তৌহিদা আপুর বাসায় হঠাৎ এক ঝটিকা অভিযান 😊
নমস্কার,,
বিকেলের সময়টা ছিল একদম প্ল্যানের বাইরে। কখনো কখনো হঠাৎ করেই কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে এসে হাজির হয়ে যায়, আর একদম স্মরণীয় করে দেয় পুরো সময়টাকে। একটা পরীক্ষা দিতে ঢাকা এসেছি হঠাৎই।আর আমার পরীক্ষার কেন্দ্র টাও ছিল @tauhida আপুর বাসার পাশেই। মোটামুটি পাঁচ মিনিট হাঁটলেই আপুর বাড়ি। এক্সাম দিতে গিয়ে ফোন নিয়ে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয় প্রায় সময়ই। তাই আপুকে আগের দিন জানিয়েছিলাম যে যদি ফোন নিয়ে কোন প্রব্লেম হয় তবে আপুর কাছে রেখে যাব ফোনটা। তবে কেন্দ্রে দেখলাম কোন ঝামেলা হোলো না। তাই আর আপুকেও ফোন দিয়ে বিরক্ত করতে চাইনি। এর মধ্যেই দেখলাম আপু নক দিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে। আমি আপুকে জানালাম এক্সাম শেষ করে ফেরার সময় ফোন করব। সত্যি বলতে আমি ভেবেছিলাম এমনি রাস্তায় পাঁচ মিনিট দেখা করেই অন্যদিকে চলে যাব। কিন্তু শেষমেষ আপু একদম বাসায় নিয়ে গিয়েই ছাড়লো।
তৌহিদা আপু এবং ফানার সাথে এর আগেও দেখা হয়েছে, গল্প হয়েছে। কিন্তু সেদিনের সব থেকে স্পেশাল একটা মুহুর্ত ছিল আমার জন্য আপুর হাসবেন্ড অর্থাৎ ভাইয়ার সাথে পরিচয় হওয়া। এক কথায় আমার দেখা অসাধারন একজন মানুষ ভাইয়া। প্রথম দেখায় আমার সাথে এতোটা ফ্রেন্ডলী ভাবে মিশেছে, এটা একদম আমার কল্পনার বাইরে। প্রায় এক ঘন্টা সময় আমরা একটানা গল্প করে কাটিয়েছি। দারুন পজিটিভ মেন্টালিটির একজন মানুষ ভাইয়া। আমি যতক্ষণ তার সাথে কথা বলেছি পুরো মুগ্ধ হয়ে শুনেছি এবং চেষ্টা করেছি কথাগুলো নিজের ভেতরে নেওয়ার। খুব অল্প সময়েই যেন খুব কাছে চলে গিয়েছিলাম আমরা দুজন। সত্যি বলতে আপুর সাথে খুব অল্প আড্ডা দিয়েছি। আমরা দুই ভাই ই যেন সব সময় মেতে ছিলাম আমাদের নিয়ে।
আমি সাধারনত সহজে কারো বাসায় যাই না। কারণ গেলেই অ্যাপায়ন নিয়ে সবাই ব্যস্ত হয়ে যায়। আর এদিকে আমি আর খাওয়া দাওয়া একদম ব্যস্তানুপাতিক, হিহিহিহি। আমাকে সামনে থেকে দেখলেও সেটা অনায়াসে বোঝা যায়। বাসায় ঢোকার সাথে সাথে আপু খাবার আয়োজন শুরু করে। দেখি পুরো টেবিলে খাবার সাজিয়ে দিয়েছে। আমি শত বারণ করেও আটকাতে পারি নি। কি আর করার। টেবিলে বসে সব রান্নাই একটু একটু করে টেস্ট করলাম। কারণ পেটে একদমই ক্ষিদে ছিল না। আপু যে রেসিপি গুলো পোস্ট করে, আমি সামনে থেকে খেয়ে আসছি সেগুলো। ব্যাপারটা ভাবতেই বেশ ভালো লাগছিল, হিহিহিহি।
ও হ্যাঁ আরেকটা কথা আপুর ছেলে অর্থাৎ ফানা একটা গান গেয়েও শুনিয়েছে আমাকে। ছোট বাবুদের এই কালচারাল ব্যাপার গুলো আমার সব সময় দারুণ লাগে। তারপর বেরিয়ে আসার আগে অল্প কিছু সময় ফানার সাথে একটু ফুটবল খেলি। আমরা দুজনই বেশ খুশি। আমার ছবি তোলার কথা একদমই মনে থাকে না। বেশ কিছু ভালো মুহূর্তের ছবি মিস করে গিয়েছি তাই। দু একটা ছবি যাই তোলা হয়েছে এর পুরো ক্রেডিট তৌহিদা আপুর। হিহিহিহি।
কখন কোথায় কই থেকে কি হয়ে যায় এটা সত্যিই বলা মুশকিল। তার আরো একটা প্রমাণ বেশ ভালো ভাবেই পেয়ে গেলাম। অল্প সময়ে পাওয়া এই মুহূর্ত টুকু একদম মনে গেঁথে গেছে। প্রিয় এই মানুষ গুলোকে নিয়ে গুছিয়ে লেখা খুব কষ্টকর। তাই আর না এগোনই ভালো। সৃষ্টিকর্তা সবসময় তাদের ভালো রাখুক। আর স্নেহের এই বন্ধন টাও অটুট থাকুক। এটাই প্রার্থনা শুধু।
তৌহিদা আপুর বাসায় গিয়ে বেশ জমিয়ে আড্ডা দিয়েছেন ভাই তা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। আর তৌহিদা আপুর হাসবেন্ড খুবই মিশুক মানুষ তা জেনে খুব ভালো লাগলো। মিশুক ও খোলামেলা মনের মানুষ অনেকেই হতে পারে না। সে দিক থেকে তৌহিদা আপুর হাজবেন্ডের প্রশংসা শুনে মনটা ভরে গেল। আর হ্যাঁ ভাই আপনাদের এই স্নেহের বন্ধন অটুট থাকুক আমিও এই প্রত্যাশা করছি।
একদম মনের কথা বলছেন ভাই,, এমন খোলামেলা মনের মানুষ সবাই হতে পারে না। আর যত দূর আমি জানি আপনিও খুব ভালো মনের একজন মানুষ। অনেক ভালোবাসা রইলো ভাই।
আপুর ছেলেটি বড়ই মিষ্টি দেখতেছি। যাই হোক আপুর বাসা আপনার ওখান থেকে পাঁচ মিনিটের রাস্তা। শুনে ভালো লাগলো আপুর হাজবেন্ড অসাধারণ মানুষ। আপনার সাথে ফ্রেন্ডলি ভাবে মিশে গেল। তবে বেশি ভালো লাগলো আপুর ছেলে আপনাকে একটি গান গেয়ে শুনিয়েছে। যাহোক ১ ঘন্টা মিলে সবাই একসাথে আড্ডা দিয়েছেন। এবং খুব সুন্দর করে সাজিয়ে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
হ্যাঁ ফানা অনেক মিষ্টি একটা ছেলে । সময় টা খুব ভালো কেটেছে আপুর বাসায়। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আসলেই সেদিনের মুহূর্তটা খুবই সুন্দর ছিল ।আমার কাছেও খুবই ভালো লেগেছে । আপ্যায়ন আর কোথায় করলাম । সে সময় টুকু সত্যি খুব ভালো ছিলো । অন্য ছবি গুলো দিতে তো বলেছিলাম কেন দেন নি?
শেষে যে চা টা ছিল, ওটাই আমার জন্য একদম পারফেক্ট আপু 😊। একটু কনফিউজড ছিলাম প্রথমে, তারপর সব ছবিই অ্যাড করে দিয়েছি । দোয়া করবেন আপু ভাইয়ের জন্য 🙏, আর সব সময় অনেক ভালো থাকবেন।
আমি মিস করে ফেললাম। আগে এরকম প্ল্যান করলে তো আমিও যেতে পারতাম। যাই হোক অসুস্থতার জন্য মিস হয়ে গেল। পরবর্তীতে আবার কখনো একসাথে আড্ডা দেওয়া যাবে। ভালো লাগলো। আপুর বাসায় গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে।
সত্যি বলতে আমি নিজেও জানতাম না যে এমন কিছু হবে। হঠাৎ করেই সব হয়ে গেছে। পুরো ক্রেডিট বড় আপুর। তবে কোন একদিন সম্ভব হলে আবার হয়তো এক সাথে সবাই মিলে আড্ডা দেব আপু। দোয়া করবেন 🙏
আমি আজই শুনেছিলাম আপনাদের দেখা হওয়ার কথা । আর পোস্টেও দেখে ফেললাম ।বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন মনে হচ্ছে। এভাবেই সম্পর্ক গুলো অটুট থাকুক।ধন্যবাদ
কিভাবে কি হয়ে গেল বুঝতেই পারি নি সেদিন আপু। দোয়া করবেন সব কিছু যেন ভালো থাকে এবং সুস্থ থাকে।
এক্সাম দিতে এসে তৌহিদা আপুর সাথে দেখা করে গেলেন। সত্যি অনেক ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন এবং ছেলের সাথে অনেক মজ মস্তি করেছেন দেখছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ফানা খুব মিষ্টি একটা ছেলে আপু,, ওর সাথে সময় কাটাতে সত্যি খুব ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি দেখছি বেশ ভালোই বেড়িয়েছেন। সত্যি ভাগ্য কার কখন কিভাবে কোথায় নিয়ে যায় বুঝা মুশকিল। যাইহোক ভাইয়া আপনি বাসার সবারই সাথে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। আপনাদের এই বন্ধন বেঁচে থাকুক আজীবন।ফানার জন্য অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইল।
হ্যাঁ আপু অনেক ভালো ছিল আমাদের সময়টা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময়।
খুব ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার আজকের পোস্ট পড়ে। আপুর বাসায় খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন তা বেশ বুঝতে পারছি।ভাইয়া খুব পজিটিভ মাইন্ডের মানুষ বললেন।দুজনে খুব গল্প করলেন।আপুর ছেলে গান ও শুনালো।বাচ্চাদের কন্ঠে গান খুব ভালো লাগে শুনতে।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু ছোট বাচ্চাদের গানের ভেতর দারুন একটা আদুরে ভাব আছে। খুব ইনজয় করি এই ব্যাপারটা আমি। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ইস্ আমাকেও একটু বললে পারতেন। আমি তো পাশেই থাকি। তাহলে তো এই পোস্টে আমিও থাকতে পারতাম। হি হি হি। বেশ ভালো লাগলো দাদা। এমন করে হুট করে আমার বাসায় একদিন চলে আসেন। আপনার পোস্টে পড়ে বুঝতে পারলাম যে ভাইয়া বেশ ভালো মনের মানুষ। বেশ ভালো লাগলো পোস্ট পড়ে।
হাহাহাহা,, আমি তো ঢাকা শহরে গেলে এদিক ওদিক ছুটে বেড়াই। কোন একদিন দেখা গেল আপনার বাড়িতেও হামলা করে বসলাম। অপেক্ষা করেন আপু। অনেক ধন্যবাদ।
তৌহিদা আপুর বাসায় গিয়ে দেখছি বেশ ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন সবাই মিলে। আসার সময় ফানার সাথে আবার ফুটবল খেলেছিলেন দেখছি। আর আপুর হাজবেন্ড কে দেখেও বুঝতে পারছি তিনি আপনার মতোই অনেক মিশুক। ওনার সাথে ও গল্প করেছিলেন অনেক সময় ধরে ভালো লাগলো এই সবকিছু জেনে। সবার সম্পর্কটা যেন সব সময় এরকম সুন্দর এবং ভালো থাকে এটাই দোয়া করি সৃষ্টিকর্তার কাছে।
সুন্দর এই সম্পর্ক গুলোর জন্যই হয়তো পৃথিবীটা এতো সুন্দর। আমরা সবাই এক সাথে মিলেমিশে যেন ভালো থাকি এটাই চাওয়া। অনেক ধন্যবাদ আপু।