সিরাজগঞ্জ শহরে প্রথমবার কাচাবাজার ঘোরার অভিজ্ঞতা
নমস্কার,,
গতকালের পোস্টেই লিখছিলাম যে কয়েকদিন আগে সিরাজগঞ্জ ঘুরতে গিয়েছিলাম। আজ শহরের বাজারের কিছু মুহূর্ত সবার সাথে শেয়ার করে নেব। সিরাজগঞ্জ শহরটা খুব একটা বড় নয়, বেশ ছোট। জেলার প্রধান বাজার এলাকায় গিয়েছিলাম হঠাৎ করেই। আসলে আমার বোন জামাই আমাকে নিয়ে বাজারে যেতে চাইলো, আমি আর না করেও উদ্ধার পাই নি আর। এতো অসহ্য গরমে বের হতেই ইচ্ছে করছিল না। তবুও গেলাম কারণ সিরাজগঞ্জ জেলার একদম পাশ দিয়ে বয়ে গেছে যমুনা নদী। তাই নদীর একদম টাটকা মাছ দেখা এবং কেনার একটা ভালো অভিজ্ঞতা হবে।
তীব্র গরম উপেক্ষা করে গেলাম বাজারে। তবে যে কথা না বললেই নয়, বাজারে গিয়ে মাছ দেখেই যেন আত্মা শান্তি পেয়েছে। নদীর অমন টাটকা মাছ শেষ কবে দেখেছি নিজেই মনে করতে পারছি না । আমি সব মাছের নাম জানি না আসলে। তবে মাছের বাজারটা মোটামুটি দুইবার ঘুরে ঘুরে দেখেছি। আমার দারুন লাগছিল এক কথায়। রুই, কাতল, বোয়াল, আইর ছাড়াও নানান প্রজাতির বড় মাছ উঠেছিল। তবে আমার চোখ ছিল ছোট মাছ গুলোর দিকেই বেশি। নদীর ছোট মাছগুলোর চেহারা টাই যেন অন্যরকম। পুকুরের মাছের যে একটা কালচে ভাব থাকে সেটা নেই।
আমরা ঘোরাফেরা করে তিন ধরনের মাছ নেই। একটা বড় কাতল মাছ নেওয়া হয়েছিল। আর বাকি দুই ধরনের ছোট মাছ আমার পছন্দ মত নেওয়া হয়েছিল। সত্যি বলতে আমার আরো নিতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু আমার বোনের পক্ষে একা এত মাছ কাটা সমস্যা হয়ে যাবে। তাই আর নেই নি। তারপর কিছু কাচা বাজার করে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
বাড়িতে এসে দুপুরের দিকে যখন মাছগুলো ভাজি করছিল এতো সুন্দর একটা গন্ধ বের হয়েছিল বলে বোঝাতে পারবো না। নদীর মাছ গুলোর এই একটা গুণ। যেমন সুঘ্রাণ তেমন মজা খেতে। সিরাজগঞ্জ গিয়ে মাছ খেয়েই যেন এক অদ্ভূত তৃপ্তি পেয়েছি এক কথায়। তবে বাজারে গিয়ে একটা শাকসবজির দাম দেখে বেশ অবাক হয়েছিলাম। দামটা বেশ চড়া। ঢাকার বাজারে যেমন দাম অনেকটা তেমনই লেগেছে আমার কাছে। সব কিছু মিলিয়ে এই অসহ্য গরমে বেশ মজার অভিজ্ঞতা ছিল আমার জন্য।
ভাইয়া আসলে মাছ বাজারে গেলে হরেক রকম মাছ দেখলে অনেক ভালো লাগে। আমার কাছে এরকম সব ধরনের মাছ দেখলে খুবই ভালো লাগে। আর ছোট মাছ খেতে কিন্তু খুবই ভালো লাগে। কারণ ছোটো কাছে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি রয়েছে। বোয়াল মাছটি দেখে তো দারুন লাগছে আপনি অবশেষে মাছ কিনেছেন এবং আপনার পছন্দের ছোট মাছ ও কিনেছেন। বাজার করার অভিজ্ঞতা ভালোই হয়েছে তাহলে।
হ্যাঁ আপু ইদানিং বড় মাছ , মাংসের থেকে ছোট মাছ খেতেই বেশি ভালো লাগে। আর এই গরমে মাছ ছাড়া অন্য কোনো খাবার ভালো হজম হবে না। অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। ধন্যবাদ আপু।
প্রচন্ড গরমের মধ্যে বাজার করতে বেশি বিরক্ত লাগে। তবে আপনার বোন জামাইয়ের সাথে সিরাজগঞ্জের মেইনবাজার টাতে গিয়ে মাছের বাজারটাই তো দুইবার ঘুরেছেন। মাছগুলো দেখতে আসলেই টাটকা মনে হচ্ছে। আর নদীর মাছ বলে কথা সুস্বাদু তো হবেই। আমি বাজারে গেলে যদি পছন্দের মাছ দেখি তখন সাথে সাথেই নিয়ে আসি সেটা হোক রাত্রিবেলা। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য।
নদীর টাটকা মাছের স্বাদ খাসি মুরগির থেকেও অসাধারন ভাই। মাছ জিনিসটার প্রতি আলাদা একটা টান কাজ করে বাঙালির এটা মানতেই হবে একদম। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাই। অনেক ধন্যবাদ। ভালোবাসা রইলো ভাই ❤️
মাছ আমার খুব পছন্দের একটি খাবার। বাজারে গেলে অনেক ধরনের মাছ দেখলে আমার খুব কিনতে ইচ্ছে করে। আপনার বাজারে গিয়ে তোলা ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে এখনই বাজারে যাই। কাতলা মাছ কিনেছেন এবং ভেজে খেয়েও নিয়েছেন। আপনার পোস্ট পড়ে ভাল লাগল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেকদিন পর ভাইকে পেলাম। অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাই নদীর টাটকা মাছ দেখলে নিজেকে একদম আটকানো যায় না। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
বাহ আপনি দেখি আমাদের সিরাজগঞ্জের কাঁচা বাজারে এসে অনেক মুহূর্ত উপভোগ করলেন। বিশেষ করে মাছ কেনার অনুভূতি অসাধারণ লেগেছে। আসলে গরমের মধ্যে তাও আপনার অনুভূতি গুলো জানতে পেরে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ বেশ ভালো লেগেছে সব কিছু ভাই। আবার যাব কোন একদিন। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
সিরাজগঞ্জ শহরের কাঁচা বাজার থেকে আপনি অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আর এই ফটোগ্রাফি গুলো শুধু শুধু উপস্থাপন করেন নাই,পাশাপাশি অনেক চমৎকার ভাবে বর্ণনার সাথে তুলে ধরেছেন। আর এই সুন্দর একটি ব্লগ দেখে আমি মুগ্ধ এবং খুশি হয়েছি।