রবি কাস্টমার কেয়ার থেকে বেরিয়ে আপন মনে একটু হাঁটাহাঁটি
নমষ্কার,
দিনের শুরুটা বৃষ্টি দিয়েই হয়েছিল। যদিও তারপর আবার রোদ শুরু হয়। একটা পুরনো রবি সিম খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ভাবলাম নতুন না কিনে পুরোনো সিমটাই উঠিয়ে নেই। তো সকাল সকাল চলে গেলাম রবি কাস্টমার কেয়ারে। লোকজনের বেশ ভিড় ছিল। কিছুটা সময় অপেক্ষা করলাম। তারপর সেবা নিতে বসলাম। আমি তো জানি সিম তুলতে পারবো। আসলে যে ওটা অনেক পুরোনো সিম এটা আমার মাথায় অত ছিল না। আর হেল্প ডেস্ক এ বসা ভদ্রলোকটি আমাকে জানালো যে বিটিআরসি থেকে নিয়ম করা হয়েছে যে কোন সম ৪৫০ দিন একটানা বন্ধ থাকলে সেটি রিজেক্ট করে দেওয়া হয়। আর নতুন সিম কার্ড হিসেবে বাজারে ছাড়া হয়। ব্যাপারটা আমার জানা ছিল না। কি আর করার। পরে ওখান থেকেই নতুন একটা সিম কার্ড নিয়ে নিলাম।
কাস্টমার কেয়ার থেকে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা তে আসলাম। এই জায়গাতে আসলে আমার বেশ ভালো লাগে। এত রিক্সা একসাথে জমা হয়। খুব উপভোগ করি আমি এই ব্যাপারটা। বলুন নিয়ে দাড়িয়ে ছিল এক লোক। ওনার একটা ছবি তুলে নিলাম। আগে ভাগ্নেকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলে এই বেলুন দুটো না নিয়ে বাড়ি ফিরত না। খুব মনে পড়ছিল সেসব কথা।
সেখান থেকে সোজা হাঁটতে হাঁটতে কিছু টা দূর চলে গেলাম। হঠাৎ দেখি ট্রেন আসার সিগন্যাল পড়ে গেছে। আমিও দাঁড়িয়ে গেলাম সেখানে। ভাবছিলাম অনেক দিন ধরে ট্রেন দেখি না 😊। রাস্তার সামনে দাঁড়িয়ে ব্যাপারটা একটু উপভোগ করি। সেই ফাঁকে দুটো ছবিও তুলে নিলাম।
একটু কাজ সেরে এশিয়া থেকে মিষ্টি নিলাম। আসলে বগুড়ার এশিয়া সুইটস এর নাম মোটামুটি পুরো বাংলাদেশ এর জানা। এদের গুণগত মান নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলার জায়গা নেই একদম।
সেখান থেকে বগুড়া জেলা স্কুল এর সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি পাশের মাঠে মেলা হচ্ছে। ঢুকে গেলাম মেলার ভেতর। দুপুর সময় । তাই লোকজন ছিল না। তবে সুন্দর একটা স্টেজ দেখলাম। সন্ধ্যায় হয়তো অনুষ্ঠান হবে। বন্দুক দিয়ে বেলুন ফাটানো দেখে ছোট বেলার অনেক কথা মনে পড়ছিল। পাগল ছিলাম এসব বেলুন ফাটানোর জন্য। লুকিয়ে লুকিয়ে মা এর ব্যাগ থেকে টাকা নিয়ে চলে যেতাম। ধরা খেয়ে মার খেয়েছি যে কত 😊
সত্যি এলোমেলো দিন যাচ্ছে কিছু দিন হলো। মন মত একটা কিছু হচ্ছে না। পিছিয়ে যাচ্ছি সব সময়। কই যে কি কাজ করছি ভবঘুরের মত অবস্থা। ওসব নিয়েই আজকের পোস্ট টা সাজালাম। ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
সকালে ভালো থাকবেন। ভালো কিছুর জন্য ছুটবেন। ভালো কিছুর প্রত্যাশায় নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
যদিও আপনার দিনটি শুরু হয়েছিল বৃষ্টি দিয়ে। কিন্তু আপনার পুরো দিনটি শেষ হয়েছে আনন্দের মধ্যেই। যদিও সিমটা উঠাতে না পেরে হতাশ,রবি নতুন চিম নিয়ে খুব ভালোই সময় উপভোগ করেছেন। এবং খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদেরকে দেখিয়েছেন, শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন
আমি একমাত্র ব্যক্তি যে কখনো রবি সিম ইউজ করিনি। আমি সবগুলো সিম ইউজ করেছি কিন্তু কখনই আমার রবি সিম ইউজ করা হয়নি। কেন যে হলো না এটা আমি বুঝতে পারলাম না। বগুড়া শহরে আমার বেশ কয়েকবার যাওয়া হয়েছে ।শহরটি বেশ গোছালো সুন্দর। বিশেষ করে জলেশ্বরীতলা এলাকাতে অনেক অভিজাত মনে হয়েছে আমার কাছে।
আপু রবিতে নেট ইউজ করে অনেক মজা পাওয়া যায়। তাই দুই বছর হলো আমি রবি ইউজ করছি। অনেক জেলাতে ঘুরেছি আপু। কিন্তু বগুড়ার মত একটাও পাই নি। আর জলেশ্বরী তলা বগুড়া শহরের প্রাণ কেন্দ্র একদম। অনেক ভালো লাগলো মন্তব্য পেয়ে আপু। অনেক ভালো থাকবেন।
রবি কাস্টমার কেয়ারে আমি আজও কখনো যাইনি ভাই তবে আপনার অভিজ্ঞতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে দারুন সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
প্রিয় ভাই আপনার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েছি এবং খুব ভালো লাগলো। আপনার বাস্তবিক অভিজ্ঞতা গুলো শেয়ার করার জন্য। বন্দুক দিয়ে বেলুন ফুটানো দৃশ্যটি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় মেলাতে যেতাম আর দেখতাম অনেকেই বেলুন গুলো ফুটাচ্ছে, তখন অনেক ভয় হতো। একটা সময় যখন ভয়টা কাটে তখন নিজেও বন্দুক দিয়ে বেলুন ফুটানোর চেষ্টায় নেমে পড়তাম। আরেকটি বিষয় হচ্ছে আমরা সকলে জানি বগুড়ার দই বিখ্যাত। তবে মিষ্টি কেমন সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয়। তবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে বুঝতে পারলাম মিষ্টি ও অনেক ভালো হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে কিছু ইনফরমেশন ও পাওয়া গেল আপনার এই পোস্ট থেকে। অবিরাম ভালোবাসা রইলো ভাই।
ভাই বগুড়া তে নিমন্ত্রণ রইলো। দই মিষ্টি সব এক সাথে খাবো। আশা করি দুই টাই খুব মজা লাগবে 😊😊
জি অবশ্যই যদি কখনো আসা হয় সবার আগে আপনাকে নক দিব, এবং সবাই মিলে একসাথে বগুড়ার দই মিষ্টি খাব ধন্যবাদ আপনাকে।
বৃস্টির পরে পরিবেশটা সুন্দর থাকে। আপনি আপন মনে ভালই ঘুরাঘুরি করেছেন দেখলাম। সেই সাথে বগুড়া শহরের কয়েকটি জায়গা দেখতে পেলাম আপনার মাধ্যমে। ভাল লাগল অনেক। ধন্যবাদ ভাই
ধন্যবাদ ভাই । বগুড়ায় আসবেন সুযোগ পেলে। ভালো লাগবে।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে রবি কাস্টমার কেয়ারের পরবর্তী সময় পার করানো অনুভূতি শেয়ার করেছেন। খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত তুলে ধরেছেন। এত অসাধারন পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন ভাই।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাই। ভালো থাকবেন