আমার বন্ধু জাহিদ
নমষ্কার,,
আমার বন্ধু জাহিদ। ওর সাথে পরিচয় হয় ভার্সিটির এডমিশন কোচিং করার সময়। খুব সহজে যদি বলি ওকে নিয়ে তাহলে বলবো ভীষণ সহজ সরল এবং সাদামাটা একটা ছেলে জাহিদ। মাথার ব্রেনটা বেশ তুখোর। আর খেতে ভীষণ ভালোবাসে। দুঃখ কষ্ট কখনো ওকে ঘায়েল করতে পারেনি। সব সময় চিল মুড নিয়েই থাকবে। কোচিং করার সময় মোটামুটি ছয় মাস একসাথে ছিলাম। তারপর দুজন তো আলাদা জায়গায় ভর্তি হয়ে গেলাম। এর মাঝে আমাদের খুব একটা দেখা না হলেও অনেক দিন পর পর ফোনে অথবা মেসেজে বেশ ভালই কথা হতো।
পড়াশোনা শেষ করে বাংলাদেশের একটা বেশ নামি কোম্পানিতে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জয়েন করে ভালো বেতনে। কিন্তু সেখানে ম্যানেজারের সাথে ঝামেলা করে চাকরিটা ছেড়ে দেয়। এসব অবশ্য আমি কিছুই জানতাম না। গতবছর হঠাৎ একদিন জাহিদ আমাকে মেসেজ করতেই এই বিষয়গুলো জানতে পারি।
কথার এক পৃষ্ঠে জাহিদ বলল দেশে আর থাকবে না এমএসসি করতে বাইরে চলে যাচ্ছে। আর অস্ট্রিয়ায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে তার হয়েও গিয়েছে। এই কথাটা শুনতেই আমিও ওকে ধরে বসলাম। বললাম কিভাবে কি করতে হবে সবকিছু আমাকে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য। জাহিদ আমাকে সব ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দেয়। মাঝে একবার আমরা ঢাকাতে দেখাও করি। আমি এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে সবকিছু গুছিয়ে ফেলি। কিন্তু গত বছর অক্টোবর মাসে যখন এপ্লাই করার শেষ সময় হাতে চলে এসেছে ঠিক ওই মুহূর্তে আমি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পড়ি। আমার শরীরের অবস্থা তেমন ছিল না যে নিজে অনেক কিছু ঘেটে ঘুটে বাইরে এপ্লাই করব। শেষমেষ জাহিদ আমাকে বলল সমস্ত ডকুমেন্টস ওর কাছে পাঠিয়ে দিতে। বাকিটা জাহিদ নিজেই ম্যানেজ করে নেবে। আর জাহিদ করেছেও তাই।
আমার ঐ ইউনিভার্সিটিতে এপ্লাই জাহিদ করে দেয় এবং সেখানে আমার প্রথম ধাপের সিলেকশনটা হয়ে যায়। যাই হোক আর একটা কথা বলতেই ভুলে গিয়েছি, জাহিদ ইতিমধ্যে অস্ট্রিয়া পৌঁছে গেছে গত পরশুদিন। আমার সাথে ভিডিও কলিং করে কথাও হয়েছে। তো যাওয়ার কিছুদিন আগে যখন ঢাকাতে এসেছিল তখন আমার সাথে দেখা করে এবং বেশ লম্বা একটা সময় কাটাই আমরা দুই বন্ধু একসাথে। সন্ধ্যার দিকে টিএসসিতে বসে আড্ডা দেই । তারপর টেস্টি ট্রিটে বসে খাওয়া দাওয়া করি। দারুন সময় কেটেছিল ঐদিন দুজনের একসাথে।
আমি এখনো শিওর না আমার অস্ট্রিয়া যাওয়া হবে কি হবে না। নানা ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হচ্ছি, তার পাশাপাশি নতুন কিছু কিছু প্ল্যানিংও করতে হচ্ছে। আসলে জীবনের অনেকটা সময় নষ্ট করে ফেলেছি তাই দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মত একটা অবস্থা আমার এখন প্রায়। সে যাই হোক যদি কপালে লেখাই থাকে তাহলে হয়তো বা এই বছরের শেষে অথবা সামনের বছর দুই বন্ধু একসাথে একই ইউনিভার্সিটিতে এম এস টা আবার চালু করব। যদিও আমি একটু চেষ্টা করছি ফুল ফান্ডিং ম্যানেজ করে যাওয়ার জন্য। বাকিটা ঈশ্বরের ইচ্ছে। তবে বন্ধু জাহিদের জন্য শুভেচ্ছা আর শুভকামনা থাকবে সব সময়। এই বন্ধু গুলোই জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
এমন দুই চারটা বন্ধু থাকলে জীবনে আর কি লাগে!ওনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
আপনার জন্য দোয়া করি ভাই যেন অস্ট্রিয়া যেতে পারেন বিনা বাধায়।সবসময় ভালোবাসা💓।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, এদের জন্যই অনেকটা উঠে দাড়াতে পেরেছি। এভাবেই পাশে থাকবেন সবসময়। অনেক ভালোবাসা রইলো।
আপনি অসুস্থ হওয়ার কারণে আপনার বন্ধু জাহিদ আপনার সব ডকুমেন্ট ম্যানেজ করে কাজটা সম্পন্ন করেছে সেটা জেনে খুব ভালই লেগেছে ভাই। কারণ এরকম বন্ধু গুলো মনের গহীনে জায়গা করার মত হয়ে থাকে। এরকম একজন বন্ধু থাকলে হাজার বন্ধুর দরকার হয় না। যাই হোক দোয়া করি যাতে আপনার স্বপ্ন পূরণ হয়।নিজের নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যান এজন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।
হ্যাঁ ভাই, দোয়া করবেন যেন নিজের লক্ষ্যে এগোতে পারি। আপনারা পাশে আছেন বলেই অনেক কাজে সাহস করে হাত দিতে পারি। অনেক শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা রইলো ভাই।
আপনার জন্য ও অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো প্রিয় ভাই আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
যে বন্ধু বিপদের সময় পাশে দাঁড়ায় সেই বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। ইউনিভার্সিটির এডমিশন টেস্টের সময় আপনাদের পরিচয় হয়েছিল অথচ আজও সেই বন্ধুত্ব ধরে রেখেছেন আপনারা জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। আসলে এরকম বন্ধু পাশে থাকলে সব বাধা অতিক্রম করা যায়। আশা করছি আপনিও খুব শীঘ্রই অস্ট্রিয়ায় যেতে পারবেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য এবং আপনার বন্ধুর জন্য।
আপু আমি ফুল ফান্ডিং নিয়ে যেতে চাইছি বাইরে, কিন্তু অস্ট্রিয়ায় এটা সম্ভব নয়, তাই নানান ঘাপলা বেধে আছে। দোয়া করবেন যেন মনের চাওয়াটা পূর্ণ হয়। ভালো থাকবেন আপু।
আসলে ভাই আমাদের সবার জীবনে এরকম একটা বন্ধু থাকা দরকার। যে আমাদের বিপদের সময় আমাদের সাহায্য করবে। আপনার বন্ধুর জন্য শুভকামনা রইল। এবং আপনি জেনে বিনা বাধাই অস্ট্রেলিয়া যেতে পারেন সে আশায় করি। ধন্যবাদ ভাইয়া এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বন্ধুর মত বন্ধু একটা হলেই যথেষ্ট। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। পাশে থাকবেন সবসময়।
মানুষ মনে মনে কোন একটা জিনিস চাইলে সেই রিলেটেড লোকজনের সঙ্গেই দেখা সাক্ষাৎ কিভাবে যেন হয়ে যায় । আপনার ক্ষেত্রেও হয়তো তাই হয়েছে। অনেকদিন পর আপনার বন্ধু জাহিদের সঙ্গে ম্যাসেজে যোগাযোগ হওয়ার পর আপনি অস্ট্রিয়া যাওয়ার বিষয়ে অনেক হেল্প পেয়েছেন। কোন কিছুর পেছনে লেগে থাকলে একসময় না একসময় সফল হয়ে যায়। দোয়া করি আপনার মনের ইচ্ছা যেন পূরণ হয়।
একদম ঠিক বলেছেন আপু, এই যেমন আমি গতকাল থেকে ভাবছি অনেকদিন আপনার পোস্ট দেখা হয় না, আর আজকেই আপনি এখানে এসে হাজির। দোয়া করবেন আপু যেন এবার মনের ইচ্ছে টা পূর্ন হয়।