আমাদের কথোপকথন ।। দীর্ঘ আট বছর পর রিফাত ভাইয়ের সাথে দেখা

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

নমষ্কার,,

চলার পথে এমন কিছু মানুষের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে যারা নিঃস্বার্থভাবে সবসময় আমার পাশে থেকেছে এবং আমার ভালোর জন্য নিজের সবটা দিয়ে এগিয়ে এসেছে। জীবনের অনেক খারাপ সময়গুলোতে এই মানুষগুলো পাশে থেকেছে বলেই আজকে এখনো ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস পাই। ঠিক তেমনি একজন মানুষ হলেন রিফাত ভাই। রিফাত ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় ইউনিভার্সিটি লাইফে। আমার চার বছরের সিনিয়র ছিলেন ভাইয়া। ভাইয়ার সাথে খুব যে বেশি আড্ডা দিয়েছে বা সময় কাটিয়েছি এমনটাও নয়। আমরা একবার চট্টগ্রামে একটা কনফারেন্সে গিয়েছিলাম একসাথে। আর সেখান থেকেই একটা সুসম্পর্কের সূত্রপাত হয় আমাদের মধ্যে। আমি তার থেকে অনেক জুনিয়র হওয়া সত্বেও ভাইয়া আমার সাথে একদম বন্ধুর মত মিশন এবং ভীষণ পরিমানে স্নেহ করেন।

IMG20240112203056.jpg

Location

রিফাত ভাইকে নিয়ে যত লিখব ততই কম হবে। এতটা হেল্পফুল মানুষ আমি খুবই কম দেখেছি লাইফে। সত্যি বলতে নিজের আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকেও এতখানি সহযোগিতা কখনোই আমি পাইনি। বিগত চার থেকে পাঁচ মাস হলো ভাইয়া প্রতিনিয়ত আমাকে গাইড করে চলেছেন। ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও আমার জন্য সময় বের করেছেন প্রতিদিন। একদম ছোট বাচ্চাদের মত করে আমাকে জুমে স্ক্রিন শেয়ার করে হায়ার স্টাডিসের ব্যাপারে খুঁটিনাটি বুঝিয়েছেন এবং কিভাবে কি করতে হবে সেই রাস্তাটা দেখিয়েছেন। কখনো কখনো আমার ইমেইল টাও তিনি লিখে দিয়েছেন। এতটা স্নেহ আর ভালবাসা বোধ হয় আর কোন জুনিয়র তার কাছ থেকে এখনো পায়নি।

IMG20240112203053.jpg

Location

রিফাত ভাই বর্তমানে আমেরিকা থাকেন। সেখানেই জব করছেন। ১২ দিনের ছুটিতে দেশে এসেছেন দীর্ঘ সময় পর। যেহেতু অনেক অল্প সময়ের জন্য এসেছেন তাই কোথাও বেশি সময় দেওয়ার সুযোগ একদমই নেই হাতে। দেশে আসার পর থেকেই ছোটাছুটির উপর রয়েছেন। মজার ব্যাপার হলো আমি যখন সিরাজগঞ্জ গেলাম ঠিক সে সময়টাতে ভাইয়া ও তারাশ থেকে জামালপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। আর শুধুমাত্র আমার সাথে দেখা করার জন্য তিনি সিরাজগঞ্জের ভেতরে ঢুকলেন গাড়ি নিয়ে। সবকিছু মিলিয়ে বড়জোর ২০ মিনিটের মত দুজনের কথা হয়েছে। কত বছর পর যে আমাদের এই সামনাসামনি কথোপকথন এটা আমাদের ঠিক কারোরই মনে নেই। হতে পারে প্রায় আট বছর।

এই অল্প সময়ে কতটুকুই বা কথা হতে পারে আর! দীর্ঘদিন পর আমাদের এই চোখের দেখাটাই যেন সবথেকে বড় পাওয়া ছিল। ভাইয়া তো অনেকটা আবেগে আপ্লুত হয়ে গেলেন। ভাবিও সাথে ছিলেন। সময়টা যদি আরেকটু বেশি পাওয়া যেত তাহলে হয়তো আরো অনেক ভালো লাগতো। কিন্তু এবারে সেই সুযোগটা ভাইয়ের কাছে একদমই ছিল না। যাবার সময় শুধু বুকে জড়িয়ে ধরে একটা কথাই বলে গেলেন, সজীব তুমি লেগে থাকো, আমি তোমার পাশে আছি। জানিনা সামনে কি অপেক্ষা করে আছে আমার জন্য। তবে রিফাত ভাইয়ের মত এমন একজন ভালো মানুষের সাথে আমার যে পরিচয় হয়েছে এজন্য আমি সৃষ্টিকর্তার প্রতি সারা জীবন কৃতজ্ঞ।

Sort:  
 10 months ago 

আরে বাহ!! দাদা হায়ার স্টাডিজের জন্য বাহিরে যাওয়ার প্ল্যান করছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো।কোথায় ইচ্ছে? আর আপনার কি মাঝে স্টাডি গ্যাপ রয়েছে বা থাকলে কয় বছরের? আর আপনার সিনিয়র ভাই আসলেই বেশ ভালো কারণ এসব বিষয় এমন ভাবে হাতে ধরে ধরে কেউই বুঝিয়ে দেয় না বা কারোর মেইল কেউ সাধারণত লিখে দেয় না! সবাই দায়সারা কিছু কথা বলেই পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন! দুজনের জন্যই শুভকামনা।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

আরে বাহ!! দাদা হায়ার স্টাডিজের জন্য বাহিরে যাওয়ার প্ল্যান করছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো।কোথায় ইচ্ছে? আর আপনার কি মাঝে স্টাডি গ্যাপ রয়েছে বা থাকলে কয় বছরের? আর আপনার সিনিয়র ভাই আসলেই বেশ ভালো কারণ এসব বিষয় এমন ভাবে হাতে ধরে ধরে কেউই বুঝিয়ে দেয় না বা কারোর মেইল কেউ সাধারণত লিখে দেয় না! সবাই দায়সারা কিছু কথা বলেই পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন! দুজনের জন্যই শুভকামনা।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

প্রথমে ভেবেছিলাম ইউরোপ যাব, গতবছর অস্ট্রিয়া থেকে অ্যাডমিশন লেটারও পেয়েছিলাম, কিন্তু পরে ঠিক করলাম USA এর জন্য চেষ্টা করব আগে। তাই এখনো ওটার পিছনেই একটু একটু চেষ্টা করছি দিদি। আশির্বাদ করবেন। আর আমার স্টাডি গ্যাপ প্রায় চার বছরের বেশি হবে।

 10 months ago 

শুভকামনা রইলো

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.20
JST 0.034
BTC 92256.59
ETH 3114.03
USDT 1.00
SBD 3.09