হবিগঞ্জে কাটানো একটা দিন 😊
নমষ্কার,
তো চলছে গাড়ি চলছে গাড়ি এই করে করে হবিগঞ্জ চলে এসছিলাম 😊। অনেক কষ্টে একটা হোটেল ম্যানেজ করলেও রাতে ভয়ে ঘুম আসছিল না একদম😉। আসলে অপরিচিত জায়গায় গেলে কেমন একটা লাগে। ঘুম হয় না ঠিক মত। রাত আড়াটায় হয়তো ঘুমিয়েছিলাম।
তো সকাল সকাল ঘুম ভাঙ্গল। দশটায় যাব এক জায়গায়। তাই আগে ভাগেই স্নান করে নিলাম। তারপর সকাল আট টায় বেড়িয়ে গেলাম একটু ভাতের খোঁজে। আগের রাতে পেটে ভাত পরে নি। আর সকাল বেলা আমি রুটি পরোটা এসব খেতে পারি না। তাই ভাত খেতেই হবে। মজার ব্যাপার হলো কোন হোটেলে ভাত নেই সকালে। শুধু রুটি। আমাকে তো ভাত খেতে হবে। এদিক ওদিক হাটতে শুরু করলাম। সব হোটেলে গিয়ে ভাত খুঁজি, আর মানুষ আমার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে। আসলে ওদিকে বাইরে সবাই রুটি টাই বেশি খায় দেখলাম। অনেক খোঁজার পর এক হোটেলে বলল ভাত আছে। শুধু ডাল দিয়ে। চাইলে সাথে ডিম ভাজি হবে। আমি বললাম বিন্দাস। দুটি ডিম ভাজি, ডাল আর এক প্লেট ভাত খেয়ে তবেই আমার শান্তি হলো।
হবিগঞ্জে গিয়ে আমি মোটামুটি অবাক হয়েছি অনেক কারণেই। প্রথমত একটা জেলা শহর এত ছোট হতে পারে আমি ভাবতেই পারি নি। মানে কোন একটা জায়গা থেকে মোটামুটি ৩০ মিনিট যদি হাঁটা যায় তাহলে পুরো শহর শেষ। জেলা শহর বলে মনেই হয় না। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, জলের রং একদম ঘোলা। দেখলে আর স্নান করতে ইচ্ছে করবে না। আর ভাষা বুঝতে বেশ অসুবিধা হচ্ছিল। কেমন যেন রুক্ষ ভাষা।
আমি খাওয়ার আগে এবং পরে বেশ হাঁটাহাঁটি করে শহর টা দেখার চেষ্টা করি। হাঁটতে হাঁটতে দেখি একটা নদী আর ব্রিজ। পরে শুনি এটাই শহরের শেষ। আমি তো অবাক পুরো।
আরেকটা মজার কথা বলি। যে ছবিটা আপনারা দেখছেন আমরা এটাকে অটো বলি, কোথাও টোটো বলে আবার কোথাও ইজি বাইক। কিন্তু হবিগঞ্জে এটাকে টম টম বলে 🤪🤪। আমি শুনে অবাক। ঘোড়া ছাড়া টমটম এই প্রথম দেখলাম 😉😀।
রাস্তার দুই পাশে যা যা ছিল তার দুই একটা ছবি তোলার চেষ্টা করি। মন্দির, মসজিদ, টাউন হল, বৃন্দাবন সরকারি কলেজ সহ নানান জায়গা। আমার বেলকুনি থেকেও একটা ছবি তুলেছিলাম।
এবার কাজটা শেষ করে আমি আগে থেকেই খুঁজে রেখেছিলাম ইসকন হোটেলে গিয়ে নিরামিষ রান্না খাব। তো হেঁটে যেতেই ধুম করে বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়ে গেল। খুব জোরে বৃষ্টি। ফাঁকা দেখে দাড়ালাম এক বাড়ির নীচে। আসে পাশে কেউ নেই, এই সুযোগে দুটো সেলফি তুলে নিলাম 😉😉😅। আমার এই কাজটাই খুব লজ্জা করে।
সব কিছু মিলিয়ে বেগ ভালো একটা দিন ছিল। একদম ছিমছাম ছোট্ট একটা শহর হবিগঞ্জ। ও হ্যাঁ যে কথা না বললেই নয়, এখানকার মানুষের ভাষা বুঝতে কষ্ট হলেও মানুষের আচার আচরণ আমাকে মুগ্ধ করেছে। সবাই ভীষণ রকমের আন্তরিক এবং অতিথি পরায়ণ। সময় স্বল্পতার কারণে পাশের উপজেলা গুলোতে ঘুরতে যেতে পারি নি। আসলে কিছু পর্যটন স্পট থাকলেও সেগুলো বেশ দূরে ছিল। ইচ্ছে আছে পরের বার সময় নিয়ে এসে বিনোদন কেন্দ্র গুলো ঘুরে দেখব 😊।
নতুন কোথাও গেলে ঘুমের একটু সমস্যা হয়ে থাকে।
30 মিনিট হাঁটলেই শহর শেষ হয়ে যাবে ওরে বাবা এত ছোট শহর। হবিগঞ্জে কখনো যায়নি আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে একটু দেখে নিলাম। আর এই গাড়ির নামটা টমটম আমিও কোথায় যেন শুনেছিলাম ।
চমৎকার উপস্থাপনা ছিল ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু, আমি নিজে অনেকটাই অবাক হয়েছি। জেলা শহর হিসেবে অনেকটাই ছোট লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
সকাল বেলায় ভাত চাইলে তো একটু অবাক হয়ে সবাই তাকাবেই।
৩০ মিনিটেই শহর শেষ আসলেই কি তাই। এত ছোট শহর হয় নাকি। আপনি হবিগঞ্জ শহরে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন দেখে মনে হচ্ছে। আর ফেরার সময় আমার বাসা থেকে খাবারটা খেয়ে গেলেই পারতেন। শুধু শুধু সারারাত না খেয়ে থাকলেন।😜😜
এই যে আপু, আপনিও মনে রাখবেন কথা টা কিন্তু। আপনার বাড়ি গেলেও সকালে ভাত ছাড়া অন্য কিছু খাব না 😉🥰। সত্যি অনেক ছোট একটা শহর গো আপু। একবার ঘুরে আসবেন মেইন শহর টা।
আর ফেরার গল্প তো ইতিহাস হয়ে আছে। সব সুদে আসলে মেটানো হবে 😅