দিদির সাথে নিউ মার্কেটে প্যারাময় একটা দিন
নমস্কার,,
ঢাকাতে আমি যেখানে থাকি তার ঠিক পাশেই আমার মামাতো বোনের বাড়ি। পাঁচ মিনিটের হাঁটা পথ বলা যায়। তো গতকাল রাতে দিদি ফোন করে আমাকে বলল দুপুরে ফ্রি আছি কিনা তাহলে ওই সময়টাতে আমার কাছে ভাগ্নেকে রেখে দিদি আর জামাইবাবু একটু নিউমার্কেটে যাবে। এমনি রাফ ইউজের শীতের কিছু কেনাকাটা করবে ছোট বাচ্চাদের জন্য। আমিও বলে দিলাম ঠিক আছে কোন প্রবলেম নেই আমার। ভাবলাম ওখানে গিয়ে তো কোন কাজ নেই। সারাদিন বসে কমেন্ট করব আর পোস্ট লিখব। ভাগ্নেকে টিভিতে কার্টুন চালিয়ে ব্যাস্ত রাখবো।
হঠাৎ করেই আজ দুপুরে আবার ফোন দিয়ে দিদি বলছে একটু তাড়াতাড়ি আয় বাড়িতে। তোকে নিয়েই যেতে হবে নিউমার্কেট। জামাইবাবু কি একটা কাজে যেন আটকে গেছে। আমি তো সাথে সাথেই ফেঁসে গেলাম। কারণ দুপুর বেলা নিউমার্কেটের ওই দিকটায় যেতে এত বিরক্ত লাগে। আর তার চাইতে বড় কথা দিদির কেনাকাটা করতে অনেক সময় লাগবে কারণ প্রচুর জিনিসপত্র কিনবে। এদিকে আর কোন উপায় নেই আমার হাতে। সব শেষ দিদি কে নিয়ে যেতেই হলো নিউমার্কেট।
মোটামুটি ঘন্টা খানেক সময় লেগেছিল নিউমার্কেট পৌঁছাতে। আর তারপর শুরু হল আমার বোনের কাপড় কেনাকাটার অভিযান। এদিক সেদিক করতে করতে পুরো পাগল করে দিচ্ছিলো। আমি শুধু ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মতো এদিক ওদিক দৌড়িয়ে যাচ্ছিলাম। আর যখন নিচ্ছে তো একসাথে পাঁচ-ছয়টা করে জামা কাপড় নিচ্ছে। আমি অবশ্য বোকার মত জিজ্ঞেস করলাম এত কাপড় কিনে কি করবি। দিদি বলল তোর ছোট ভাগিনা হিসু করতে করতে ভাসিয়ে দিচ্ছে । ওকে চেঞ্জ করাতে হয় অনেক বেশি। তাই বেশি করে কাপড়-চোপড় কিনে রাখতে হচ্ছে। আসলে ছোট ভাগ্নের বয়স দেড় বছর মাত্র।
নিউমার্কেটে গেলে আমার দমটা যেন আটকে আসে প্রতিবারই। এত মানুষ কই থেকে যে আসে এটাই বুঝে পাইনা। আর মেয়েদের কাপড়ের স্টল গুলোতে তাকালে মনে হয় সেখানে মেয়ে তো নয় যেন মৌমাছি ভিড় করে আছে । ওভারব্রিজ দিয়ে পার হওয়ার সময় রীতিমতো যুদ্ধ করে তারপর পার হতে হয়। আমি শুধু ভাবি মানুষের এত কেনাকাটার প্রয়োজন পরে প্রতিদিন!!!
যাই হোক মোটামুটি তিন ঘন্টা সময় অতিবাহিত হওয়ার পর আমার শরীর যেন আর পারছিল না। অন্যদিকে কয়দিন হলো রাতের ঘুমটা ঠিক মত হচ্ছেনা। দুই হাতে শপিং ব্যাগ নিয়ে টানতে টানতে রীতিমত ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আর ঠিক তখন থেকেই দিদিকে খোঁচানো শুরু করি তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার জন্য। দিদি তো আসতেই চায় না। বলে আর কিছু দেখি। আমি তাড়াহুরো করছিলাম দেখে আর দেরি করলো না। তারপর বাড়ির পথে রওনা দিলাম। বেশ ভালো রকমের জ্যাম ঠেলে তারপর বাড়ি পৌছালাম।
আজ আর শরীর পারছে না একদম। ভীষণ রকমের ক্লান্ত। কাল আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আশা করি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
নিউমার্কেট আমার অনেক পছন্দের জায়গা। মাঝে মাঝে যখন ঢাকায় যায় তখন নিউমার্কেট থেকে শপিং করি। আপনি দিদিকে নিয়ে অনেক চমৎকার একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। এটাই হচ্ছে ভাইদের কর্তব্য দিদি যখনই ডাকবে তখনই যেতে হবে। হিহিহি।।
ওরে বাবা ঐ জায়গার নাম শুনলেই আমার গলা শুকিয়ে যায়, আর ওটা আপনার পছন্দের জায়গা আপু!! 😳। আর বোন ডাকলে না যেয়ে তো কোন উপায় থাকে না আর ☹️। ভালো থাকবেন আপু। অনেক ধন্যবাদ।
কেনাকাটার জন্যই নিউমার্কেট। আপনি আপনার দিদিকে কথা দিয়ে ফেৃসে গেছেন।আসলে আপনি ভেবে ছিলেন বাসায় থেকে কমেন্ট করবেন ও দিকে হয়ে গেল উল্টো। আপনার বোন কাপড় কিনেছিল আর আপনি শুধু ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মতো এদিক ওদিক দৌড়িয়ে যাচ্ছিলেন অনেক মজার। বোনদের প্রতি ভাইদের এই দায়িত্বটা থাকা স্বাভাবিক।
হ্যাঁ দায়িত্ব তো আছেই। আসলে এই শপিং এর কাজে আমি খুবই কম যাই। প্রচন্ড মানুষের ভিড় থাকে। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যি ভীষণ মজা পেয়েছি। ভেবেছিলেন এক হলো আরেক। অবশেষে তিন ঘন্টা শপিং করে ক্লান্ত তো হবারই কথা। আসলে নিউমার্কেটে গেলে সত্যিই ওরকমই মনে হয় এত মানুষ কই থেকে যে আসে। তবে কেনাকাটা করতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
কি আর বলবো আপু,, সারা দিনে যা যা প্ল্যান ছিল কোনটাই আর ঠিক মত করা হলো না আজ। আর হাঁটাহাঁটি করে পা টাও খুব ব্যাথা।
অনেক ভালো থাকবেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
ওরে ভাই নূরজাহানেই সব থেকে বেশি সময় ছিলাম। কি আর বলবো। আপনি মাসে দুই বার যান, ওরে বাবা রে বাবা! আপনার ধৈর্যশক্তির প্রশংসা করতেই হয় বস 👌👌👌😉। অনেক ভালো থাকবেন।
কি চিন্তা করেছিলেন আর কি হয়ে গেল। বাসায় বসে আরামে কমেন্ট করবেন তার হলো না। আসলে নিউ মার্কেটের ওদিকে গেলে খুবই খারাপ লাগে আমার নিজেরও । বিশেষ করে চাঁদনী চক গাউছিয়ার সামনের অবস্থা তো ভয়াবহ খারাপ থাকে। ওভারব্রিজ দিয়ে তো যাওয়াই যায় না এত লোকের ভিড়। তাছাড়া বাচ্চাদের কেনাকাটা করতে গেলে সময় একটু বেশি লাগেই। যাক তাও তো আপনার দিদি তিন ঘন্টায় কেনাকাটা শেষ করতে পেরেছিলো। আপনার যন্ত্রণায় আরেকটু ঘুরতে পারলো না।
তিন ঘণ্টা কি কম হলো 😳😳🙄!! পায়ের হাড় যেন খুলে পরার হাল হয়ে গিয়েছিল। আমি তাড়া না দিলে আরো দুই ঘণ্টা সময় চোখ বুজে শেষ হয়ে যেতো 😅।
ছেলেদের এমনিতেই শপিং করতে গায়ে জ্বর আসে। গার্লফ্রেন্ড বললে তাও ভদ্রতার খাতিরে মানা করতে পারে না। কিন্তু মা বা দিদি বললে যেন মোটেই নিয়ে যাওয়া যায় না। নিজের ভাইকে দিয়েই দেখেছি।তাও আপনি ৩ ঘন্টা ঘুরেছেন সেটা অনেক বড় পাওনা আপনার দিদির। 😄
হিহিহিহি,,, কথা গুলো শুনতে খুব একটা মন্দ লাগলো না কানে 😅😅। বউ আসলে যে কি হাল করবে এটাই চিন্তার বিষয় এখন 😉।
ভাইয়া আমার বাসা থেকে নিউ মার্কেট কাছে। আমি নিউ মার্কেট ই কেনাকাটা করি। তবে বিরক্ত লাগে ভীর দেখে। ১২ ই মাস ভীর লেগে থাকে। খুব ভাল লাগলো দিদিকে সময় দিয়েছেন। ভাই হলে বোনের জন্য এতটুকু তো করাই যায়। খুব ভাল লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আগে জানলে তো আপনার বাড়ি গিয়ে স্যুপ খেয়ে রেস্ট নিয়ে তারপর আবার যেতাম কেনাকাটা করতে 😀। এর পরের বার আর মিস করবো না আপু এই সুযোগ 😊