আমাদের গল্প আড্ডা 🤞✌️
নমস্কার,,
সেদিন সকালের দিকে হঠাৎ করেই আমার মাসতুতো ভাই তন্ময় দা ফোন করে বলছে দুপুরের দিকে কি করবি? বললাম বাড়িতেই তো আছি। ওপাশ থেকে তন্ময় দা বলল তাহলে দুপুরবেলা বগুড়া জলেশ্বরীতলাতে চলে আয়। আমরা সব ভাইবোন একসাথে খাওয়া দাওয়া করব। বড় ভাই যেতে বলেছে, না করার কোন উপায় নেই। সময় তখন ঘড়ির কাঁটায় এগারোটা বাজে। বারোটার ভেতর রওনা দিতেই হবে। প্রয়োজনীয় কিছু কাজ সেরে স্নান করে বেরিয়ে গেলাম বগুড়ার দিকে।
আমি পৌঁছানোর ১০ মিনিট আগেই আমার মাসতুতো ভাই এবং বোন সেখানে পৌঁছে যায়। আমাকে জানালো হিলিয়াম রেস্টুরেন্টে চলে আসতে। আমাদের বগুড়াতে এই রেস্টুরেন্টটা নতুন হলেও সার্ভিস টা এবং খাবার-দাবারের মান ভালো হওয়ায় বেশ ভালো নাম করেছে। বাস থেকে নেমে হেঁটেই পৌঁছে গেলাম সেখানে। মোটামুটি মাস দুয়েক পর দেখা ভাই বোনের সাথে। স্বাভাবিক গল্প আড্ডা শুরু হয়ে গেল। এরমধ্যে আমার আরো দুই মামাতো বোন এবং এক মামাতো ভাই এসে আড্ডায় জয়েন করলো।
বড় ভাই খাওয়াবে আজ, তাই যার যেটা ভালো লাগে সেটাই অর্ডার করবে। আমার এসব চাইনিজ খাবার খুব একটা ভালো লাগেনা। তাই আমি বোনদের ওপর সব ছেড়ে দিলাম। বললাম তোরা যা খাবি আমিও তাই খাব। ওরা ফ্রাইড রাইসের সাথে তিন ধরনের চিকেন আইটেম অর্ডার করলো এবং তার সাথে ড্রিংকস। এখানে খাবার অর্ডার করলে বেশ সময় লাগে সেগুলো আসতে। বাকি সময়টা সবাই ফটোশুট করে কাটিয়ে দিল। আমি আর আমার মামাতো ভাই ছিলাম সবার সাথে ফাজলামো নিয়ে। বোনদের ছবি তোলার পোজ নষ্ট করাই ছিল আমাদের কাজ। হিহিহিহি।
মোটামুটি ২৫ থেকে ৩০ মিনিট পর খাবার এসে হাজির হলো। তারপর সবাই মিলে বেশ মজা করেই খাবারগুলো খেলাম। সত্যি বলতে খাবারগুলো বেশ টেস্টি ছিল। সবাই একসাথে ইচ্ছামত সময় নিয়ে ধীরে ধীরে খাবার গুলো শেষ করলাম। অনেকদিন পর সব ভাই-বোন একসাথে বেশ ভালো রকমের আড্ডা হয়ে গেল।।
এই রেস্টুরেন্টে আগেও বেশ কয়েকবার এসেছি। ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন টা সত্যিই খুব সুন্দর। ছবি তোলার জন্য বেশ কিছু জোন রেখেছে। যারা আসবে তাদেরই বেশ ভালো লাগবে। যাই হোক খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ করে আমরা সবাই মিলে মামার বাড়ির দিকে গেলাম। ওখানে অসুস্থ মামাকে দেখে তারপর যে যার মত বাড়ির দিকে রওনা দিয়ে দিলাম।
বোনদের ছবি নষ্ট করে আর কি হবে ভাইয়া। বোনরে তো অনেক সুন্দর। যাইহোক বড় ভাইয়া সবাইকে খাইয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে এরকম সার্ভিস তো আমাদেরকেও দিতে পারেন ভাইয়া। তাহলে আমরাও না হয় একটু খেয়ে আসতাম। 🤭🤭
বোনদের তো আমি পেত্নী বলে ডাকি 🤪🤪। আর যে ভাবে ব্লগিং এ একের পর এক ছক্কা মারছেন তাতে আগে আপনার খাওয়া টা দেন আপু 😀😀। আমি তো এখনো ফুল ফান্ডেট বেকার 😥😥
দাদা ভাই জীবনে বেচেঁ থাকার জন্য আনন্দ টা খুবই জরুরি ৷আনন্দ ছাড়া জীবন চলেই না ৷ ভালো লাগলো মাসতুতো ভাই মামা তো ভাই বোন সবাই রেস্টুরেন্ট আড্ডা সাথে খাওয়া দাওয়া সবমিলে দারুন ৷ ভালো লাগলো দাদা অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি মূহুর্ত শেয়ার করার জন্য ৷
আসলেই ভাই এই আনন্দ টায় জীবনকে পূর্ণতা দেয় বোধ হয়। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ভালো থাকবেন।
ভাই আপনারতো দেখছি গল্প আড্ডার চেয়ে পেট ভজনটাই বেশি হয়েছে। বড় ভাই খাওয়াবে বলে কথা, তাই যার যেটা ইচ্ছা সেটাই অর্ডার করে দিলেন। আপনাদের হাসি মাখা মুখ এবং টেবিলে রাখা খাবার দেখে বেশ বুঝতে পারছি, খাবার খেয়ে যতটা তৃপ্তি পেয়েছেন, সেই সাথে অনেক অনেক আনন্দও করেছেন। সত্যি কথা বলতে কি, সব ভাই বোনেরা একত্রে হলে এরকম আনন্দ খুবই উপভোগ্য হয়। আপনাদের গল্প আড্ডা এবং সুন্দর রেস্টুরেন্টে কাটানো সময়টুকু শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের সকল ভাই ও বোনের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো।
আসলেই ভাই, ভাই বোনদের এই আনন্দ টাই আলাদা। ভীষন ভালো ছিল মুহুর্ত টা। অনেক ধন্যবাদ ভাই এত চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য। ভালোবাসা রইলো ভাই।
দাদা রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। সবাই মিলে চমৎকার মুহূর্ত উপভোগ করছে। এমন সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনাদের সবাইকে একসাথে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন টা আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে। তবে বড় ভাই যেহেতু খাইয়েছে তাহলে আর একটু বেশি বেশি করে অর্ডার দিতে পারতেন। হা হা হা.. যদিও আমার চাইনিজ আইটেমের প্রতি খুব বেশি একটা ইন্টারেস্ট নেই, বাঙালি খাবার খেতে গিয়ে আমি বেশি পছন্দ করি। তবে ভাই বোনরা একসাথে খেয়েছেন, আড্ডা দিয়েছেন এটাই অনেক আনন্দের ব্যাপার।
আসলে ভাই আপনার মত আমারও চাইনিজের প্রতি আর আকর্ষণ কাজ করে না একদম। তাই বোনরা যা খেয়েছে সেদিকেই আমি তাল দিয়েছি হিহিহিহি। তবে সময় টা সত্যিই ভালো কেটেছে।