কোচবিহারের বিখ্যাত মদনমোহন মন্দির দর্শন
নমস্কার,,
মালদা থেকে কোচবিহার পৌঁছাই ভোর ছয়টায়। অনেককে দেখলাম ট্রেনের ভিতরে নাক ডেকে শুয়ে শুয়ে ঘুমাচ্ছে। কিন্তু আমার কেন যেন সারারাত ঘুম হয়নি। তাই সকালবেলা পিসির বাড়ি পৌঁছার পর খাবার খেয়ে চুপচাপ ঘুমিয়ে যাই। সারাদিন আমাকে আর কেউ ডাকতে আসেনি। সবাই জানত রাতে ঘুমটা ঠিকমত হয়নি আমার তাই দিনের বেলা একটু ভালো ঘুম দরকার। সারাদিন ঘুমিয়ে দুপুরের খাবার খেতে প্রায় বিকাল হয়ে যায়। শরীরটা তখন বেশ ভালো লাগছিল। সারাদিন বাড়িতে শুয়ে বসে, এবার একটু বাইরে যাওয়া দরকার। সন্ধ্যা লাগার সাথে সাথেই বড় দাদার সাথে বাইক নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে গেলাম।
প্রথমে চলে গেলাম মদনমোহন মন্দিরে। এটা কোচবিহারের অনেক পুরাতন একটা ঐতিহ্য। প্রতিবছর রাস মেলায় এখানে অনেক ভক্ত সমাগম হয়ে থাকে এবং রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে জমজমাট মেলার আয়োজন হয়ে থাকে। আর এমনিতে প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী এসে থাকেন মন্দির দর্শন করতে। সন্ধ্যার পর পুরো মন্দির প্রাঙ্গণ জুড়ে চমৎকার আলোকসজ্জা করা হয়।। রাতের আলোয় মন্দিরটাকে বিভিন্ন রঙের রঙিন আলোয় কি যে অপূর্ব লাগে সেটা চোখে না দেখলে ছবি দিয়ে বোঝানো সম্ভব নয়।
আমি দাদাকে সাথে নিয়ে পুরো মন্দির প্রাঙ্গণটা ঘুরে দেখলাম এবং প্রণাম করলাম। মদনমোহনের মন্দির যেমন আছে, তার পাশাপাশি সেখানে রয়েছে মা কালীর মন্দির এবং শিব মন্দির। মোটামুটি সব জায়গাতেই আলোকসজ্জার ব্যবস্থা রয়েছে। এক কথায় অসাধারণ ছিল মুহূর্তটুকু। মন্দিরের সিকিউরিটির ব্যবস্থাও ছিল অত্যন্ত নিখুঁত। অনেকেই পরিবারসহ রাতের এই আলোকসজ্জা দেখার জন্য মন্দিরে উপস্থিত হয়েছিলেন। আমি আর দাদা দূর থেকে কিছুটা সময় চুপচাপ দাঁড়িয়ে রঙিন আলোকসজ্জা উপভোগ করলাম এবং তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে গেলাম।
কুচবিহার শহরটা বেশ বড় এবং অনেকটাই ফাঁকা। সেই সাথে বেশ সাজানো গোছানো। তাই এই শহরের ঘুরেফিরে বেশ ভালো লেগেছে আমার এক কথায়।