এলাকার দাপট
নমষ্কার,,
দু দিন হলো মাঝ রাতে বৃষ্টি হয়ে আবহাওয়া টা বেশ ঠাণ্ডা হয়েছে। আশা করি আপনারা সবাই বেশ স্বস্তিতেই আছেন । গরমের তীব্রতা তুলনামূলক ভাবে কম । বর্ষাকাল হিসেবে যেমন বৃষ্টি পাওয়ার কথা তার ছিটেফোটাও নেই যেন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রকট আকার ধারণ করছে দিনদিন। পুরো বিশ্ব অনেক বড় হুমকির সম্মুখীন।
কিছুটা মানসিক চাপে হলেও শরীরটা খুব একটা ভালো নেই। নানান ধরনের কাজের প্রেসার যেন একের পর এক মাথার উপর এসে পরছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে খাওয়া দাওয়া করে কিছু ব্যক্তিগত কাজ করার জন্য বাড়ি থেকে বেড়িয়ে রাস্তা দিয়ে আনমনে হেঁটে চলেছি কিছুক্ষণ। হঠাৎ করেই এক মজার দৃশ্য আমার সামনে এসে উপস্থিত হলো। পাড়ার এমাথা ওমাথার ১১ থেকে ১২ টা কুকুর একসাথে সামনাসামনি দাঁড়িয়ে জমিয়ে ঝগড়া করছে। শুক্রবারের দিন হয় রাস্তাটা একদম ফাঁকা ছিল বলা যায়। আমিও মজা নেয়ার জন্য চুপটি করে এক পাশে দাড়িয়ে গেলাম। পাড়ার ছেলে হওয়ায় কোন কুকুর কোন গলির এটা মোটামুটি আমার চেনা আছে। কুকুরগুলো পাড়ার ভেতর ছোট ছোট এলাকা ভাগ করে নিয়ে নিজেদের একটা আলাদা রাজত্ব করে নিয়েছে যেন।
সব থেকে মজার লাগছিল যে জিনিসটা, একটা নির্দিষ্ট সীমানার বাইরে এসে কোন কুকুর অপর গলির কুকুরকে আক্রমণ করছিল না।। এদিকে মুখে ঘেউ ঘেউ গর্জন তুলে ফাটিয়ে দিচ্ছে পুরো রাস্তা। তিন থেকে চারটি কুকুর মিলে এক গ্রুপ হয়েছে। এক গ্রুপের একটা কুকুর যখন ঘেউ ঘেউ করছে তার সাথে যারা আছে সবাই ঘেউ ঘেউ করে উঠছে যতটা পারে জোরেসোরে। অপর দিকে যারা থাকছে ওরা যেন কিছুটা নীরবতা পালন করে তখন। মুখের ভাষা গুলো হয়তো বোঝার চেষ্টা করে। ঠিক ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড পরেই পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে দেয়। এক গলির কুকুর আরেক গলির কুকুরকে একদম ঢুকতে দিবেই না। প্রাণপণে লড়াই করে চলেছে ঘেউ ঘেউ করে।
একপাশে যখন কুকুরগুলো ঘেউ ঘেউ করে ফাটিয়ে দিচ্ছে পাশের পাড়া থেকে কুকুরগুলো এসে তখন দূর থেকে উঁকি মারছিল। পুরো ব্যাপারটা দশ মিনিটের মতো দাঁড়িয়ে আমি দেখছিলাম। ভীষণ মজা লাগছিল সত্যি। ভাবছিলাম কুকুরের জায়গায় যদি মানুষ হত এতক্ষণে রক্তারক্তি ঘটে যেত। আমাদের পাড়ার দুই তিনজন মানুষ এসে কুকুরগুলোকে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিল। তবু যেন থামেনা। এক পক্ষ অপর পক্ষকে ঘায়েল করতে মরিয়া। একটু একটু করে দূরে যায় আর পিছন ফিরে ঘেউ ঘেউ করে ওঠে। আমরা কজন মিলে খুব হাসাহাসি করলাম ব্যাপারটা নিয়ে।
অবলা প্রাণী কুকুর গুলো এলাকার একটা দাপট যেভাবে দেখিয়ে যাচ্ছিলো সত্যি অনেক কিছু শেখার আছে। নিজের জায়গা কেউ সহজে ছাড়তে রাজি নয়। নিজের অস্তিত্ব ধরে রাখতে প্রাণপণ লড়াই করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। জীবনে আসলে কেউ হারতে চায় না। শেষ পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যায়।
বৃষ্টির দেখা নেই ভাই আর প্রচন্ড গরম পড়ছে তা সহ্য করা আসলে সব অসম্ভব হয়ে পড়ছে। আর আসলে আপনি ভালো একটি মজার ঘটনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলে নিজের এলাকায় দাপট থাকে আলাদা যেটা কুকুর আমাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি নিজেও খুব মজা পেয়েছি ব্যাপারটা দেখে। সত্যিই শেখার মত আছে কিছু। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
গল্পটা পড়ে আসলেই দাদা খুবই ভালো লাগলো । তবে সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে যে কুকুর অন্যের এলাকায় গিয়ে ঘেউ ঘেউ করতে পারে না , যার যার অবস্থান থেকেই শুধু ঘেউ ঘেউ করতে পারে হাহাহা । মোরাল অফ দ্যা স্টোরি হচ্ছে জীবনে আসলে সবাই শেষ পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাবার চেষ্টা করে ।
পুরো লেখাটা পড়ে অনেক চমৎকার একটা মন্তব্য করেছেন ভাই। অনেক ধন্যবাদ।
D O G সাহেবরা হচ্ছে রাস্তার রাজা। এরা দলবেধে সবসময় নিজের রাজ্যকে রক্ষা করার চেষ্টা করে। রাস্তায় বের হলে সব সময় এদেরকে সমীহ করে চলতে হয়। বিশেষ করে যখন বাইক নিয়ে বের হই তখন বেশি নজর থাকে কুকুরের উপর। কোন দিক থেকে দৌড়ে এসে সামনে না পড়ে যায় এই চিন্তা সবসময় মাথায় থাকে। তবে এদের মধ্যে একটা ঐক্যবদ্ধ ভাব আছে হা হা হা।
হিহিহিহি খুব মজা করে মন্তব্য টি করেছেন। ভালো লাগলো খুব। অনেক ধন্যবাদ।