দিয়াবাড়িতে কিছুক্ষণ
নমষ্কার,,
ঢাকা শহরেও বেশ ঠান্ডা পরেছে কয়েকদিন হলো। রোদের তীব্রতা কয়েকদিন হল খুব একটা লক্ষ্য করছি না। দিনের বেলা খুব একটা ঠান্ডার ভাব না থাকলেও বিকেলের দিক থেকে বেশ ভালই ঠান্ডা লাগছে। একদিক দিয়ে ভালই লাগে ঠান্ডার এই সময়টা। আবার অনেক অসহায় দরিদ্র মানুষের কথা ভাবলে ভীষণ কষ্ট হয়। আমার আবার এই সিজনে মোটামুটি সব সময় সর্দি কাশি লেগেই থাকে।
যাই হোক যতদূর মনে পরছে প্রথম দিয়াবাড়ি গিয়েছিলাম ইউনিভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষা গুলো দেওয়ার সময়। আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগের কথা। জায়গাটা অদ্ভুত রকমের সুন্দর ছিল ওই সময়টাতে। ঢাকা শহরের মাঝে এত সুন্দর জায়গা কল্পনাও করতে পারিনি সে সময়। এর মাঝে অবশ্য আরো কয়েকবার গিয়েছি ঘুরতে। তবে সেদিন বেশ লম্বা সময় পর আবার গিয়েছিলাম দিয়া বাড়িতে। তবে হ্যাঁ ঘোরার জন্য নয়, প্রয়োজনের তাগিদেই ছুটতে হয়েছিল।
বন্ধুর বাবার জন্য ল্যাপটপটা কিনে মেট্রোরেলের অফিসে দিয়ে আসতেই মূলত ওই দিকটায় আমার যাওয়া। মিরপুর ডিওএইচএস থেকে দিয়াবাড়ি যে এত কাছে সেটা আমি জানতামই না একদম। রিকশা নিয়ে আমি আর আমার বন্ধু মেট্রোরেলের প্রজেক্ট অফিসের দিকে রওনা দিয়েছিলাম। সত্যি বলতে এমন রাস্তা দিয়ে রিক্সা দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ঘুরলেও খারাপ লাগবে না কখনোই। আশেপাশের সৌন্দর্যগুলো দেখতে দেখতে পৌঁছে যাই মেট্রো রেলের অফিসে।
আমার বন্ধুর বাবা অফিস থেকে বেরিয়ে এসে ল্যাপটপটা নিয়ে চারদিকটা কিছুক্ষণ ঘুরিয়ে দেখান। সত্যি বলতে ভীষণ রেস্ট্রিকশনে ভরা পুরো এরিয়া। তারপরও যতটা সম্ভব আমরা সবটা ঘুরে দেখি। সবথেকে মজার লাগছিল একটু পরপরই মাথার উপর দিয়ে একটা করে প্লেন উড়ে যাচ্ছিল এত কাছ দিয়ে, ইচ্ছে করছিল প্লেনগুলো হাত দিয়ে ধরেই থামিয়ে দেই।
অনেকদিন পর উত্তরার এই সাইটটায় ঘুরতে গিয়ে বেশ ভালো কিছু সময় কাটে আমার। ভাবছিলাম আসার সময় হয়তো অনেক জ্যাম পাব। কিন্তু আঙ্কেল অফিসের একটা গাড়ি দিয়েই আমাদের মিরপুর পর্যন্ত আসার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। তাই কোন ঝামেলা ছাড়াই বাড়ির দিকে আমরা দুই বন্ধু পৌঁছে যাই।
দিয়া বাড়িতে আপনি দেখছি অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। সত্যি ভাইয়া মেট্রোরেলের প্রজেক্ট এর রাস্তা গুলো মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর। আর আপনি ঠিক বলেছেন এমন রাস্তা দিয়ে রিক্সা করে ঘুরার মজাই আলাদা। যাইহোক আপনার বন্ধুর বাবা আপনাকে সব কিছু ঘুরিয়ে দেখিয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগল। যেহেতু আপনার আঙ্কেলের অফিসের গাড়ি দিয়ে এসেছেন, পথে কোন জ্যাম পাননি। সবকিছু মিলে ভালো একটা সময় পার করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
দিয়াবাড়ি তে এই রাস্তাগুলোই আসল সৌন্দর্য্য ধরে রেখেছে আপু। মন ভালো হয়ে যায় গেলেই। অনেক ভালো থাকবেন আপু।
আমিও বেশ কিছুদিন আগে দিয়া বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। কিন্তু যাওয়ার রাস্তা খুব খারাপ ছিলো। আপনি বন্ধুর বাবার ল্যাপটপ দিতে গিয়ে তো ভালো হয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ সুন্দর জায়গায় সময় কাটাতে পেরেছেন। দিয়াবাড়ির এই জায়গা দিয়ে রিক্সায় ঘুরতে আসলেই খুব ভালো লাগার কথা। ভালো লাগলো ।
এই জায়গার পরিবেশটা আগে আরো অনেক সুন্দর ছিল আপু। অদ্ভূত একটা ভালো লাগা কাজ করতো গেলেই। এখন আর আগের মত নেই। তবুও মন্দ লাগে না। অনেক ধন্যবাদ আপু। দোয়া করবেন 🙏।
দিয়াবাড়িতে দাদা আপনি তো চমৎকার সময় উপভোগ করেছেন। আপনার বন্ধু মিলে রিকশায় ঘুরেছেন বাহ্ দারুন দিয়াবাড়ি চমৎকার একটি জায়গা। আমি তো সুযোগ সুবিধা পেলেই ঘুরতে যেতাম। তবে বেশ কিছু দিন হলো যাওয়া হয়ে উঠে না। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা আপনার মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
সময় করে মাঝে মধ্যে এমন জায়গায় গেলে বেশ ভালো লাগে সত্যি। মনটাও হালকা হয় একটু। অনেক ভালো থাকবেন লিমন ভাই।
দিয়াবাড়ি জায়গাটির নাম শুনেছি কিন্তু কখনো যাওয়ার সুযোগ হয়নি। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে মোটামুটি একটা ধারণা পেলাম। রাস্তাটা মনে হচ্ছে বেশ ভালই ।এরকম রাস্তা দিয়ে রিক্সায় করে ঘুরতে পারলে বেশ ভালো লাগারই কথা। বেশ ভালই ঘুরেছেন বন্ধুর বাবাকে ল্যাপটপ দিয়ে আসার উপলক্ষে।ভালো ছিল ধন্যবাদ।
আপু সময় সুযোগ করে অবশ্যই আসবেন একদিন। অনেক ভালো লাগবে সত্যি। শুভেচ্ছা রইলো 🙏।