হঠাৎ করেই এক আজব টিয়া পাখির আগমন
নমস্কার,,
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সকলেই ঈশ্বরের আশীর্বাদে সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। আজকের দিনটা মনে হয় সবারই বেশ ভালো কেটেছে। ভালো কেটেছে এই জন্যই বলছি কারণ অনেকদিন পর আজকে বর্ষার একটা অনুভূতি পেলাম নিজের ভেতরে। একদম শেষ রাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কখনো জোরে কখনো বাঁ ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হলো। ভ্যাপসা গরমে বাজে অবস্থায় পরতে হয়নি আজকে। শুধুমাত্র এই একটা দিক থেকেই বেশ স্বস্তিতে ছিলাম সারাটা দিন।
দুইদিন আগে বেশ মজার একটা ঘটনা ঘটেছে আমাদের পাশের বাড়িতে। আজ সেই গল্পই আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেব। আমি বাড়ির গেটের সামনে বসে আমার বন্ধুর সাথে ফোনে কথা বলছি। এমন সময় পাশের বাড়ির কাকী বার বার ডাকছে আমাকে। আমি কথা শেষ করে বাড়ি ঢুকেই দেখি কাকী টিয়া পাখি নিয়ে বসে আছে। আমি তো অবাক পুরো। হঠাৎ পাখি কই থেকে আসলো! তাও আবার টিয়া পাখি। কাকী বলছে,, কাকী যখন রান্নার জন্য তরকারি কাটছিল হঠাৎ করেই কাধের উপর এসে বসে ঐ টিয়া পাখি। কাকী ভেবেছিল উড়ে চলে যাবে আবার। কিন্তু চুপচাপ নাকি বসে ছিল। কাকীর হাত বেয়ে বেয়ে ঘুরে বেড়াতে শুরু করে। তারপর কাকী এক পর্যায়ে জালি সহ একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখে। বেশ মজার এক ব্যাপার। না চাইতেই পাখি বাড়িতে এসে হাজির।
তারপর আমি কাকাকে ফোন করে বললাম পুরো ঘটনা টা। কাকা বাড়িতে এসে দেখে তো খুব খুশি। আমি বললাম একটা খাচা এনে দিন। ওখানেই রেখে দেওয়া হোক। দেখা যাক কয় দিন থাকে। কাকা ৩০ মিনিটের মাঝেই একটা খাচা নিয়ে আসলো। তারপর ওখানে রেখে নানান ধরনের ফল খেতে দেওয়া হলো। কামরাঙা , কলা, পেঁয়ারা, ছোলা, সূর্যমুখীর বীজ এসব আর কি। সবই একবার করে কামড় দিয়ে খেলো। কিন্তু সব চাইতে ভালো খেলো পাকা কাচা মরিচ। নিমিষেই শেষ। সত্যি বলতে আমাদের গলির ভেতর মোট ৬ টা বাড়ি। সবাই বেশ মজা পেয়ে গেল ব্যাপারটা নিয়ে। ছোট বাচ্চারা তো ওখানে বসেই আছে। সামনে থেকে আর উঠছে না।
আজকে আবার দেখতে গিয়েছিলাম আমি পাখিটাকে। আমি রীতিমত অবাক। পাখিটা একাই খাচা থেকে বেড়িয়ে আসে, নিজের মত ঘোরা ফেরা করে। আবার নিজে নিজেই খাচার ভেতর ঢুকে যায়। উড়তে চায় না একদম। অথচ সে কিন্তু উড়তে পারে। দেখলাম কাকী যখন মিষ্টি করে ডাকছে কাকীর কাছে চলে আসছে। হাতের ওপর বসে থেকে কলা খাচ্ছে। কখনো আবার কাধের উপর বসে। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবটা দেখলাম। সত্যিই খুব ভালো লাগছিল।
বাজার থেকে পাখি নিয়ে আসলে সেটা পোষ মানাতেই অবস্থা কাহিল হয়ে যায়। আর এই টিয়া পাখি নিজে নিজেই পোষ মেনে গেছে। এই পুরো ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের গলির মানুষজন বেশ হৈ হুল্লোর করে সারা দিন পার করছে। কত দিন ঠিক থাকে সেটাই দেখার পালা এখন। আশা করি যা আদর অ্যাপায়ন পাচ্ছে তাতে ওর থাকতে খুব একটা অসুবিধা হবে না। বরং ভালোই থাকবে।
টিয়া পাখি কাঁচা পাকা মরিচ খাই জানতাম না আজকে জানতে পারলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে। সত্যি কি অবাক করা ব্যাপার টিয়া পাখি নিজেই আপনার কাকীর বাড়ি এসেছে।এরকম দেখিনি কখনো। অসাধারণ ছিল টিয়া পাখিটি।
আমি নিজেও অবাক হয়েছিলাম ভাই মরিচ খেতে দেখে। একদম নতুন অভিজ্ঞতা যাকে বলে। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
এটা তো দারুন একটা বিষয় পাখি নিজে থেকে এসে ধরা দিল, আমার কাছেও ব্যাপারটা বেশ চমৎকার লাগলো, টিয়া পাখি মরিচ পছন্দ করে এটা আমি জানতাম না আমি ভাবতাম পাখিরা হয়তো রুটি আর কলা খায়। কারন আমি এই ছোটবেলা টিয়াপাখিকে রুটি আর কলা নিতাম 😁, ইচ্ছে ছিল পাখি পোষার কিন্তু তা আর কখনো পূরণ করা হয়নি।
আমাদের গলির সবাই বেশ অবাক ভাই কান্ড টা দেখে। হঠাৎ করে এসে একদম পোষা পাখির মত আচরণ করছে। আর আপনি আবার নতুন করে পুষতে শুরু করেন। বেশ ভালো লাগবে।
হঠাৎ করে এমন একটি পাখির আগমন সত্যি অনেক ভালো লাগলো। এভাবে যদি আমার বাসায় একটি পাখি আসতো তাহলে আমি অনেক খুশি হতাম। তবে যাই হোক আপনার পাশের বাসায় যেহেতু এই পাখিটি এসেছে তাই আপনিও মাঝে মাঝেই এই পাখিটি দেখতে পাবেন ভাইয়া।
হিহিহি খুব ভালো বলেছেন আপু। ব্যাপারটা বেশ চমকে দিয়েছে আমাদেরকে।
টিয়া পাখিটি সত্যি অনেক আজব। নিজে নিজেই এই বাড়িতে চলে এসেছে। দেখে মনে হচ্ছে সেই বাড়ির পোষ মানা টিয়ে পাখি। মনে হচ্ছে না নতুন এসেছে। ভাই আপনি অনেক সুন্দর ভাবে টিয়া পাখির আসার কাহিনী উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
টিয়া পাখির চাল চলন আমাদের সবাইকে অবাক করে দিয়েছে ভাই। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ভালো থাকবেন।