নিজ শহরে নতুন বিনোদন কেন্দ্রের দ্বার উন্মোচন হতে যাচ্ছে
নমস্কার,,,
তিন দিন আগে বন্ধু সৌরভ হঠাৎ করেই সন্ধ্যার পর ফোন দিয়ে ডাকল। আমি আর দেরি করলাম না বেরিয়ে গেলাম বাড়ি থেকে। দেখা করতেই সৌরভ আমাকে বলছে, চলো ঘুরে আসি কোথাও থেকে। হঠাৎ করেই এমন কথা। আমি জিজ্ঞেস করলাম হুট করে কি হল তোমার। সৌরভ বলছে, আসলে একটা নতুন ঘুরতে যাওয়ার জায়গা হয়েছে শহর থেকে একটু বাইরে। উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়ে বেশ আড্ডা জমাচ্ছে সেখানে গিয়ে। একা একা ঘুরতে ভালো লাগে না। তাই আমাকে নিয়ে যেতে চাইছে সেখানে জায়গাটা দেখতে।
আর দেরি না করে দুই বন্ধু মিলে একটা রিকশা নিয়ে চলে গেলাম সেখানে। জায়গাটা আমার বেশ পরিচিত। ছোটবেলায় সাইকেল নিয়ে প্রচুর ঘুরতে গিয়েছি ঐ দিকে। বেশ কয়েক বছর পরে ওই রাস্তাটায় আবার গেলাম। আর সত্যি বলতে আমি রীতিমতো চমকে উঠলাম নতুন পরিবেশ টা দেখে। করতোয়া নদীর পাশে যে ফাঁকা জায়গাটা ছিল, বলা যায় বন্যা হলে ডুবে যায় আশেপাশের এলাকা , ঠিক সেখানে বালি ফেলে উঁচু করে নিয়ে একটা সুন্দর বিনোদন কেন্দ্র বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আর থিমটাও দিয়েছে মারাত্মক সুন্দর। আগেকার দিনে গ্রামের বাড়িতে ছন দিয়ে যেমন ঘরের চাল ছাওয়া হতো ঠিক সেভাবে এখানেও তৈরি করা হচ্ছে দোকানপাটগুলো।
আড্ডা দেওয়া এবং গল্প করার জন্য চমৎকার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের খাবারের আইটেমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মূলত ফাস্ট ফুড ধরনের খাবারই বেশি। আর অন্যপাশে রয়েছে ছোট বাচ্চাদের জন্য এবং সৌখিন মানুষদের জন্য কেনাকাটার বিভিন্ন দোকান। তার একপাশে নাগরদোলা এবং চরকির ব্যবস্থাও রয়েছে। আমি যখন যাই তখন রাত নয় টা বাজে। ওই সময়টাতেও দেখলাম মোটামুটি সব বয়সের লোকজন নাগরদোলায় উঠে মজা করছে। আবার একটা জায়গায় দেখলাম বন্দুক দিয়ে বেলুন ফাটানোর স্টল। ওই দিকটা যেতেই আমার আরো দুইটা বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে গেল। সবাই আমার স্কুল-কলেজের বন্ধু। আমাদের আড্ডাটা যেন আরো জমে গেল।
সবচেয়ে ভালো লাগলো যে ব্যাপারটা, উপজেলা শহরেও এত সুন্দর বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠছে এটা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। একঘেয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সব সময় দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময় হয় না অনেকেরই। তাই কাছাকাছি কোথাও এরকম একটা পরিবেশ যদি পাওয়া যায় ব্যাপারটা মন্দ হয় না মোটেই। সম্পূর্ণ প্রজেক্ট এর কাজ এখনো শেষ হয়নি। মনে হল আরো বেশ কিছু সময় প্রয়োজন। তখন হয়তো আরও বর্ণিল সাথে সজ্জিত হবে পুরো পরিবেশটা। আমার আসলে ছবি তোলার কথা খেয়াল থাকে না বেশি। অনেক ছবি মিস করে ফেলেছি। ইচ্ছা আছে এরপরে যখন আবার যাব তখন পুরো জায়গাটার সুন্দর করে একটা বর্ণনা নিয়ে আবার আপনাদের মাঝে হাজির হব। সকলে ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।







ভাইয়া আপনার নিজ শহরে বেশ ভালো একটি বিনোদন কেন্দ্র তৈরি হয়েছে দেখা যাচ্ছে। এরকম পরিবেশে যেতে বেশ ভালই লাগে ।দুই বন্ধু মিলে ভালই ঘুরেছেন। তারপরে অন্যদের সঙ্গে দেখা হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আসলে এরকম নতুন পরিবেশে যেতে আমার কাছেও ভালো লাগে। আর রাতের বেলা তারপরেও অনেক লোকজন রয়েছে তাহলে তো সত্যি জায়গাটা অনেক সুন্দর মনে হচ্ছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু আমিও রীতিমত অবাক হয়ে গিয়েছি ওদের এমন আয়োজন দেখে। রাতের বেলা বেশ ভালো আড্ডা জমে জায়গাটায়। খুব মনোরম একটা পরিবেশ।
দাদা বিনোদন কেন্দ্র হওয়া ভালো তাতে এলাকার মানুষের মন ভালো থাকে ৷
দাদা আপনি তো দেখছি দারুন একটি সময় পার করেছেন ৷ভাই আমি একবার নাগর দোলায় উঠে ছিলাম কিন্তু দুঃখের বিষয় যে মাথা ঘুরেছে আমি তো ভেবেছিলাম মরে যাব ৷আর দেরি না করে আমি নেমে পরেছিলাম ৷
আর বন্ধুক নিয়ে বেলুন ফাটানো বেশ ভালোই লাগে ৷সবমিলে খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন ৷
হিহিহিহি আমি তো দারুন ইনজয় করি নাগরদোলা। ছোট বেলায় পুজোতে সব টাকা নাগরদোলার পেছনেই শেষ করতাম। খুব মিস করি সেই দিন গুলো। ভালো লাগলো মন্তব্য পেয়ে। অনেক ভালো থাকবেন।