জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একদিন
নমষ্কার,,
ভোর ৫ টা ৩০ মিনিটে হঠাৎ ফোন আসলো। অনেক কষ্টে চোখ খুলে দেখি আমার মামী ফোন করেছে। বলছে যে, সকাল ১০ টার ভিতর জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে এসো, তোমার বোনদের নিয়ে এসেছি ভর্তি পরীক্ষা দিতে। বোনরা কয়দিন ঢাকাতে থাকবে আর মামী ওখান থেকেই বাড়ি চলে যাবে। তাই ছোট বোনদের নিয়ে আসতে হবে। কি আর করার সকাল সকাল উঠে সাড়ে সাতটার মাঝেই রওনা দিয়ে দিলাম যেন খুব একটা জ্যাম না পাই। আর নয় টার মাঝেই পৌঁছে গেলাম।
ভর্তি পরীক্ষার জন্য দারুন ভিড় ছিল পুরো এলাকা। আমিও যেন সেই পুরোনো দিনে ফিরে গেলাম। অ্যাডমিশন এর সময় এভাবে লাইন ধরে দাড়িয়ে থেকে পরীক্ষার হলে ঢুকতাম। তবে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আজই প্রথম যাওয়া আমার। এখানে আমি ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলাম না। আসলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বো বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আর কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলাম না। যাই হোক পৌঁছেই মামী আর বোনদের সাথে দেখা করলাম। সারা রাত জার্নি করে এসেছে তাই অনেকটাই ক্লান্ত লাগছিল সবাইকে। ওনাদের কে ওখানে বসিয়ে আমার এক বন্ধু কে ফোন করলাম। ওখানেই মাস্টার্স করছে। নাম আশিক। দশ মিনিটের মাঝেই একটা বাইক নিয়ে চলে আসলো আশিক। তারপর ওর বাইকে চেপে মোটামুটি পুরো ভার্সিটির এলাকা টা ঘুরলাম ঘন্টা খানেক ধরে।
আস্তে আস্তে ঘুরছিলাম আর আমার বন্ধু এক এক করে পুরো এলাকার বর্ণনা করছিল। বেশ লাগছিল শুনতে। ভার্সিটির সব থেকে ভালো লাগছিল যেই ব্যাপারটা সেটা হলো, চারদিকে সবুজে ভরা আর একটু পর পরই সুন্দর সুন্দর লেক। শীতকালে অথিতি পাখি এসে ভরে যায় এই লেক গুলোতে। অপূর্ব লাগে তখন। টেলিভিশনে অনেক দেখতাম এই লেক গুলো। আজ সামনাসামনি দেখছিলাম। বেশ ভালো লাগছিল সত্যি।
বিশ্ব কবি রবীন্দ্রাথ ঠাকুর হলের পাশের জায়গাটাকে ওখানে শান্তি নিকেতন বলে বলে। আমি তো শুনেই অবাক। আরো বেশ কিছু জায়গা আছে মজার মজার নাম দেওয়া। সুইজারল্যান্ড বলেও একটা জায়গা আছে পাশে। নাম গুলো শুনতেও খুব ভালো লাগছিল। এভাবে গল্পে গল্পে অনেকটা সময় ঘোরার পর আবার মামী আর বোনদের কাছে ফিরে গেলাম। একটু পর অন্য বোন পরীক্ষা দিয়ে চলে আসলো। কিছুটা সময় পর আমরা সবাই মিলে রওনা দিলাম ঢাকার দিকে।
প্রথমবার গিয়ে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ দেখে সত্যিই মন ছুয়ে গেছে। ইচ্ছে আছে শীতের দিকে আবার যাব। যখন অতিথি পাখি দিয়ে ভরে থাকবে পুরো ক্যাম্পাসের ছোট বড় সব লেক গুলো। অপেক্ষায় আছি সেই মুহূর্তের।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ঘোরাঘুরি করে কাটানো মুহূর্তটুকু আমাদের সাথে আপনি দারুণভাবে শেয়ার করেছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সুন্দরজমের জায়গায় গিয়ে সামনাসামনি সুন্দর সুন্দর লেক দেখায় সত্যি মজাই আলাদা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কাটানো সময়টুকু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুব ভালো কিছু সময় কেটেছে ভাই। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ভালো থাকবেন।
আমি নিজেও কখনো যায়নি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে আপনার পোস্টের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগল। এবং অনেক সুন্দর ভাবে লিখেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের পাশে শান্তিনিকেতন এটাও বেশ দারুণ ছিল। ধন্যবাদ দাদা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
শান্তি নিকেতনের নাম শুনে আমি নিজেই অবাক হয়ে গেছিলাম ভাই। আর জায়গা গুলো সামনে থেকে দেখতে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন ভাই।
আপনার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোরাঘুরি দেখে আমারও ভর্তি পরীক্ষার কথা মনে পড়ে গেল।আমিও ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে রিকশায় করে জাহাঙ্গীরনগর ঘুরে দেখেছিলাম। খুবই ভালো লেগেছিল এত সবুজ গাছপালা আসলে চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মত। আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে শীতকালে একবার যাওয়া উচিত।
হ্যাঁ আপু শীতকালে যাব ওখানে। এক সাথেই যাব না হয় কেমন 😊। বেশ মজা করে ঘুরে আসবো।