বড়দিনে একটু বের হওয়া
নমস্কার সবাইকে,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও খুব ভালো আছি। |
---|
গতকালকে বড়দিন ছিল তোমরা এটা সবাই জানো। বড়দিন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী মানুষদের সব থেকে বড় উৎসব। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী মানুষেরা বিশ্বাস করে,এই ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট আজকের দিনে বেথলেহেম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাই এই দিনে নানা রঙের বেলুন, ফুল, কাগজের তৈরি নকশা, বিভিন্ন ধরনের লাইটিং ইত্যাদি ব্যবহার করে গির্জা গুলোকে সাজানো হয়। বড়দিনের কয়েকদিন আগে থেকেই এই সব কিছুর প্রস্তুতি চলে।
আমি মন থেকে এই জিনিসটা বিশ্বাস করি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার । তাই প্রতিবছরই এই দিনটিতে, এই উৎসব পালনের জন্য বাড়ি থেকে আমি বের হয়ে গির্জায় যায়। গতকালকে আমি বিকালের পরপরই বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম। যেহেতু আগে থেকেই প্লান ছিল আর এই প্লানে আমার সাথে ছিল আমার এক বন্ধু। আমরা দুজনে ঠিক করেছিলাম বারাসাতের একটি গির্জায় গিয়ে এই উৎসব পালন করব। আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় ১৫ মিনিট পায়ে হেঁটে যাওয়ার পর একটি গির্জা পড়ে। আমরা সেই গির্জায় দুজনে মিলে গেছিলাম। প্রতিবছরই প্রচন্ড পরিমাণ ভিড় হয় এই গির্জাটিতে কারণ বিভিন্ন জায়গার হাজার হাজার মানুষ এই গির্জায় এসে এই উৎসব পালন করে থাকে ।
আমরা গির্জার গেটের কাছে আসার পর ঢুকতে পারছিলাম না অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে তাই আমরা পাঁচ মিনিট একটু বাইরে ঘোরাঘুরি করে তারপর সামান্য একটু ভিড় কমলে আমরা গির্জার ভিতর প্রবেশ করি। গির্জার ভিতর গিয়ে আমরা চারপাশের সাজানো এবং লাইটিং থেকে শুরু করে উৎসব উপলক্ষে যা যা আয়োজন করা হয়েছিল সবকিছু ঘুরে ঘুরে দেখি। গির্জার পাশেই একটি গোয়াল ঘর তৈরি করা হয়েছিল যেখানে যিশুর জন্মের কিছু দৃশ্য দেখানো হয়েছিল। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী মানুষেরা বিশ্বাস করেন যে, যিশুর জন্ম হয়েছিল গোয়াল ঘরে সেই কারণে সেই স্মৃতিকে মনে করে এই দিনে গির্জাগুলোতে প্রতীকী গোয়ালঘর তৈরি করা করা হয়ে থাকে। আমার এক খ্রিস্টান ফ্রেন্ড ছিল আমি তাদের বাড়িতেও এমন গোয়াল ঘর তৈরি করতে দেখেছি এই দিনটিতে।
যাইহোক আমি গির্জায় গিয়ে মোমবাতিও জ্বালিয়েছিলাম। যদিও আমি তা বাড়ি থেকে নিয়ে যাইনি, একজনের কাছ থেকে চেয়ে জ্বালিয়েছিলাম আর কি! এই দিনে মোমবাতি জ্বালানোর নিয়মও রয়েছে যদিও এটা সম্পর্কে আমি বিস্তারিত জানি না। গতকালকে সেখানে লোকের ভিড়ে বেশ ভালো সময়ই কাটিয়েছিলাম। ঘুরে ঘুরে সব কিছু দেখতে বেশ ভালই লাগছিল। আমি এবং আমার বন্ধু সেখানে ৩০ মিনিটের মতো সময় ছিলাম। তারপর সেখান থেকে চলে গেছিলাম কেক খাওয়ার জন্য একটি কেকের দোকানে। এই বিশেষ দিনে সবাই বাড়িতে কেক তৈরি করে এবং কেক খাওয়ার একটা রীতি প্রচলিত রয়েছে। কেকের দোকান থেকে কেক খাওয়া সম্পন্ন করে আমরা মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় গেছিলাম পরিবেশ মেলায়। সেই সম্পর্কে পরে কোনো ব্লগে শেয়ার করবে তোমাদের সাথে। আজকের ব্লগ এখানেই শেষ করছি।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: বারাসাত, উত্তর 24 পরগণা, পশ্চিমবঙ্গ।
একটা কথা আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই কথার সাথে আমারও একমত। গতকাল বড়দিন উপলক্ষে যীশুখ্রীষ্টের সুন্দর কিছু স্মৃতি আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম। অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আজকের পোস্টটি দেখে। আপনি নিশ্চয়ই কালকে অনেক মজা করেছেন ঘোরাঘুরি করে। ধন্যবাদ আপনাকে
হ্যাঁ আপু গতকালকে ঘোরাঘুরি করে বেশ মজা করেছিলাম । আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।