বিপদ যখন আসে সব দিক দিয়ে আসে ।। সকলের আশির্বাদ প্রার্থী 🙏
নমস্কার,,
গতকাল সকালবেলা হঠাৎ করেই দিদি ফোন করেছে বাড়ি থেকে। বাবার শরীরটা আবার খারাপ করেছে। প্রেসার আবার অনেক বেড়ে গিয়েছে। চিন্তা করলাম ঢাকাতে আর বসে না থেকে সাথে সাথে রওনা দিয়ে দেই বাড়ির দিকে। নিজে সেখানে থেকে ডাক্তার দেখিয়ে টেস্ট করিয়ে নেই। রুমে এসে ব্যাগ গোছানো শুরু করতেই হঠাৎ করে খবর আসলো যে ডাক্তারের কাছে দেখানোর কথা নিউরো মেডিসিনের তিনি ছুটিতে আছেন গতকাল বসবেন না। শুনে মনটাই খারাপ হয়ে গেল। এদিকে বাবার শরীরটা একদমই খারাপ তাই অন্য ডাক্তার দেখাতেই হবে। পরবর্তীতে অন্য একজন মেডিসিনের ডাক্তার দেখানোর ব্যবস্থা করলাম।
এর মাঝে আমার হঠাৎ করেই গায়ে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর চলে আসলো। কিছুই বুঝে উঠতে পারলাম না। সবকিছু গুছিয়ে আবার রেখে দিতে হলো। পুরো শরীর ব্যথাতে যেন শেষ হয়ে যাচ্ছিল। নিমিষেই আমি যেন নেতিয়ে পরলাম। মাথা তুলতে পারছিলাম না একদমই। প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয়ে গেল। তারপর একটা নাপা খেয়ে শুয়ে রেস্ট নিতে শুরু করলাম। ভাবলাম শরীরটা ঠিক হয়ে গেলে সন্ধ্যের দিকে বাড়ির দিকে রওনা দেব। কিন্তু সময় যত গড়াতে থাকে শরীরের কন্ডিশন তত খারাপ হতে শুরু করে। আমার আর বাড়িতে যাওয়া হলো না।
ঢাকাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক পরিমাণে বেড়ে গেছে। তাই সবাই বলল ডেঙ্গু টেস্ট করতে। শরীরের যে কন্ডিশন তাতে করে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বশরীতে গিয়ে ব্লাড দেয়ার মত অবস্থা আমার ছিল না। আমার রুমমেট একটা ডায়গনস্টিক সেন্টারে জব করে। ও ফোন করে একজনকে বাড়িতে আসতে বলে ব্লাড কালেকশন করার জন্য। শেষমেষ দুপুরের দিকে আমার ব্লাড নিয়ে যায়। এবং দুঃখের বিষয় হলেও সত্যি যে সন্ধ্যেবেলা রিপোর্টটা হাতে যখন পাই দেখি ডেঙ্গু পজেটিভ। মাথায় যেন অনেকটা আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। ঢাকাতে থেকে আমাকে দেখাশোনার করার মত কেউ নেই। কাল থেকে প্লাটিলেট আরো কমতে শুরু করবে। তাই আজ রাতেই সবাই বাড়ির দিকে রওনা দিয়ে দিতে বলল। তাই আমার রুমমেটকে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
সত্যি বলতে বাবা যদি সুস্থ থাকতো তাহলে কোন কথা ছিল না। বাবা অসুস্থ আর এদিকে আমিও। বগুড়াতে গিয়ে হয়তো ক্লিনিকে ভর্তি হয়ে থাকতে হবে। মা বলল আগে ভালোভাবে বাড়িতে পৌঁছাও, ডাক্তার দেখানোর পর ডাক্তার যা বলবেন সেই মতই কাজ করা হবে। সময় যখন খারাপ আসে সবদিক দিয়েই খারাপ আসে। সকলে আমার এবং আমার বাবার জন্য আশীর্বাদ করবেন। ডেঙ্গু অনেক খারাপ দিকে নিয়ে যেতে পারে। মনে মনে ভয় তো পাচ্ছিই। তবে আপনাদের আশীর্বাদ এবং দোয়া সাথে থাকলে আশা করি এই কঠিন সময়টাও উতরিয়ে যেতে পারবো।
ভাইয়া আপনার জ্বরের ধরণ দেখেই বুঝতে পেরেছি আমি আপনার ডেঙ্গু হয়েছে।আমার আজ কয়দিন জ্বর-কাশি।একটু ভয়ে ছিলাম ডেঙ্গু মনে করে।ডেঙ্গু না আমার জ্বর কাশি।জ্বর চলে গেল এই কাশি আমারে ছাড়েনা। ভাইয়া ভাল মত চিকিৎসা নিন।ডেঙ্গু খুবই মারাত্নক একটা রোগ।দোয়া করি দ্রুত সুস্হ্য হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুন🙏🙏💙💛
সত্যি ভাইয়া আপনার ঘটনাটি পড়ে আমার কেমন যেন লাগছে। পড়ার সময় এত খারাপ লাগছিল যা বলে বোঝাতে পারবো না ।একদিকে আপনার বাবা অসুস্থ তার জন্য তো যেতে পারলেন না ।অন্য দিকে আপনার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে ।ডেঙ্গু খুবই খারাপ জিনিস।আপনি ভালোভাবে আপনার বাড়িতে পৌঁছান সেই প্রার্থনাই করি এবং খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুন , সবসময় সেই প্রার্থনাই করব ।ভাইয়া মনে সাহস রাখবেন , নিশ্চয়ই আপনি ও আপনার বাবা দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।
হ্যাঁ আপু আপনাদের দোয়াতে রিপোর্ট ভালোই এসেছে। আশা করি আরো ভালো কিছু হবে। তবে ভীষণ কষ্ট সহ্য করতে হয়।
সত্যি ভাই আপনি কথাটা একেবারে ঠিক বলেছেন বিপদ যখন আসে তখন সবদিক থেকেই আসে। যাইহোক অনেক অনেক প্রার্থনা করি যাতে আপনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান এবং আপনার বাবা ও সুস্থ হয়ে যায়। ডেঙ্গুতে অনেক লোক আক্রান্ত হচ্ছে সকলকে একটু এসব দিকে সচেতন হতে হবে।
একটা মশার যে এত দাপট হতে পারে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত না হলে বুঝতেই পারতাম না । দোয়া রাখবেন আপু।
আপনার বাবার সুস্থতা কামনা করছি, আশীর্বাদ করি উনি যেন খুব জলদি ভালো হয়ে যান।
আপনার অতি দ্রুত ডাক্তার দেখানো উচিত। কারণ আমার একটা দাদার এখানে কিছুদিন আগে ডেঙ্গু হয়েছিল এবং তিনি শেষ পর্যায়ে এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন যে বলতে গেলে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন। যত দ্রুত সম্ভব সঠিক চিকিৎসা নিন। আশা করি খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবেন।
আমি চিকিৎসার দিক দিয়ে লেট করে নি একদম। একদিনের মাঝেই ক্লিনিকে ভর্তি হয়ে যাই। আর এখন রিপোর্টগুলো মোটামুটি ভালই আসছে।
তোর আর তোর বাবার জন্য আশীর্বাদ করছি । দুজনের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি । ঈশ্বর সহায় হউক । সুস্থ হয়ে বাসায় বেড়াতে আসিস অপেক্ষায় থাকলাম। আমারও মনের অবস্থা ভালো না রে , তোর ভাতিজা অসুস্থ।
যে অসুখ ধরে ফেলেছে ভাই,, সুস্থ্ হওয়া টাই বড় একটা চ্যালেঞ্জ এখন। ইচ্ছে তো ছিল অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে যাব। আমরাও তো খুব যাওয়ার ইচ্ছে। কিন্তু সময় তো বিপরীতে নিয়ে গেল ভাই। দোয়া রাখবেন। 🙏❤️
ভালোবাসা নিরন্তর।
ইস ঘটনাটি পড়ে আসলেই মনটা খারাপ হয়ে গেল বাবার জন্য তরী ঘড়ি করে যেতে গিয়ে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন জিনিসটা আসলেই মেনে নেওয়া যায় না। হঠাৎ করে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর ওঠা তারপর ডেঙ্গু ধরা পড়া কেমন হলো জিনিসটা সত্যিই দুখঃজনক। চিন্তা করবেন না ভাইয়া এখন ডেঙ্গু জ্বর হলেও আগের মত অতটা ভয়ংকর হয় না, দোয়া করছি তাড়াতাড়ি যেন সুস্থ হয়ে ঢাকাতে ফিরে আসেন ।তবে আপনি বাড়িতে গিয়ে একটা ভালো কাজ করেছেন এই সময় অনেক সেবা যত্নের প্রয়োজন হয় হসপিটালে ভর্তি হতে পারলে তো ভালো।বেশি করে লিকুইড খাবার খাবেন। দোয়া রইল আপনাদের জন্য সুস্থতা কামনা করছি ।
আপু আমি ঢাকা থেকে সরাসরি ক্লিনিকে এসে ভর্তি হই। ভোর সাড়ে চারটার দিকে। বগুড়াতে সবকিছু রেডি করা ছিল একদম। দোয়া রাখবেন আপু।
এমন বিপদ আল্লাহর জন্য কাউকেই না দেয়। বাবা অসুস্থ অবস্থায় আপনারই শক্তভাবে পাশে দাঁড়ানোর কথা ছিল । সেখানে আপনি অসুস্থ হয়ে গেলেন । খুব ভালো কাজ করেছেন এই অবস্থায় ঢাকায় একা পড়ে না থেকে বাড়িতে চলে গিয়েছেন । আর ভাইয়া প্রচুর পরিমাণে লিকুইড খান। যতক্ষণ না অসহ্য লাগে। এই লিকুইড ই আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। দোয়া তো সবসময়ই থাকে। দ্রুত সুস্থ হন আপনি এবং আপনার বাবা এই দোয়াই করি আবারও।
এখন শরীরের কি অবস্থা?
ভোর সাড়ে চারটায় বাস থেকে নেমে একদম সোজা ক্লিনিকে চলে আসি আপু। ক্লিনিকে কথা বলে আগে থেকেই কেবিন ঠিক করে রাখা ছিল। সেই তখন থেকেই স্যালাইন চলছে নরমাল ওষুধ চলছে আর লিকুইড জাতীয় খাবার,, একটু আরাম পেয়েছে শরীরটা গত দুই দিনের থেকে। তবে এত যে কষ্ট আপু এই ডেঙ্গু জ্বরে,,, কারো যেন এই ভোগান্তি না হয়। 🙏🙏
খুব ভালো করেছেন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে। তাহলে আর কোন রিস্ক থাকলো না। টেনশন কইরেন না। সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া। বিপদটা বলে আসে না আর যখন আসে তখন সব দিক দিয়ে একসঙ্গে বিপদ ধেয়ে আসে। ঠিক আপনার যেমন অবস্থা হয়েছে আপনার মত আমার সেই বিপদটি একেবারেই চারদিক থেকে এসেছে।
তবে ভাই আপনার সবার জন্য শুভকামনা রইল। যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান
দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনাই করি। ডেঙ্গু আসলেই ভয়াবহ একটি অসুখ। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। করোনা পজিটিভ হওয়ার পরও এতটা খারাপ লাগেনি যতটা ডেঙ্গু হওয়ার পর লেগেছিলো। প্রচুর পরিমাণে লিকুইড খাবেন আর রেস্ট নেবেন।
আমি সরাসরি ক্লিনিক এসে ভর্তি হয়েছিলাম ভাই। সব ধরনের ট্রিটমেন্ট ভালোভাবে হওয়ায় এখন অনেকটা ভালো আছি। দোয়া রাখবেন ভাই।
তাড়াতাড়ি তোমার সুস্থতা কামনা করি। ডেঙ্গু যে কি বাজে একটা রোগ নিজের না হলে বোঝা যায় না। বেশি বেশি করে স্যুপ খাও সজীব। সাথে পেঁপে পাতার রস। গাফিলতি একদম করবে না।
সব ধরনের চেষ্টাই করেছি দাদা। মোটামুটি অনেকটা ভালো এখন। বাকিটা মায়ের উপর ছেড়ে দিলাম। জয় মা। 🙏