হঠাৎ দেখা
নমষ্কার,,
সেদিন ঢাকা ভার্সিটিতে সার্টিফিকেট অ্যাটেস্টেশনের জন্য গিয়েছিলাম। রেজিস্টার বিল্ডিং এর তিন তলা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ করে একটা পরিচিত মুখ চোখের সামনে ভেসে উঠলো। দেখি পার্থ দা আমার সামনে দাঁড়িয়ে। দাদা নিজেও রীতিমতো চমকে উঠলো হঠাৎ করেই। দেখার সাথে সাথে কোন কথা না বলে শুধু একবার ভাই বলে ডেকে বুকে জড়িয়ে নিল। কতদিন পর দাদার সাথে দেখা! কমপক্ষে ছয় বছর তো হবেই। আমি যখন ভার্সিটি লাইফে ঢুকি দাদা ছিলেন আমার মোস্ট সিনিয়র। কিন্তু কিভাবে যেন আমাদের মাঝে একটা আত্মিক সম্পর্ক হয়ে গেছে নিজেও জানি না।
পার্থ দা বর্তমানে ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের লেকচারার হিসেবে কর্মরত আছেন। সাংঘাতিক রকমের ট্যালেন্টেড। বিসিএস ক্যাডার হয়েও ক্যাডার পোস্টে তিনি জয়েন করেননি। সেদিন প্রতিষ্ঠানের কিছু কাজ নেই ঢাকা ভার্সিটি এসেছিলেন। আমার সৌভাগ্য যে তার সাথে দেখা হয়ে যায়। দাদা শুধু আমাকে বলল কাজ শেষ করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে। তারপর দাদা ফ্রি হয়ে আমাকে ফোন দেবে। ও হ্যাঁ আরেকটা কথা, আমাদের হোস্টেলে দাদা থাকতো তিনতলায় আর আমি থাকতাম চারতলায়। দিনের মাঝে কমপক্ষে দুইবার যদি দাদার রুমে উঁকি না দিতাম তবে আমাদের পেটের ভাত হজম হত না যেন।
যাই হোক মোটামুটি ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করলাম আমি দাদার জন্য। তারপর পার্থদা আমাকে ফোন করলে দাদার সাথে বসে আড্ডা দেওয়া শুরু হলো। আমার সব কথা শুনলো দাদা। বাইরের দিকে যাওয়ার একটু একটু চিন্তাভাবনা করছি, এটা শুনে দাদা নিজেও বললো সেও নাকি এখন বাইরের দিকে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। এদিক থেকে বেশ মিলে গেল দুজনের চিন্তাভাবনা। এমনকি দাদা আমাকে কথা দিল আমাকে যতটা পারে সে সহযোগিতা করবে এই বিষয়ে। আমি মনে মনে ভাবছিলাম ভগবান নিজে হয়তো আজ পার্থ দার সাথে দেখা করিয়ে দিল আমার কাজগুলো যেন আরেকটু এগিয়ে যায় সেজন্য।
পার্থদা অনেক ধরনের দিকনির্দেশনা আমাকে দিলেন। অনেক ধরনের স্কলারশিপের খবর দিলেন যেগুলো একদমই জানতাম না আমি। আর তার সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখতে বললেন। আমার এই জীবনে এমন এমন কিছু মানুষের সাথে আমার পরিচয় বা যোগাযোগ হয়েছে যারা সব সময় নিঃস্বার্থভাবে আমাকে সহযোগিতা করে এবং মন থেকে চায় আমি যেন সামনের দিকে এগিয়ে যাই। পার্থ দা হয়তো তাদেরই একজন। ঈশ্বর যেন এবার সবকিছু ঠিকঠাক মত করে সঠিক রাস্তায় নিয়ে যান এটাই প্রার্থনা।
যখন মানুষ কোন একটা কাজের জন্য অনেক বেশি উৎসাহী হয়ে যায় তখন দেখা যায় যে কোন না কোন ভাবে সেই এই রিলেটেড লোকজনের সঙ্গে হুটহাট দেখা হয়ে যায়। আপনার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। হঠাৎ করে আপনার কাজের অগ্রগতির জন্যই হয়তো পার্থদার সঙ্গে দেখা হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া ছয় বছর পর দেখা হওয়ার পর ইউনিভার্সিটির পুরনো স্মৃতি স্মরণ করে অনেক আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছেন। ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। তাছাড়া ভাইয়া দেখি আমাদের এলাকায় চাকরি করে।
একদম মনের কথা বলেছেন আপু। আমার এমন অনেকজনের রিসেন্ট কথা হচ্ছে এবং যোগাযোগ হচ্ছে। আর দাদা ফরিদপুর একবার যাব আপনাদের এলাকায় একবার টুকি দিয়ে আসবো। দোয়া করবেন আপু। অনেক ধন্যবাদ।
আসলে ভাইয়া অনেকদিন পর পরিচিত লোকের সঙ্গে দেখা কিংবা ভালো লাগার লোকের সঙ্গে দেখা হলে বেশ ভালো লাগে। আমিও কিছুদিন আগে আমার কলেজ হোস্টেলে গিয়েছিলাম প্রায় পাঁচ বছর পর। সেখানে সবার সাথে দেখা হয়ে বেশ ভালো লেগেছিল। আপনারও বেশ ভালো সময় কেঁটেছে আপনার দাদার সঙ্গে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
দীর্ঘ দিন পর এমন মানুষ গুলোর সাথে দেখা হলে কতোটা যে ভালো লাগে এটা লিখে প্রকাশ করা যায় না আপু। অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ভালো থাকবেন।
পার্থদার সাথে দেখা হয়ে আপনার বেশ ভালোই হয়েছে। কারণ উনার মত একজন গুণী মানুষের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা পেয়েছেন। আসলে এসব মানুষের সান্নিধ্য পাওয়ার শক্তি অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। হঠাৎ করে যখন দেখা হয়েছে তাহলে পুরো ব্যাপারটা আরো বেশি ভালো হয়েছে। আশা করছি বাহিরে যাওয়ার স্বপ্ন আপনার পূর্ণ হবে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।♥️♥️♥️
দোয়া করবেন আপু । জানিনা কতদূর কি করতে পারবো। তবে একটু একটু চেষ্টা করছি। অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন সবসময়।
দাদা আপনার পার্থ দা তো দেখছি প্রায় আমার বাড়ির কাছেই থাকেন । ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানটি আমি যেই কলেজে পড়তাম তার পাশেই অবস্থিত । যাই হোক অনেকদিন পর আপনার পার্থ দার সঙ্গে দেখা হয়ে বেশ ভালো সময় কেটেছে লেখা গুলো পড়েই বুঝতে পারলাম । আর আপনি বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন নাকি ? এটা তো জানতাম না । যাই হোক ভালো থাকবেন ।
আপু এখনো ঠিকভাবে নিজেই জানিনা যে কই থেকে কি করছি। তবে একটু ইচ্ছে আছে বাইরের দিকে যাওয়ার। দেখি কতদূর কি করতে পারি। দোয়া করবেন আপু ভাইয়ের জন্য। অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
মানবিকতা আজও পৃথিবীতে বেঁচে আছে সেজন্যই হয়তো এমন মানুষ রয়েছে। আর আপনার পার্থ দার সাথে দেখা হয়ে তো বেশ ভালোই হলো। এত বছর পর দেখা বুকে টেনে না নিলে কি আর হয়। তবে বেশ ভালো লাগলো সেই বন্ধন এখনো টিকে আছে জেনে।
আসলে ভাই কিছু কিছু বন্ধন কখনো ভাঙ্গে না। দেখা না হলেও কথা না হলেও ঠিক একই রকম রয়ে যায়। এই মানুগুলোকে আমি পেয়ে সত্যিই অনেক কৃতজ্ঞ। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ আমার মন্তব্যের খুব চমৎকার ভাষায় ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।
পরিচিত লোকগুলোর সাথে হঠাৎ করে দেখা হলে সত্যি অবাক হয়ে যায় যে কোন লোক। তাই আপনি কলেজের সম্পর্কে বড় ভাই পার্থ দা সাথে দেখা হয়েছে হঠাৎ করে।পার্থ দা অনেক ট্যালেন্ট একটি লোক। আপনি হয়তো মনে মনে চিন্তা করলেন। কোন একটা ভালো লোকের সাথে দেখা হলে আপনার উপকার হবে। সেই কারণে পার্থ দা সাথে দেখা হয়েছে। আপনার অনুভূতিটি খুব সুন্দর করে পোষ্টের মধ্যে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
সত্যি অনেক ভালো লেগেছে, আর অনেক দিক থেকে উপকারও পেয়েছি। এই মানুষগুলো আছে বলেই সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পাই। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।