মুঠোফোনে বন্দী ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল
নমষ্কার,,
দক্ষিণেশ্বর থেকে যখন রওনা দিলাম গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। দাদা জানালো আমাদের পরবর্তী গন্তব্য ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। আমি অবশ্য শেষ কয়েকদিনে বেশ কয়েক বার ভিক্টোরিয়ার আশেপাশে দিয়ে ঘুরেছি। কিন্তু ভেতরে আর ঢোকা হয়নি। বাইরে থেকে দেখতেও অপূর্ব সুন্দর লাগে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। দক্ষিণেশ্বর থেকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল খুব একটা কাছে ছিল না। বেশ লম্বা দূরত্ব। সময়টা আরো বেশি লেগেছে জ্যামের জন্য। অসম্ভব রকমের জ্যাম ফেস করতে হয়েছে সেদিন। গাড়ির ভেতর বসে থাকতে থাকতে দাদা মাঝেমধ্যে ঘুমিয়েও যাচ্ছিল। আবার ধুমধাম উঠে গল্প শুরু হয়ে যাচ্ছিল। একটু একটু খিদে পাচ্ছিল সবারই। ঠিক করা হলো ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল টা দেখে তারপর আমরা খেতে যাব।
সকল প্রকার জ্যাম ঠেলে শেষমেষ পৌঁছে গেলাম ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর সামনে। আমি আর দাদা মেইন ফটোকে দাঁড়িয়ে থাকলাম আর নিলয় দা টিকিট করে আনতে গেল। দেশি-বিদেশী অনেক পর্যটক ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখার জন্য এসে ভিড় করেছে। টিকিটের লাইনটাও বেশ লম্বা ছিল। তারপর টিকিট দেখিয়ে আমরা ভেতরে প্রবেশ করলাম তিনজন।
একটু একটু করে হেঁটে যাচ্ছিলাম আর দাদার মুখে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর নানান গল্প শুনছিলাম। সব থেকে অবাক করা তথ্য ছিল আমার জন্য ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর চূড়ায় যে পরীর মূর্তি টা রয়েছে সেটা প্রতিদিন বাতাসের গতিবিধি অনুযায়ী দিক পরিবর্তন করে। অর্থাৎ এক এক সময় এক এক দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকে। আর শুধুমাত্র এই পরীর মেইনটেনেন্স এর জন্য প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢালতে হয়। যাই হোক যখন মেইন ফটকের কাছে চলে আসলাম সামনেই দেখতে পেলাম রানী ভিক্টোরিয়াকে। আমরা সবাই সেখানে দাঁড়িয়ে ছবি তুললাম। এরপর ভিতরে প্রবেশ করলাম।
ভেতরটা পুরোপুরি চমকে যাওয়ার মত। অসম্ভব সুন্দর কারুকার্য দিয়ে সাজানো দেওয়ালের প্রতিটা অংশ। চোখে না দেখলে এর সৌন্দর্য কখনোই উপভোগ করা সম্ভব নয়। আর সেজন্যই হয়তো প্রতিদিন এত অসংখ্য মানুষ এখানে এসে ভিড় করে। ব্রিটিশ শাসন এবং ব্রিটিশদের হাত থেকে এই উপমহাদেশ স্বাধীন হওয়ার নানান পটভূমি রয়েছে দেওয়ালের প্রতি অংশে। আরো রয়েছে চমৎকার আর্ট গ্যালারি। নেতাজির অসংখ্য বিপ্লবী ছবি দিয়ে ভরা ছিল। আমরা যেমন ঘুরছিলাম তেমন ছবিও তুলছিলাম।
সত্যি বলতে আজকের পোস্টে লেখার থেকে ছবির সংখ্যা অনেক বেশি। যতটা পেরেছি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর আশেপাশের দৃশ্যগুলো আপনাদের সবার মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। ভেতরটা যেমন সুন্দর বাইরের পরিবেশটাও ঠিক ততটাই নিরিবিলি এবং মনোরম। অবসরে গল্প করার এবং সময় কাটানোর জন্য দারুন একটা জায়গা। আশা করি আপনাদের সকলের অনেক ভালো লেগেছে প্রতিটা ছবি । তবে যে কথা না বললেই নয়, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর সৌন্দর্য চোখে না দেখলে ছবি দেখে কখনোই পুরোপুরি ভাবে উপভোগ করা সম্ভব নয়।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখতে খুবই সুন্দর আশপাশটা খুবই মনোরম পরিবেশ। ফটোগ্রাফিতে দেখে খুবই ভালো লাগলো। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ভেতরটা যেমন সুন্দর বাহিরে খুবই সুন্দর। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর উপরে পরীর মূর্তি টা যে বাতাসের গতিতে দিক পরিবর্তন করে এই কথাটা শুনে খুবই অবাক হলাম। সত্যি ভাই আপনি খুব ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি জায়গার ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
পুরো পোস্ট টা পড়ে চমৎকার করে মন্তব্য করেছেন আপু। খুবই ভালো লাগলো। অনেক ভালো থাকবেন।
চমৎকার চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগছে।ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর আশেপাশের দৃশ্যগুলো অনেক সুন্দর ছিল।ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল নাম শুনেছি অনেক কিন্তু কখনো দেখা হয়নি। আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু চিত্র দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর কিছু মূহূর্ত ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব ছবির মাধ্যমে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কে দেখানোর। তবে সামনে থেকে বেশি অপূর্ব লাগে। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
বলা যায় দক্ষিণেশ্বর আর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দুটো দুই পোলে। দক্ষিণেশ্বর উত্তর ২৪ পরগণা জেলায় আর ভিক্টোরিয়া মধ্য কলকাতাতে। এসব প্ল্যান হয়েছে জানলে কলকাতা চলে যেতুম। ভিক্টোরিয়া জায়গাটা বেশ সুন্দর। আর দেখে মনে হচ্ছে বৃষ্টি হয়েছে। পরী নিয়ে অনেক ভূতুড়ে গপ্পোও আছে নাকি।
আসলে দাদা সব কিছু হুট করে করা। কই কই যাব এটা নিয়ে কোন প্ল্যান আগের দিনেও আমি জানতাম না। এর পরের বার একসাথে ঘুরবো মা চাইলে 😊।