তিন বছরের জঞ্জাল থেকে আপাতত উদ্ধার 😉🙏

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার,,

ছোটবেলা থেকেই যে অভ্যাসটা আমার ভীষণ পরিমাণে রয়ে গেছে সেটা হল যে কোন কাজ করার পর অবশিষ্ট জিনিসপত্র বা কাগজ নিজের পড়ার টেবিলের ড্রয়ারে রেখে দেওয়া। আবার বাইরে থেকে আসার পর পকেটে যা কিছু থাকে সবকিছু সেই একই ড্রয়ারে রেখে দেই। ছোট ছোট এইসব অকেজো জিনিসপত্র ড্রয়ারে জমতে জমতে যখন একদম ভর্তি হয়ে যায় তারপর কোন একদিন নিজে থেকে বিরক্ত হয়ে সেগুলো ফেলে দেই।

IMG20230318204015.jpg
Location

আমাদের নতুন বাড়িতে ওঠার সময় শেষবারের মতো পড়ার টেবিলের ড্রয়ার থেকে এই সকল আজেবাজে জিনিসপত্র ফেলে দিয়ে নতুন করে গুছিয়েছিলাম। সেটাও মোটামুটি তিন বছর আগে। বেশ কয়েকদিন হল পড়ার টেবিলের সেই ড্রয়ারটা এত পরিমান বাজে জিনিসপত্র দিয়ে ভর্তি হয়ে গিয়েছিল যে প্রয়োজনীয় ছোট্ট কোন জিনিসও খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অবশেষে বিরক্ত হয়ে মাঝ রাতে ড্রয়ার থেকে সবকিছু ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলাম নিজের ঘরের মেঝেতেই। আসলে একটা কাজের জিনিস খুজে পাচ্ছিলাম না। তাই ভীষন রাগ হচ্ছিল। ঘরের মেঝেতে সবকিছু লন্ডভন্ড করে চুপ করে বসে ছিলাম খানিকক্ষণ।

IMG20230318203933.jpg
Location

তারপর মেঝেতে বসে এক এক করে কাগজগুলো দেখছিলাম আর নিজে নিজেই হাসছিলাম। বাড়ি করার সময়কার মালামাল কেনার ফর্দি থেকে শুরু করে গাড়ির টিকিট সব কিছু ছিল। মোটামুটি পঁচিশটার বেশি গাড়ির টিকিট ছিল। শেষ তিন চার বছরে যতগুলো কার্ড পেয়েছি মানুষের কাছ থেকে সবগুলোই দেখি ড্রয়ারের ভেতরে রাখা আছে। যদিও একটাও কখনো কাজে লাগেনি।

সবথেকে মজার ছিল একটা পুরনো মানিব্যাগও রাখা ছিল যেটা আর ব্যবহার করি না এখন। মানিব্যাগটা খুলে ওর ভেতরে একটা এমবি কার্ড পেলাম। দেখি ওটা এখনো ব্যবহার করা হয়নি। কবে যে কিনেছিলাম নিজেই জানিনা। হিহিহিহি। দশ টাকা লাভ হলো একদিক দিয়ে। আসলে আমি খুব মন ভোলা ধরনের একটা মানুষ। তিন দিন আগেও একটা গল্পের বইয়ের মধ্যে থেকে সাতটা একশ টাকার নোট পেয়েছি। কবে রেখেছিলাম নিজেও জানি না। তবে বইটা ক্যাম্পাস লাইফে নিয়েছিলাম। তার মানে চার বছর আগের টাকা।

IMG_20230321_175940.jpg
Location

টেবিলের ড্রয়ারটা এখন মোটামুটি ফাঁকা। কিছু দরকারী জিনিসপত্র ছাড়া আর কিছু নেই। মনে মনে ভয়ে আছি আবার কবে ভরে উঠবে এই শূন্যস্থানটা। হিহিহিহি। আমার এই অভ্যাস সহজে বদলাবে না। হয়তো খুব শীঘ্রই আবার এমন একটা লণ্ডভণ্ড রাত আসতে চলেছে।

Sort:  
 2 years ago 

তারপর মেঝেতে বসে এক এক করে কাগজগুলো দেখছিলাম আর নিজে নিজেই হাসছিলাম

দাদা আমি তো দেখছি আপনার মতো। আমার ও এধরনের অভ্যাস রয়েছে। গাড়ির টিকিট কার্ড সব গুলোই জমিয়েছেন। আসলে অনেক সময় এসব জিনিস গুলো কাজে লাগে। যাক আবার গল্পের বই এ টাকা পেয়েছেন যেনে খুশি হলাম। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

আসলে এই ব্যাপারগুলো যখন করি তখন মাথায় থাকে না কিছুই,, পরে নিজেরাই বিরক্ত হয়ে যাই। অনেক ধন্যবাদ লিমন ভাই। ভালোবাসা রইলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.18
JST 0.033
BTC 89688.42
ETH 3103.55
USDT 1.00
SBD 2.80