সকাল সকাল মাছের বাজারে অভিযান
নমষ্কার,,
খাসি বা মুরগি কোনটাই ইদানিং খুব একটা ভালো লাগে না খেতে। এর চেয়ে বরং টাটকা নদীর মাছ গুলো খেতেই যেন বেশি ভালো লাগে। সেটা ছোট মাছ হোক কিংবা বড় মাছ। সিরাজগঞ্জে যাওয়ার আগে আমার দুই বোন জামাইকে আগে থেকেই বলেছিলাম আমি মাংস খাব না, শুধু নদীর টাটকা মাছ খাব। আমার কাছে মনে হয় যমুনার টাটকা মাছের স্বাদ যেকোনো মাংসের থেকেও অমৃতের সমান। হিহিহিহি। এবার দুইদিনে প্রচুর মাছ খেয়ে এসেছি। আমাদের এদিকে এত সুন্দর মাছ খুব একটা পাওয়া যায় না। তাই বলা যায় অনেকটা সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছি।
নদীর টাটকা মাছ নিতে হলে যদি একদম যমুনার তীর থেকে যদি নেওয়া যায় তাহলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। এখন এই শীতের সকালে কে যাবে ওখানে! জামাইবাবু তো একা যাওয়ার মানুষ না। তাই ঘুম থেকে উঠে আমাকে জোর করে তুলে বাইকের পেছনে নিয়ে চলে গেছে যমুনার তীরে। আমাদের বাজারে যেতে একটু লেট হয়ে যায়। তাই খুব একটা মাছ আর সেখানে ছিল না। অনেকটা বাধ্য হই সকাল সকাল বড়বাজারের দিকে ছুটলাম দুজন মিলে। এখানেও নদীর মাছ বেশ ভালই পাওয়া যায় কিন্তু দামটা খানিকটা চওড়া।
বাজারের ভেতরে ঢুকে দেখলাম বিভিন্ন রকমের মাছের মেলা বসেছে। সত্যি বলতে সব ধরনের মাছই আছে শুধু মোটা অংকের টাকা দরকার। দেশি মাছের দাম এত কেন যে হয় এটাই আমি বুঝে পাইনা। এগুলোতো আর কাউকে চাষ করতে হয় না, তাহলে এত দাম কেন হবে! যাই হোক সব মাছের নামও আমি জানিনা। আমরা রুই, চিংড়ি আর অন্য আরেক ধরনের মাছ সহ মোট তিন ধরনের মাছ নিয়েছিলাম। এই বাজারগুলোতে নদীর চিংড়ি ওঠে। নদীতে যে এত বড় চিংড়ি হতে পারে এটা আমার ধারণা ছিল না একদমই। অবশেষে শীতের সকালের মিশন শেষ করে আমরা দুই ভাই একসাথে বাড়িতে ফিরলাম।
মাছ তো নেওয়া হল, এবার বাকি কাজ আমার দিদির। সেদিন দুপুরে দারুন খানাপিনা হয়েছিল। চিংড়ি মাছের পকোড়া বানিয়েছিল ,এত চমৎকার খেতে হয়েছিল যে বলে বোঝাতে পারবো না। আর অন্য যে মাছগুলো নিয়েছিলাম সেগুলোও খেতে দুর্দান্ত ছিল। এবারের মত মাছ খাওয়ার অভিযান এখানেই শেষ। পরবর্তীতে আবার যখন আসবো তখন আবার হবে। হিহিহিহি ।
ওয়াও সকালে ঘুম থেকে উঠে এই যমুনা নদীর মাছ কেনার জন্য বেশ ভালো একটা অভিযান দিয়েছিলেন দাদা। আমার কাছেও যেকোন মাংসের থেকে নদীর মাছ ভীষণ ভালো লাগে। নদীর মাঝে সেদিনে বেশ সুন্দর খানাপিনা করেছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো দাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য।
নদীর মাঝে খানাপিনা করি নি ভাই, নদীর মাছ বাড়ি এনে খানাপিনা করেছি 😅। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলেই নদীর টাটকা দেশি মাছের কাছে মুরগি বা খাসির মাংসের তুলনায় চলে না। এই শীতের মধ্যে বাইকে করে বাজার গিয়ে কষ্ট করে মাছ কিনে এনেছেন, দুপুরে আবার তা দিয়ে জমিয়েও খেয়েছেন। তবেই না আসল মজা! 🫢
আহা দিদি সে কি ঠান্ডা! ওর কোন মা বাবা নেই একদম। তবে বেশ মজা করেই ঘুরেছি সকালে। আর সবকিছু বেশ ভালো ছিল এক কথায়।
অজানা অচেনা একটি মাঝের মাছের বাজার সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেলাম। খুব সুন্দর ভাবে আপনি মাছের বাজার সম্পর্কে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেখানে যমুনা নদীর তীর থেকে টাটকা মাছের সন্ধান তুলে ধরেছেন এখানে। আর নদীর মাছ বলেই কথা অনেক বড় বড় মাছ দেখতে পারলাম।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
ঠিক বলেছেন আপনি মাংস বেশি খেতে মন চায় না।মাছ এমন একটা জিনিস যে প্রতিদিন খেলেও অরুচি হয় না কিন্তুু মাংস একবার খেলেই অরুচি চলে আসে।মাছের ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হয়েছে। বোন জামাইকে বলে ভালো করেছেন যে মাংস খাবেন না।বেশ কয়েক প্রকারের মাছ কিনেছিলেন দেখছি।নদীর বড়ো বড়ো চিংড়ি কিনে এনে দিদির হাতের মজাদার পাকোড়া খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এটা একদম ঠিক বলেছেন দিদি, মাছে অরুচি আসে না কখনোই। আর পেট ও স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী মাংসের থেকে। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। ভালো থাকবেন দিদি।