নাগরিক দায়িত্ব পালন ।। ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নিজের মতামত প্রকাশ
নমস্কার,,
সকাল বেলা ঘুম থেকে জাগা পাইনি আজ। প্রায় দশটা বেজে গিয়েছিল ঘুম থেকে উঠতে। শুয়ে শুয়ে যখন মোবাইল চাপছিলাম তখনই কানে নানান ধরনের কথা আসছিল নির্বাচন নিয়ে। আশেপাশের মানুষজন যারা ভোট দিয়ে আসছিল তারা জোরে জোরে বাবা মার সাথে নানান ধরনের কথা বলছিল। তখনই হঠাৎ মাথায় আসলো আমারও তো ভোট দেওয়া উচিত। কারণ আমিও তো এই দেশের নাগরিক। বাবা যখন ভোট দিতে যাচ্ছিল তখন আমার এনআইডি কার্ডটা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললাম আমার সিরিয়াল নাম্বারটা খুঁজে নিয়ে আসার জন্য। আমি তখনো শুয়েই আছি। একটু পর বাবা এসে বলল মানুষের প্রচণ্ড ভিড় তাই আমার সিরিয়াল নাম্বারটা খুঁজে বের করতে পারেনি। আমার তখন ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার যেটুকু ইচ্ছা ছিল সেটাও মোটামুটি শেষ। হিহিহিহি।
হঠাৎ করেই ফেসবুক থেকে জানতে পারলাম যে ফোনে অ্যাপস ইনস্টল করেই ভোট দেওয়ার সিরিয়াল নাম্বার এবং কেন্দ্র সবকিছু জানা যাচ্ছে। আমার কাছে ব্যাপারটা বেশ মজার মনে হল। সাথে সাথে ইউটিউব থেকে ছোট্ট একটা টিউটোরিয়াল দেখে নিয়ে সেই অ্যাপসটা ইন্সটল করলাম এবং ভোটের সিরিয়াল নাম্বারটাও দেখে নিলাম। তখন মনে হল আমরা সত্যিই এখন ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছি। উন্নত বিশ্বে হয়তো এর থেকেও অনেক আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে কাজ চলছে। কিন্তু আমাদের দেশে তো এটুকুও ছিল না। তাই ভাবলাম দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তাহলে দেশটাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ভোটটা দিয়েই আসি।
আমার বাড়ির পাশেই ছিল ভোট কেন্দ্র। খুব একটা যে ভিড় ছিল তা নয়। মোটামুটি পাঁচ-ছয় জনের একটা লাইন দাঁড়িয়ে ছিল। আমিও সেখানে দাঁড়ালাম এবং সময় মত আমার ডাক আসলে নিয়ম মেনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করলাম। বেশ ভালই লাগছিল সবকিছু সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে পেরে। কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আশেপাশের দুই একটি ভোট কেন্দ্র ঘুরে আসলাম। যে কথা না বললেই নয় সেটা হলো, মানুষজন সত্যি খুব উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছিল এবং তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছিল। এটা যেন একটা উৎসবে পরিণত হয়েছিল।
আর কিছুক্ষণ পর থেকেই রেজাল্ট বেরোতে শুরু করবে। একটাই চাওয়া, এই ভোট নিয়ে যেন কোন অরাজকতা এবং অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি না হয়। কোন নিরপরাধ প্রাণকে যেন অকালে তার প্রাণ দিতে না হয়। নতুন করে আবার যেন এই দেশটা উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। এমনটাই প্রত্যাশা করি।
সারাদেশে ভোটের ইমেজ ছিল আজকে। অনেক মানুষ আনন্দের সাথে ভোট প্রদান করেছে আবার কেউ হতাশা হয়ে ভোটকেন্দ্রে যায়নি। যাইহোক আপনি ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং ভোট প্রদান করেছেন। সেই দৃশ্য এবং অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
আসলে অনেকের কাছেই মূল্যহীন ছিল এবারের ভোট টা। তবে আমি চেষ্টা করেছি সঠিক ভাবে নিজের দায়িত্ব টুকু পালনের। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ভোট প্রদানের মাধ্যমে আপনার নাগরিকত্বের দায়িত্ব পালন করেছেন এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। ভোট প্রদান করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আমিও চাই যেন ভালোভাবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এখন পর্যন্ত তো সব কিছু ঠিকঠাকই লাগছে আমার কাছে আপু। দেখা যাক পরে কি হয়। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমিও আজকে আমার জীবনের প্রথম ভোট দিলাম, প্রথমে একদমই ইচ্ছে করছিল না যেতে। তবে লাস্ট মুহূর্তে বন্ধুরা ফোন করলো একসাথে খাওয়ার জন্য, আমি যখন গেলাম ইতিমধ্যে সবাই ভোট দিয়ে ফেলেছে। একটার পর যেহেতু বাসা থেকে বের হয়েছি আমিও আমার ভোট প্রদান করি তারপর বন্ধুদের সাথে একসাথে খাওয়া-দাওয়া করে এলাকা দিয়ে ঘুরে আজকের দিনটি উপভোগ করি ।
একদম ঠিক বলেছেন দাদা মানুষ উৎসমূখর পরিবেশ ভোট দিয়েছেন তবে অনেকেই আতংকিত হয়ে ভোট কেন্দ্র যায় নি ভয়ে যে যদি আক্রমণ করে বসে।তবে সারাদিন কিন্তুু ভোট গ্রহন চলেছে।ঠিক বলেছেন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ভোট দিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটা যেমন ঠিক, আবার অনিয়ম টাও অনেক বেড়ে গেছে। সবার সচেতনতার দরকার দিদি। ভালো থাকবেন সবসময়।
এপসের মাধ্যমে সিরিয়াল নাম্বার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে জেনে ভালো লাগলো। সবকিছুই আজকাল অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। যদিও এবার ভোট দিতে যাইনি। তবে আপনার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো। আসলে আমাদের এদিকে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যায়নি বললে ভুল হবে কারণ প্রত্যেকটা কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১০-১২ জন করে ভোটার দেখতে পাওয়া গিয়েছে।🤭
বলেন কি এতো কম! আমাদের এদিকে পুরো উল্টো অবস্থা। হাহাহাহা। যাক সব কিছু এখন ভালো থাকলেই ভালো। অনেক ধন্যবাদ আপু।