কালিম্পং ট্যুর ২০২৩।। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কালিম্পং হোটেল অবধি যাত্রা
নমস্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি ঈশ্বরের কৃপায় সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। বলা যায় অনেকটাই অনিয়মিত হয়ে গেছি এই প্লাটফর্মে। তবে আমার বিশ্বাস খুব দ্রুতই আবার পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারব। বেশ কিছুদিন আগে আমার কালিম্পং ট্যুর নিয়ে দুটো পোস্ট করেছিলাম। কিন্তু তারপর আর সেই ট্যুর নিয়ে খুব একটা এগোতে পারিনি। তাই ইচ্ছা আছে পরবর্তী কিছুদিন কালিংপং এর দিন গুলো নিয়েই পোস্ট করার।
সন্ধ্যার কিছু আগে নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন থেকে আমাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য দুটো গাড়ি এসে হাজির হয়। ছোট বড় মিলিয়ে আমরা ছিলাম প্রায় ১১ জন। দাদা বৌদি আর দুই ভাতিজা সহ আমি উঠে পড়লাম এক গাড়িতে। বাকি সবাই আরেক গাড়িতে করে রওনা দিলাম কালিম্পং এর উদ্দেশ্যে। একদম ঘোর সন্ধ্যা তখন। জলপাইগুড়ি থেকে যখন পাহাড়ি রাস্তায় উঠতে শুরু করলাম বেশ ভয় ভয় করছিল। রাস্তাগুলো ভীষণই সরু এবং প্রচন্ড রকমের খাড়া। আমি বসেছিলাম একদম সামনের সিটে। চারপাশটা খুব ভালো মতোই পর্যবেক্ষণ করতে পারছিলাম তাই। এই রাস্তাগুলোতে ড্রাইভিং করতে গেলে ভীষণ রকমের দক্ষ হতে হয়। তা না হলে যে কোন মুহূর্তে একটা বিপদ ঘটে যেতে পারে। আমাদের গাড়ির ড্রাইভার টা নেপালি ছিলেন। বেশ ভালো গল্প করছিলেন আর গাড়ি চালানোতেউ বেশ পটু।
সময় তখন রাত সাড়ে আটটা কিংবা নয়টা হবে। আমাদের দুটো গাড়ি এক সাথে একটা হোটেলে যাত্রা বিরতি নিলাম। বেশ খিদে পেয়ে গিয়েছিল। সবাই যার যার পছন্দ মত খাবার অর্ডার করল। আমি ভেজ খাবারটাই প্রিফার করি বাইরে জার্নিতে থাকলে। তাই নিরামিষ খাবার বেশ তৃপ্তি করে খেয়ে নিলাম। গাড়ির ভিতরে শীতের তীব্রতাটা খুব একটা টের পাচ্ছিলাম না। যখন খাওয়ার জন্য নেমেছিলাম ঠিক সেই সময়টাতে মারাত্মক রকমের ঠান্ডা লাগছিল। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমি চার পাশটা একটু ঘুরে দেখলাম। পাহাড়ের উঁচুতে রাতের বেলা বাড়িগুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল।
আমাদের থাকার জন্য হোটেল আগে থেকেই বুক করা ছিল। রাত দশটার মাঝে আমরা সবাই পৌঁছে গেলাম। হোটেলে যখন নামছিলাম ঠান্ডায় আমাদের হাড় রীতিমতো কাপছিল। এমন তীব্র ঠান্ডায় আমি এর আগে কখনো ঘুরতে যাইনি। সবাই ভীষণ ক্লান্ত ছিল জার্নি করে। প্রায় ৯ থেকে ১০ ঘণ্টার একটা ধকল ছিল। আমাদের তিনটে রুম হোটেলে পাশাপাশি ছিল। সবারই বেশ পছন্দ হয়েছিল। কিছুক্ষণ এদিক-ওদিক আড্ডা দিয়ে সেদিনের মতো শুয়ে পড়েছিলাম রাতে। কারণ পরদিন সকাল আটটা থেকে আমাদের ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করা ছিল।
যাই হোক বাকি কথা পরের পর্বগুলোতে শেয়ার করব। সে পর্যন্ত আপনারা সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন এমনটাই আশা করছি।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কালিম্পং হোটেল অবধি যাত্রার খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন ভাইয়া। খুব ভালো হয়েছে কালিম্পং ভ্রমণের পোস্টটি। আপনি ঠেকেই বলেছেন, ড্রাইভার দক্ষ না হলে পাহাড়ি রাস্তায় যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। পোস্টের ছবি গুলোও অনেক সুন্দর হয়েছে। আশাকরি আপনাকে এখন থেকে নিয়মিত পাবো আমরা। কালিম্পং টুর নিয়ে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পাহাড়ি রাস্তা গুলো খাড়া এবং সরু হয়। এই রাস্তার জন্য দক্ষ চালক থাকে কিন্তু তারপরও একটা শঙ্কা থেকেই যায়। বাইরে ঘুরতে গেলে ভেজ খাবার টাই ঠিক আছে। যেহেতু কালিম্পং গিয়েছেন যতদূর জানি ঐ সাইডে প্রচুর ঠান্ডা পড়ে থাকে। বেশ চমৎকার ছিল আপনাদের জার্নিটা। পরের পর্বে আপনাদের ঘোরাঘুরি সম্পর্কে দেখতে পারব।
আশা করি খুব শীঘ্রই নিয়মিত কাজ করবেন। যাইহোক ঘুরাঘুরি করার জন্য আমি শীতকালটা খুব পছন্দ করি। কারণ সুন্দর সুন্দর জামাকাপড় পরিধান করা যায় এবং শরীর থেকে ঘাম বের হয় না। পাহাড়ি রাস্তায় ড্রাইভ করার জন্য অবশ্যই দক্ষ ড্রাইভার প্রয়োজন। যাইহোক নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কালিম্পং হোটেল পর্যন্ত ঠিকঠাক মতো পৌঁছাতে পেরেছেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। হোটেলের রুম তো দেখছি বেশ পরিপাটি এবং সুন্দর। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কালিম্পং হোটেল অবধি যাওয়ার খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন ভাই। তবে আপনার মত আমারও একই স্বভাব আছে, বাইরে যদি ঘুরতে যাই বা অনেক বেশি জার্নি করি তাহলে ভেজ খাবারই বেশি প্রেফার করি। এতে করে শরীর এবং মন দুটোই ফ্রেশ থাকে। এটা ঠিক যে পাহাড়ি রাস্তা এমনিতেই বেশ ভয়ঙ্কর হয়। তবে ওই জায়গার ড্রাইভার গুলো বেশ পাকা হয়, এজন্য খুব বেশি একটা সমস্যা হয় না। যাইহোক, আপনাদের থাকার হোটেলটা কিন্তু আসলেই বেশ সুন্দর হয়েছে ভাই। ভালো লাগলো আপনার ভ্রমণ বিষয়ক এই পোস্ট টি পড়ে।