মামা ভাগ্নের আঁকিবুকি 😊
নমস্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলে ভালো আছেন। আমিও চলছি বেশ। আসলে বাড়িতে যে কয়দিন থাকব একটা না একটা কাজ বেধেই থাকবে। আর আমাকে সেগুলো করতে হবে। কিছু করার নেই। মা বাবার একটা ছেলে হলে যা হয়। সত্যি বলতে বাবারও বয়স হয়ে যাচ্ছে। তাই বাইরের অফিসিয়াল কাজ যে গুলো আছে সেখানে আমাকেই দৌড়িতে হয়।
বাড়িতে ফ্রী সময় গুলো ভাগ্নের সাথে থাকতেই যায়। ওকে কোন কিছুর মাঝে ব্যস্ত না রাখলে বাড়ি মাথায় তোলে একদম। আমি যেকদিন থাকব দিদিও থাকবে ভাগ্নেকে নিয়ে। তো আমি চেষ্টা করি ছোট বাচ্চাদের হাতে মোবাইল দিয়ে ব্যস্ত না রেখে অন্য কিছু করে তাদের ভুলিয়ে রাখতে। সে জন্যই আরেকদিন একটা ছবি এঁকে সময় কাটাচ্ছিলাম দুজন মিলে। তারই কিছু অংশ সবার সাথে আজ ভাগ করে নিচ্ছি।
অভ্র আমাকে বললো মামা একটা প্রজাপতি আকো। আমি ভাবলাম প্রজাপতি যদি একটু অন্যভাবে আঁকা যায় তাহলে হয়তো আরো ভালো হবে। তাই নেট থেকে একটা ছবি বের করে সেটা দেখে দেখে আঁকতে শুরু করলাম।
প্রথমে একটা লাইট বা বাল্ব আঁকা শুরু করলাম। একদম শুরুতে প্যাচ গুলো দিতে বেশ মজাই লাগছিল আমার। তার সাথে একটা কার্টুনের মত মুখ একে ফেলি। ভাগ্নের খুব পছন্দ হয়েছে এটা।
এর পর চ্যাপ্টা কমলার মত করে গোল করে ফেলি।
এবার লাইটের গোল অংশের ভিতর প্রজাপতির ডানা আঁকতে শুরু করি। ব্যাপারটা অনেকটা এমন যে লাইটের ভেতরে প্রজাপতি উড়ছে।
এরপর প্রজাপতির মুখের দিকের অংশ টা এঁকে ফেলি। পুরো শরীরের অংশ টা আঁকা হয়ে গেল।
এবার রং করতে শুরু করি। আজকেও অভ্র যা যা রং বলছিল আমিও সেগুলো করছিলাম। মজার ব্যাপার ভাগ্নে মাঝে মাঝে জেদ করে নিজেই রং করেছে। এত ছোট বাচ্চা হিসেবে যেটুকু করেছে এটাই অনেক বড় ব্যাপার। আমার তো ওর এই উৎসাহ দেখেই অনেক ভালো লেগেছে। যাই হোক এভাবেই বাহারি রকমের রং দিয়ে পুরো ছবি টা রাঙ্গিয়ে তুললাম আমি আর অভ্র।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি মামা ভাগ্নের এই ছোট্ট আকিবুকি আপনাদেরও ভালো লেগেছে। পরবর্তিতে আবার নতুন কোন গল্প নিয়ে হাজির হয়ে যাব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
মামা ভাগ্নের খুনসুটির মধ্যে দিয়ে সুন্দর একটি আর্ট করেছেন। আসলে ছোট বাচ্চাদের মোবাইল না দিয়ে এই সমস্ত কাজে ব্যস্ত রাখা উচিৎ। কারণ মোবাইল মাথাগুলো কে নষ্ট করে দিচ্ছে। আর্ট করার ধাপসমূহ অনেক সুন্দর ভাবে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।মামা ভাগ্নের জন্য দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।
এই প্রজন্মের হাতে এত তাড়াতাড়ি ফোন উঠে যাওয়ায় নীতিবোধের এত অবক্ষয় হচ্ছে সমাজে। এসব থেকে একটু বেড়িয়ে এসে নতুন করে যদি সবাই ভাবতো তাহলে সমাজ টা আরো সুন্দর হতো। ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।