চলছে মেডিসিন ✌️
নমস্কার,,
আমার জীবনটা এমন এক রকমের সূত্রে গাথা, যেখানে ঝামেলা আর অসুস্থতা ছাড়া কোন মুহূর্ত সহজে কল্পনাই করা যায় না। একটা না একটা সব সময় লেগেই থাকে। হয়তো জীবনটাই এমন। এখন অবশ্য এই ব্যাপারগুলোকে অনেক স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করি আমি। মুখে একটাই কথা, যা হচ্ছে হয়ে যাক, সামনে যেটা আসবে সেটা দেখা যাবে পরে। বেশ কিছুদিন হলো শরীরে কিছু ব্যাপারে স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। অবস্থা খুব একটা বেশি খারাপের দিকে না গেলে আমি সহজে ডাক্তারের দিকে ছুটি না। প্রথমে চুপচাপ থাকলেও যখন আর পারছিলাম না সইতে ঠিক সেই মুহূর্তেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হলাম।
লিখে বোঝানোর মত অসুস্থতা হয়তো এটা না। তারপরও লিখছি। আমার কোমর বা ব্যাক পেইনের একটা সমস্যা আছে অনেক আগে থেকেই। একটানা বেশিক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে পারিনা। আবার বসেও থাকতে পারি না। অল্পতেই কোমর এবং পা ব্যথা শুরু করে। মাঝে মাঝে তো এমন হয় যে কোমরের রগের ব্যথায় হাঁটা চলায় করতে পারি না তিন চার দিন ধরে। তবে এই সমস্যাটা অনেকটা কমেছে। কিন্তু সম্প্রতি হঠাৎ করেই আবার অন্য এক ধরনের ব্যথা অনুভব করছিলাম কোমরে এবং পায়ের থোড়াতে। ব্যথাটা ঠিক কোথায় হচ্ছে সেটা ধরতে পারি না কিন্তু এক ধরনের জ্বালাতন হতে থাকে সবসময়। ভেবেছিলাম এমনিতেই হয়তো ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সমস্যাটা এত বেশি হয় যে সামান্য ২০-২৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকলেই পা এবং কোমরে ব্যথা করছিল ভীষণ রকমের। আর চেয়ারেও বসতে পারছিলাম না।
অবশেষে বাধ্য হয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলাম। একজন অর্থোপেডিক্স এর ডাক্তার দেখালাম। উনি আমার পরিচিত আগে থেকেই। অনেকবার গিয়েছি এর আগেও। আমার বাবার পায়ের চিকিৎসাও তিনি করেছেন। নরমালি তিনি কিছু ওষুধ লিখে দিলেন সব কিছু পর্যবেক্ষণ করে। আর বলে দিলেন এক সপ্তাহে যদি আরাম না হয় তবে পরের সপ্তাহে একটা এমআরআই করতে। এর আগেও এমআরআই করতে বলেছিলেন। আসলে আমি এই ব্যাপারগুলোতে একটু ভয় পাই, তাই জন্য করি নি আর।
তবে ওষুধ খাওয়ার দুদিন পর থেকে অনেকটাই আরাম পাচ্ছি। অতোটা সমস্যা হচ্ছে না। মনে মনে ভাবছি এই যাত্রায় হয়তো এম আর আইয়ের হাত থেকে বেঁচে গেলাম। তবে আমার যে এম আরআই টা করতে হবে এটা আমি নিজেও উপলব্ধি করতে পারি। আর আমি নিশ্চিত কিছু একটা সমস্যা ভেতরে রয়েছে। আসলে কিছু ব্যাপারে বেশ কয়েক মাস হলো ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। তাই এখন যদি নতুন করে কোন অসুখের ব্যামো মাথায় ঢুকে তাহলে হয়তো সেই কাজ থেকেও পিছিয়ে যাব। এই জন্যই আর কিছু করছি না। নিজেকে একটু স্ট্যাবল করে নিয়ে তারপর বাকি দিকে আগানোর ইচ্ছে। দেখা যাক ঈশ্বর কি করেন এরপর। সবটা তো তার ইচ্ছেতেই হচ্ছে। যা হবে সেটা হয়তো ভালোর জন্যই হবে।
এটা ঠিক বলেছেন যা হয় সবই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছেতেই হয়। তবে যেহেতু ঔষধের মাধ্যমে ব্যথা অনেকটা কমে গিয়েছে সেই ক্ষেত্রে দোয়াকরি তেমন কোন সমস্যা হবে না।তারপরে এমআরআই করানো উচিত। দোয়া করি সব কিছুই মাপ হয়ে যাবে তারাতাড়ি। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু সব সময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
কোমর বা ব্যাক পেইনের সমস্যায় 3 মাস থেকে ভুগছি। বসে যে খাবার খাবো সেটাও পারছিলামনা। কোনো মেডিসিন কাজ করছিলো না। তাই মেডিসিন খাওয়া বন্ধ করেছি। তবে আগের তুলনায় ব্যাথা একটু কমেছে। কিন্তু সকালে আর রাতে বেড়ে যায়। আপনার কষ্টটা বুঝতে পারছি ভাইয়া। যাই হোক দোয়া করি আপনি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
এই কষ্ট টা যার হয় সেই শুধু বোঝে আপু যে কতোটা জ্বালা। দোয়া করি যেন আপনিও তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন। আর নিয়ম কানুন মেনে চলবেন আপু।
দোয়া করি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়, আমিও বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ, ব্যাক পেইনের ব্যাথাটা বুঝি কারণ আমার ছিল অনেক দিন। এখনো দীর্ঘ সময় বসে থাকলে ব্যথা অনুভব হয় এবং কিছু এক্সাইজের মাধ্যমে আবার ঠিক হয়ে যায়।
মানুষের শরীরে বিভিন্ন প্রকার রোগের বীজ থেকে থাকে যখন যেটা বৃদ্ধি হয় তখন সেটার জন্য আমরা কষ্ট পেয়ে থাকি। তবে এগুলো সম্পূর্ণ সৃষ্টিকর্তার নিয়ম অনুসারেই চলে। আর ওষুধ মাত্র সহায়ক। যেমন ঔষধ খাবে ঠিক তেমনি ঔষধ খেলে কাজ হবে এটা হয়তো নিয়মের গণ্ডি তবে অসুখ সারার মালিক সৃষ্টিকর্তা। দোয়া করি দ্রুত আপনি যেন সুস্থ হয়ে আমাদের সাথে সুস্থ অবস্থায় চলতে পারেন।
আসলে ভাইয়া এখন অল্প বয়সেই এমন সব কঠিন অসুখের সামনে দাড়াতে হয় যে এটাই বড় ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দোয়া করবেন ভাই। আর সাবধানে থাকবেন।
আসলে মানুষের শরীরে যে রোগ আসবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এই রোগের সময় ধৈর্য হারালে চলবে না। আপনার যে সমস্যার কথা বললেন এ ধরনের সমস্যাগুলো সাধারণত রগের কারণে হয়ে থাকে। ভালো করে খেয়াল করে দেখেন কোথাও কিছু উঠাতে গিয়ে কি মাজায় আঘাত পেয়েছিলেন নাকি। যাইহোক এমআরআই রিপোর্টটা একবার করেই দেখেন আপনার মাজার আসলেই কোন খারাপ অবস্থা হয়েছে কিনা।
হ্যাঁ ভাই কিছু দিন পর ফুল বডি চেক আপ করানোর ইচ্ছে আছে। দোয়া করবেন আর সাবধানে থাকবেন।
কোমরের ব্যথা খুবই খারাপ জিনিস। যার এই সমস্যা রয়েছে সেই বুঝতে পারে কতটা কষ্টকর। কিন্তু পায়ের এই ব্যাথা নিয়ে আপনার অবহেলা করা ঠিক হচ্ছে না। এমআরআই করা খুব একটা কষ্টকর নয়। একবার করেই দেখতে পারেন। তারপরে হয়তো ওষুধ খেলে সমস্যাটা পার্মানেন্টলি দূর হয়ে যেতে পারে। দোয়া রইল আপনার জন্য।
আসলে আপু আমি বুঝতে পারছি যে কিছু একটা সমস্যা শরীরের ভেতরে চলছে। ভয়ে ভয়েই চিকিৎসা করছি না। তবে কয়েকদিন পর যদি একবার ইন্ডিয়া যেতে পারি তাহলে ওখানেই টেষ্ট গুলো করার ইচ্ছে। দেখা যাক কি হয়। দোয়া করবেন আপু, আর ভালো থাকবেন সবসময়।