বিশ্ব মা দিবসে পৃথিবীর সকল মাকে জানাই আমার শতকোটি প্রণাম 🙏❤️
মা
পুরো পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর, মিষ্টি এবং শান্তির যদি কোন শব্দ থেকে থাকে তাহলে সেটা হল "মা"। জন্মের পর প্রথম বুলি যার থেকে শেখা, সমস্ত কষ্ট হাসি মুখে মেনে নিয়ে ছোট থেকে বড় করে তোলেন যিনি সেই তো মা। আসলে মাকে নিয়ে কখনো কিছু বলে শেষ করা যাবে না। যতই যে বলবে কিছু না কিছু তো কম পরবেই। কারণ তিনি যে স্বয়ং ঈশ্বর। মর্তের দেবী। তাকে নিয়ে বলে শেষ করা যাবে এমন সাধ্য কি কোন মানুষের আছে!
মা এর জন্য বিশেষ কোন দিনের প্রয়োজন আমি মনে করি না। যাঁকে ছাড়া নিজের অস্তিত্ব কল্পনা করা যাবে না কখনো সেই মানুষটার জন্য আবার বিশেষ দিনের কি প্রয়োজন আছে! জীবনের প্রতিটি দিনই মাকে ভালবাসার জন্য। তবুও সারা বিশ্বে আজ ৮ই মে পালিত হচ্ছে বিশ্ব মা দিবস। তাই আজকের এই দিনে বিশ্বের সকল মা কে জানাই আমার শতকোটি প্রণাম, আমার ভালবাসা এবং বিনম্র শ্রদ্ধা।
আমাদের সবার কাছেই আমাদের মা পৃথিবীর সেরা মা। তার রান্না পৃথিবীর সেরা রান্না। এসব নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এমন হওয়া টাই স্বাভাবিক।
তবে একটা ব্যাপার আমি ইদানিং খুব লক্ষ্য করেছি। মা দিবস আসলেই সোশ্যাল মিডিয়াতে মা এর জন্য ভালোবাসা যেন কয়েক গুণ বেড়ে যায়। অথচ এমনও মানুষ আছেন যারা সারা দিনে মায়ের একবার খোজ টুকু নেন না। কি খেয়েছে , কেমন আছে, শরীরে কোন প্রবলেম হচ্ছে কিনা একটা বার খোজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না। এদিকে মাকে নিয়ে ছবি ছেড়ে ক্যাপশন দেবে, ভালোবাসি মা।
এটা কি সত্যিই ভালোবাসা? এটা কি সত্যিই শ্রদ্ধাবোধ? নাকি সবটাই লোক দেখানো? জীবনের কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের জন্য লোক দেখানো ভালবাসার কোন প্রয়োজন নেই। মা বাবা তাদের মধ্যেই পরে নিশ্চয়।
আমি মনে করি বছরে একদিন "ভালোবাসি মা" বলে স্ট্যাটাস না দিয়ে, রোজ একটু তার সাথে ভালো করে যদি কথা বলি এটাই সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি আর শান্তি দেবে তার মনে।
ছোট বেলা থেকে ভীষণ আদরে বড় হয়েছি। এখনও মায়ের আদর না পেলে পাগল হয়ে যাই। মা একদিন রাগ করে কথা না বললে মাথা নষ্ট হয়ে যায়।
ও হ্যা বলে রাখি আমার মা একজন গ্লুকোমা পেশেন্ট। তার এক চোখের ৯০ ভাগ দৃষ্টি শেষ, আরেক চোখের ৬০ ভাগ। অনেক চিকিৎসা করেছি। সবখানে এক কথা যত দিন যাবে মা তার চোখের দৃষ্টি হারাতে থাকবে। করার কিছু নেই। আমার মায়ের চলাফেরা করতে অনেক অসুবিধা হয়। তবু এই মানুষ টা আমাকে বাড়িতে কোন কিছুতে হাত দিতে দেয় না। রান্না ঘরে গেলে পাশে গিয়ে দাড়িয়ে থাকবে। কোন একটা কাজে আমার মা আমাকে সবচে বেশি ভরসা করে। আমারও মনে হয় আমার মাকে আমি সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারি। চেষ্টা করি যতটা পারি তাকে সাপোর্ট দেওয়ার।
এসব কথা নাই বা বলি। আমার জীবনের সবচেয়ে ভালবাসার মানুষ বলতো, আমার মা নাকি এত আদর দিয়ে দিয়ে আমাকে ননীর পুতুল বানিয়ে রেখেছে। তাই সব সময় শুধু আদর খাওয়ার বাহানা 🤪🥰।
আসলে আমি লেখা টা লিখতে নিয়ে কি দিয়ে শুরু করব আর কি দিয়ে শেষ করবো সেটাই বুঝে পাচ্ছি না। মা কে নিয়ে লেখা কি শেষ করা সত্যিই সম্ভব!!
এটুকুই বলব শেষে, আর যা কিছুই আমরা করি না কেন মা বাবাকে যেন সব সময় ভালো রাখি। সন্তানের কষ্ট যেমন তারা সহ্য করতে পারবে না কখনো। আমাদেরও সব সময় তাদের আস্থার হাত হয়ে পাশে থাকা উচিত।
পৃথিবীর সকল মা ভালো থাকুক।




মা যে আমার সবচেয়ে আপন
হৃদয়ের গভীরে যার বসবাস
তার চেয়ে বড় কে আছে দুনিয়ায়
স্বার্থহীনভাবে চাইতে পারে ভালো।
তুমিই প্রথম, তুমিই সেরা
মা’ তোমার তরে ঠেকাই সব
তুমি ছাড়া নিঃস্ব আমি
এই পৃথিবীর সবই পর।
বাহ, হাফিজ ভাইয়া, আপনার কবিতাটি পড়ে প্রাণটা যেন জুড়িয়ে গেল। ❤️❤️❤️
আহা কি সুন্দর লিখেছেন কথা গুলো ভাই। অনেক ভালোবাসা রইলো ❤️❤️❤️
আজকে মা দিবস। তাই আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুদের আম্মা কে জানায় আমার থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। সকল মা কে আমি শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি মন থেকে। দোয়া করি যেন সকলের আম্মা অসুস্থ থাকেন।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
পৃথিবীর মধ্যে নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মা এবং সন্তানের ভালোবাসা। এই ভালোবাসার জন্যই পৃথিবীতে টিকে রয়েছে এই বিশ্ব মা দিবসে সকল মায়ের প্রতি আমার শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা রইলো। আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে ভাই ধন্যবাদ বিশ্ব মা দিবসে এমন সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
ভালো লাগলো আপনার থেকেও এমন সুন্দর একটা মন্তব্য পেয়ে ভাই। অনেক ভালো থাকবেন।
প্রথমেই মাসিমার জন্য প্রনাম রইল। মা কে নিয়ে লিখতে গেলে দিবস রজনী সব পার হয়ে যাবে তবু লেখা শেষ হবে না।সত্যি ভাই মা দিবসে লোক দেখানো মাকে ভালাবাসার যে ছড়াছড়ি সোস্যাল মিডিয়ায় দেখা যায় দিনের শেষে তারাই তাদের মা এর খবর নেয় কিনা আমার সন্দেহ আছে। মাসিমার অসুস্থতার কথা শুনে খারাপ লাগলো।ইশ্বর ইচ্ছে করলে হয়তো ঠিক হয়ে যেতে পারে তিনি সব পারেন। আমার মা আমার প্রান।পৃথিবীর সকল মা সুস্থ থাকুক সুন্দর থাকুক এই প্রার্থনা করি ইশ্বরের কাছে।ভাই মা বাবার পাশে সবসময় থাকতে হবে।শুভেচ্ছা রইল।
দাদা প্ৰথমে ধন্যবাদ দেই এই জন্য যে আপনি পুরো লেখা টা পড়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন। এমন একজনকেই হয়তো মনে মনে খুঁজছিলাম।
আর দাদা একটা মজার ব্যাপার, সেদিন ইউটিউবে কিছু দরকারে একটা ভিডিও খুঁজছিলাম। তো একটা ভিডিও খুব ভালো লাগলো। এবং খুব চেনা চেনা ভোয়েস লাগলো। পরে চ্যানেলের ভেতরে ঢুকে দেখি ওটা আপনার চ্যানেল। বেশ ভালো লেগেছে ওই মুহূর্তে।
অনেক ভালো থাকবেন দাদা। ❤️❤️