নদী পারাপার
নমস্কার সবাইকে,
| তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও খুব ভালো আছি। |
|---|
আমার আজকের ব্লগে প্রথমে সবাইকে স্বাগতম জানাই । আজকের ব্লগে বাংলাদেশ ভ্রমণ গিয়ে নদী পারাপারের কিছু অভিজ্ঞতা তোমাদের সাথে শেয়ার করব। সেই সাথে সেই সময় তোলা কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। ১০ থেকে ১২ দিন আগের কথা হবে আমি তখন বাংলাদেশ ভ্রমণে ছিলাম। এইবার বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে গিয়ে বেশ কিছুদিন সেখানে ছিলাম এবং সেখানে বিভিন্ন জায়গা আমি ঘুরে ঘুরে দেখে এসেছি। সেখানে ঘুরতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। আমাদের এইখানে নদী পারাপার করতে খেয়াতে আমি সাধারণত পারাপার করিনি। এইখানে যদি নদী পারাপার করতে হয় তাহলে ফেরির ব্যবস্থা রয়েছে।
বাংলাদেশে গিয়ে একটি নদীর পার করতে ফেরীর পরিবর্তে খেয়াতে করে পার হয়েছিলাম। আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছিল এই ব্যাপারটি । নদী পারাপার করতে যে খেয়াগুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলো সাধারণত একটু বড় থাকে । সেই খেয়াতে মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের গাড়িও উঠানো হয়। একসাথে শত লোক উঠলেও খেয়া ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না এগুলো এতটাই বড়। নদীগুলো সাধারণত দুটি জায়গাকে দুটি অঞ্চলে বিভক্ত করে দেয়। আর এই খেয়ার মাধ্যমে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা করা হয় যেখানে বড় ব্রিজের ব্যবস্থা নেই সেখানে।
যাইহোক সেখানে ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে গ্রাম থেকে শহরের দিকে ফিরছিলাম আমি। আর গ্রাম থেকে শহরে ফিরতে হলে আমাকে এই নদী পার করতেই হবে। আমার হাতে অপশন একটাই খেয়াতে চড়েই পার করতে হয়। খেয়াতে সাধারণত সাথে সাথে পারাপার করা যায় না অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়। অন্য ঘাট থেকে লোক নিয়ে আসবে তারপর এই ঘাট থেকে আবার অন্য ঘাটে যাবে এই ভাবেই পালাবদল চলে এই জন্য। যেদিনের ঘটনা আমি লিখছি সেদিন প্রায় খেয়া আসতে কুড়ি মিনিটের উপরে সময় লেগে গেছিল। দুপুরের সময় ছিল লোকজনের ভিড় খুব একটা ছিল না এই জন্য অন্য পাশ থেকে লোক ভরে খেয়া আসতে অনেকটা সময় নিয়ে নিয়েছিল।
যাইহোক খেয়ায় উঠে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা লেগেছিল। খেয়া থেকে নদীর সিনারি দেখতে বেশ ভালই লাগছিল কিন্তু দুপুরের সময় ছিল রোদের কারণে একটু অস্বস্তি ফিল হচ্ছিল। খেয়া ঘাটের এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে যেতে প্রায় দশ মিনিটের মতো সময় লেগেছিল। অনেকটা হিসাব করেই স্রোতের সাথে হিসাব রেখে খেয়াগুলো চালাতে হয়। এই খেয়া পারাপারে খুব একটা বেশি টাকা নেয় নি সেদিন আমার কাছ থেকে। ঘাট কর্তৃপক্ষ পাঁচ টাকা নিয়েছিল। যাইহোক সেদিন খেয়া পারাপার করে আমি অন্য পাশে গিয়ে সেখান থেকে কিছুদূর ভ্যানে করে শহরে পৌঁছেছিলাম।
পোস্ট বিবরণ
| শ্রেণী | ভ্রমণ পোস্ট |
|---|---|
| ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
| ফটোগ্রাফার | @ronggin |
| লোকেশন | শিকির হাট , বাংলাদেশ। |





নদী পারাপারের সময় বেশ ভালোই অভিজ্ঞতা হলো তাহলে ভাইয়া। বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গেল। খেয়া দিয়ে নদী পাড় হতে আমার বেশ ভালো লাগে। দশ মিনিট খেয়া তে চড়ে নদী পাড় হলেন এবং মাত্র পাঁচ টাকা ভাড়া নিল ঘাট কর্তৃপক্ষ। তাহলে তো খুব কমই নিয়েছে। যাইহোক এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই খেয়াতে নদী পারাপার করতে বেশি টাকা নেয় না, খুব কম টাকায় নদী পারাপার করা যায় ।