কিছু সময় মন্দিরে
বন্ধুরা ,
সবাই তোমরা কেমন আছো ? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমিও অনেক অনেক ভালো আছি। |
---|
ব্যারাকপুর থেকে কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পর গঙ্গার খুব কাছেই আমার এক বন্ধুর বাড়ি আছে। ব্যারাকপুরের ফেমাস অন্নপূর্ণা মন্দিরের কিছুটা পাশেই তার বাড়ি। কয়েক মাস আগে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে গেছিলাম তার বাড়িতে ঘুরতে কারণ তার বাড়ির কাছ থেকে গঙ্গাকে খুব ভালোভাবে দেখা যায় । এক কথায় খুব ভালো সময় কাটানোর জন্যই গেছিলাম তার বাড়িতে। আমরা বারাসাত স্টেশন থেকে কিছু দূর পথ হেঁটে গেছিলাম হেলার বটতলা নামক একটি জায়গায়। সেখান থেকে অটো ধরে ডিরেক্ট ব্যারাকপুর স্টেশন গেছিলাম। সেখানে আমার আমার সেই বন্ধু আমাদের নিতে এসেছিল। খুব একটা দূরে ছিল না তার বাড়ি তারপরও আমরা একটি টোটো রিজার্ভ করে তার বাড়ির সামনে গিয়ে নামি। তার বাড়িতে নামার পরেই আমাদের সবার প্রথম প্রশ্ন ছিল, গঙ্গা কোথায়? তারপর বন্ধু বলল মাত্র ৩০ সেকেন্ড পায়ে হেঁটে গেলেই গঙ্গা পড়বে ।
এতটা কাছে শুনে আমাদের বিশ্বাস হচ্ছিল না। তারপরে তাদের বাড়ির গেট থেকে বাইরে এসে দেখলাম সামান্য একটু পথ হেঁটে যেয়েই বিশাল গঙ্গা দেখতে পাচ্ছি। যাই হোক আমরা তাদের বাড়িতে গিয়ে প্রথমে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। ফ্রেশ হওয়ার পর বন্ধু মা আমাদের খেতে দিল।আমরা খুব তাড়াতাড়ি করে কিছু খেয়ে নিলাম তারপর বন্ধুকে নিয়ে চলে গেলাম গঙ্গা দেখতে। গঙ্গার ঘাটে যাওয়ার পর গঙ্গার বিশালতা দেখে খুবই ভালো লেগেছিলো। তাদের বাড়ির পাশে গঙ্গার দুটি ঘাট ছিল একট শ্মশান ঘাট এবং অন্য আরেকটি ছিল যেখানে মানুষ স্নান করতো। আমরা দু'ঘাটে বসেই সময় কাটিয়েছিলাম ।তারপর আমাদের বন্ধু আমাদেরকে নিয়ে অন্নপূর্ণা মন্দিরে নিয়ে যেতে চাই, যেটি ছিল ব্যারাকপুরের খুবই নামকরা মন্দির। সেই সম্পর্কে অনেক বিবরণও আমাদের দিয়েছিল আমার সেই বন্ধু। সেই বিষয়গুলো আমার এখন মনে নেই যদিও। আমরা গঙ্গার ঘাট থেকে পায়ে হেঁটেই যাচ্ছিলাম অন্নপূর্ণা মন্দিরের উদ্দেশ্যে। বেশি দূরে ছিল না সেই জন্যই পায়ে হেঁটেই সব জায়গায় যাচ্ছিলাম। অন্নপূর্ণা মন্দিরের যাওয়ার আগেই এই মন্দিরটি সামনে পড়ে যে মন্দিরের নাম হল শ্রী জগন্নাথ মন্দির।
এটির কথা যদিও সে আমাদের বলেনি আর অনেক মন্দিরই এই ব্যারাকপুরে রয়েছে যা বুঝেছিলাম সেই দিন গিয়ে। এই মন্দির চোখে পড়ার পরেই আমরা দাঁড়িয়ে যাই এবং বন্ধুকে বলি আমরা এখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে যেতে চাই। বন্ধু আমাদের না করেনা, তারপর আমরা মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করি। মন্দিরটা কত সালে কে করেছে সেই সব কিছু ভালো করে খেয়াল করতে পারিনি যদিও কিন্তু মন্দিরের সৌন্দর্য অসাধারণ ছিল। বিভিন্ন মূর্তি করে কারুকার্য করে সাজানো ছিল মন্দিরটি। মন্দিরের সামনে বিভিন্ন পৌরাণিক বিষয়কে ভাস্কর্যের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছিল। মন্দিরের মধ্যে কিছুটা সময় কাটানোর পর আলাদা একটা শান্তি লাগছিল। যেটা আমি অন্যান্য মন্দিরে গিয়েও দেখেছি আলাদা একটা শান্তি পাওয়া যায়। আমরা মন্দিরের আশেপাশে একটু ঘোরাঘুরি করে দেখলাম যেহেতু মন্দির এর ভিতরে বন্ধ ছিল তাই আমরা মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারিনি। বাইরে থেকে যতটা দেখা সম্ভব আমরা দেখেছিলাম এবং মন্দিরের সামনে কিছুটা সময় বসে মন্দির নিয়ে টুকটাক আলোচনা করছিলাম। এই মন্দিরে আমরা ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মতোই ছিলাম তার বেশি ছিলাম না কারণ আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল অন্নপূর্ণা মন্দির দেখা। তাই আমরা এখানে কিছু সময় কাটিয়ে আশেপাশে টুকটাক ফটোগ্রাফি করে অন্নপূর্ণা মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা করি।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: ব্যারাকপুর ,ওয়েস্ট বেঙ্গল।
মন্দিরে সময় কাটানো নিয়ে এতোটুকু শেয়ার করার ছিল আজ তোমাদের সাথে । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।
মন্দির হলো সবচেয়ে শান্তির জায়গা যেখানে গেলে শরীর ও মন দুই ভালো হয়ে যায়।কিছুক্ষণের জন্য হলেও মন থেকে সমস্ত পাপ দূর হয়ে যায়। আপনার বন্ধুর বাড়িতে ঘুরতে গিয়ে গঙ্গা এবং দেবি অন্নপূর্ণার মন্দির দুটোই দেখা হলো।আপনার বন্ধু সত্যি অনেক ভাগ্যবান তাই তার বাড়ি গঙ্গার খুব কাছে।মন্দিরের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে বন্ধুর সাথে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন এবং সেই মুহুর্ত গুলো শেয়ার করেছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই দাদা।ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক এই প্রার্থনা করি।
ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর গুছিয়ে কথাগুলো বলার জন্য
।আপনার জন্যও প্রার্থনা রইলো ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।
মন্দিরে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। মন্দিরের বাইরের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলে ধর্মীয় উপাসনালয় গুলোতে গেলে এমনিতে খুব ভালো আগে। মন্দিরে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
মন্দিরের বাইরের তোলা ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই। এটা তো অবশ্যই ধর্মীয় উপাসনালয় গুলোতে গেলে সবারই খুব ভালো লাগে।
ধর্মের কেন্দ্র স্থানগুলো পবিত্র হয়ে থাকে। এবং প্রত্যেক ধর্ম অনুসারীদের নিজ নিজ কেন্দ্রস্থান তার কাছে বেশি মূল্যবান। অবশ্য আমরা শ্রদ্ধা করি আপনাদের এত সুন্দর একটি ধর্মকে। তবে কখনো মন্দিরে যে এভাবে দেখা হয়নি আমার। আজকে আপনার পোস্ট থেকে অনেক কিছু ধারণা পেলাম এবং মন্দিরের বিশেষ বিশেষ অংশ দেখতে পারলাম। আশা করি আপনি আপনার ধর্মের প্রতি অনেক শ্রদ্ধাশীল থাকবেন।
সেটা তো অবশ্যই ভাই । যদিও আমি সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
ভাইয়া আপনার পোষ্ট পড়তে পড়তে ভেবেছিলাম গঙ্গার ফটোগ্রাফি দেখেতে পাবো কিন্তুু শেষ পর্যন্ত এসেও গঙ্গার দুই ঘাটের কোন ছবিই দেখতে পেলাম না। তবে আপনার বন্ধুর সাথে তার বাড়িতে ও মন্দিরে কাটানো মূহর্ত গুলো পড়ে ভালই লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।
গঙ্গার পাড় থেকে ফটোগ্রাফি করেছিলাম ,সেটি অন্য একটি ব্লগে শেয়ার করব ভাই।