কিছুদিন বাড়িতে সময় কাটিয়ে চলে যেতাম মামার বাড়ি। আর সব খানেই শুধু খেলা আর খেলা। এই ছুটির সময় ক্রিকেট লিগ আয়োজন করতো পাড়া তে। সকালে এক ম্যাচ বিকালে এক ম্যাচ। স্বাধীন মত একটু খেলাধুলা করা, পড়াশোনার কোন নাম নেই এটাই ছিল ঈদের আনন্দ। নিশ্চিন্ত ঐ জীবন টা কতই না ভালো ছিল! সময় যত যাচ্ছে কাধে নতুন ঝামেলা তত যুক্ত হচ্ছে। সব কাজের মাঝে আনন্দ খুজে বের করা টাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে।
তারপরও পূজা বা ঈদের নাম মাথায় আসতেই ভেতরে একটা ফুর্তি চলে আসে। ছোট বেলা থেকে একটা কথাই শুনে বড় হয়েছি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। বন্ধু গুলোও জীবনে ঠিক তেমনই পেয়েছি। কি উৎসব সেটা বড় কথা নয়। ছুটি পাচ্ছি, সবাই এক সাথে হচ্ছি, ফাজলামো করছি, আড্ডাবাজি করছি এটাই বড় বিষয় আমাদের জন্য। বাঙালির উৎসবের এই আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সব ঘরে ঘরে। সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হোক প্রতিটি পরিবার।
ঈদ মোবারক ভাই আপনাকে।
সত্যি কাল অতিরিক্ত গরম ছিল😢। যদিও আমাদের দিকে কিছুটা বৃষ্টি হয়েছিল। গরমের জন্য রাস্তায় লোক সমাগম কম ছিল এটা আমারও ধারণা। আমি নিজেও গতকাল বের হয়নি। ছোটবেলায় ঈদটা দারুণভাবে উৎযাপন করতেন।
এটা দারুণ বলেছেন। একেবারে সত্য কথা।।।
তবু বৃষ্টির দেখা পেয়েছেন। আমরা তো আরো অভাগা ভাই। পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছি। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
এটা ঠিক তবে আগের মতো যেনো আর কিছুই নেই।খুশি লাগে ঠিকই তবে তার ও বহিঃপ্রকাশ হয় খুব সামান্য।
উৎসব গুলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম কেমন যেন তার রং হারিয়ে ফেলছে। জানিনা ভবিষ্যতে আরো কি অপেক্ষা করে আছে।