বোনের বিয়েতে কাচা বাজার করার অভিজ্ঞতা
নমষ্কার,,
মাসির বাড়ি পৌঁছানোর সাথে সাথেই এক পশলা ঝড় আমার ওপর দিয়ে বয়ে গেল, দেরি করে এসেছি বলে 😉। আমি এক দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে বের করে দিলাম। এমন একটা ভাব দেখলাম যেন আমাকে কেউ কিছু বলছেই না, হিহিহিহি। কি কি বলবে সবটা আমার জানা ছিল। তাই ওসব নিয়ে চাপ না নিয়ে সোজা খাবার টেবিলে বসে গেলাম। তারপর বাজার যেতে বলে দিল আমার মেসো। অবশ্য শেষমেশ আমাকে একা আর ছাড়লেন না। কারণ এখানে আমি সবকিছু খুব একটা ভালো চিনি নাহ্। মূলত কাচা বাজারের উদ্দেশেই তখন বের হলাম দুজন মিলে।
অনেক দিন বাজারঘাট করার কোন অভিজ্ঞতা নেই আমার। সেদিক থেকে বলতে গেলে বেশ ভালো একটা অভিজ্ঞতা ছিল আমার জন্য। তবে এই গোবিন্দগঞ্জের রাস্তায় ভীষণ রকমের জ্যাম থাকে সব সময়। এটা এক রকম বিরক্তিকর লাগে অনেক আগে থেকেই। রাস্তাগুলো বেশ সরু এখানে। যাই হোক বাজারের ভেতরে ঢুকে আমি আর মেসো প্রথমে চারপাশ টা একটা চক্কর দিয়ে নিলাম। কাচা সবজির দাম শুনছিলাম এক কথায়। মজার ব্যাপার এদিকে সব কিছুর দাম একটু কমই লাগছিল আমার কাছে।
পিঁয়াজ, রসুন, আদা থেকে শুরু করে বেগুন, শসা গাজর, কাঁচা মরিচ আরো নানান রকমের সব সবজি নিয়ে মোটামুটি একটা ভ্যান বোঝাই করলাম। সেটাকে বাড়ির ঠিকানায় পাঠিয়ে দিলাম। আসলে ওটা মেসোর পরিচিত ভ্যান ছিল। তাই কোন প্রবলেম হয় নি। আমরা পরে আরো কিছু জিনিস নিতে একটা পিতলের দোকানের দিকে গেলাম। বিয়ের রীতিনীতি পালনের জন্য আসলে অনেক ধরনের জিনিসপত্রের প্রয়োজন হয়। আমি সব কিছুর নামটাও ঠিকমত জানি না আসলে। মেসো এদিক সেদিক থেকে লিস্ট ধরে ধরে নানান কিছু নিলেন। আমি শুধু পিছন পিছন ঘুরলাম। হিহিহিহি।
এভাবেই মোটামুটি কচাবাজারের অভিযান শেষ করে আমরা বাসায় ফিরলাম। আমার অবশ্য শান্তি ছিল না। আমার কমিউনিটি সেন্টারের দিকে আসতে হয়েছিল কিছু কাজে। যাই হোক, কাল আবার হলুদের প্রোগ্রাম আছে। বাকি কথা পরে হবে। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ভাই সব কথায় কান দিতে নেই, কিছু কথা কান দিয়ে বের করে দেওয়া ই ভালো😂। যাইহোক আপনি আর আপনার মেসো তাহলে কাঁচা বাজার করতে গিয়েছেন বাজারে। আপনার মেসো খুব ভালোভাবে জানতো যে,আপনাকে একা পাঠালে উল্টা পাল্টা কিছু করে ফেলবেন। সেটা ভেবেই উনি আপনার সাথে গিয়েছে। যাইহোক সেখানে তাহলে সব কিছুর দাম একটু কম। আপনারা অনেক কিছুই কিনেছেন তাহলে। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এটা একদম ঠিক ভাই, সব কথায় কান দিতে নেই 😉😉। আমি তো কখনো বাজার করিই নাহ, তাই তো আমাকে একা পাঠানোর সাহস পায় নি 😅। মেসোর জন্য অনেক উপকার হয়েছে আমার। হাহাহাহা। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
যাক বিয়ে বাড়িতে গিয়ে কাজে নেমে পড়েছেন দেখছি। দেরি করে গিয়েছেন জন্যই আপনার বকা খাওয়ার তো দরকারই ছিল। তাছাড়া শহরের থেকে গ্রামের দিকে সবজির দাম একটু তুলনামূলকভাবে কম থাকে। বিয়ের সময় যে কত কিছু কেনার থাকে তা বিয়ের লিস্ট দেখলেই বোঝা যায়। আপনার মেসোর সাথে ভালো সঙ্গ দিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে।
উত্তর বঙ্গের দিকে যত যাওয়া যায়, সবজির দাম বোধ হয় তত কমতে থাকে আপু। হ্যাঁ এটা ঠিক যে মেসোর সাথে সত্যিই অনেক দৌড়তে হয়েছে আমাকেও। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
বোনের বিয়ে বলে কথা সেখানে যদি ভাই দেরি করে যায় তবে তো কাথা শুনতেই হবে।কাঁচা বাজারের দাম কমে মাঝে মাঝেই।সত্যি গোবিন্দগঞ্জের রাস্তায় ভীষণ জ্যাম লেগে থাকে।অনেক ব্যাস্ত রাস্তা। কাঁসাপিতলের বাসনপত্র তো দিতেই হয় বিয়েতে।দামও অনেক এই কাঁসাপিতলের।ধন্যবাদ সুন্দর কাঁচাবাজারের কেনাকাটার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
এতো রাস্তা ভাঙ্গছে কিন্তু গোবিন্দগঞ্জের রাস্তা ভাঙ্গার কোন নাম গন্ধ নেই। এটা ভেঙ্গে নতুন রাস্তা করলে যে কত খুশি হব, সেটা আর বলে বোঝাতে পারব না দিদি। অনেক ধন্যবাদ ।