গ্রামের হাটে
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও ভালো আছি। |
---|
এই মাসের ২ তারিখে আমি বাংলাদেশে ভ্রমণের জন্য এসেছিলাম। এখানে এসে নিত্য নতুন অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। তার মধ্যে থেকে কিছু অলরেডি তোমাদের সাথে শেয়ার করে ফেলেছি। আজকের ব্লগে বাংলাদেশের একটি গ্রামের হাটে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাই নিয়ে শেয়ার করব। শহরের বাজার একরকম হয় আর গ্রামের হাট আরেকরকম। শহরে থাকাকালীন সময়ে বাজার করতে যাওয়া নিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা আছে তবে গ্রামের হাটে গিয়ে বাজার করার অভিজ্ঞতা আগে ছিল না। আজকে সে অভিজ্ঞতাটা হলো আর কি।
গ্রাম মানেই সন্ধ্যার আগে সবাইকে সব কাজকর্ম শেষ করে বাড়ি যেতে হয়। রান্না খাওয়ার কাজও কমপ্লিট করতে হয় সন্ধ্যা নামার আগে । গ্রামের হাট সাধারণত দুপুর দুটোর দিকে বসে যায় এবং চারটার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। এই বিষয়টা আমি জেনেছিলাম বাংলাদেশ এসে। তবে আমি যাদের বাড়ি আছি তাদের সাথে এই হাটে যেতে যেতে চারটা বেজে গেছিলা আজ। অর্থাৎ অনেকটা ভাঙা হাটে গেছিলাম আমি। ভাঙ্গা হাটে গেলও শাকসবজি সব কিছুই ঠিকঠাক পরিমানে ছিল। তবে লোকজন সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। গ্রামের এরকম হাটে সবকিছুই পাওয়া যায় । সব ধরনের মসলা থেকে শুরু করে শাকসবজি, তেল, গুড় সবকিছুই পাওয়া যায়। তবে গ্রামের হাটে গিয়ে একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল সেটা হল এখানে শাক সবজির দাম কেমন জানি শহরের থেকে বেশি মনে হয়েছিল । সরাসরি শাকসবজি নিয়ে এসে চাষিরা বিক্রি করার পরও এত বেশি দাম হওয়ার কারণ টা আমি বুঝতে পারিনি।
অধিকাংশ গ্রামে যে হাট গুলো হয় সেগুলো সপ্তাহে একবার অথবা দুইবার করে হয়। এই হাট গুলোতে মানুষ নিজেদের ক্ষেতের শাকসবজি নিয়ে সাধারণত বিক্রি করে। তাছাড়াও অনেকে শাকসবজি বিভিন্ন জায়গা থেকে কিনে এনে বিক্রি করে। গ্রামের হাট গুলো মাটিতেই বসে সাধারণত। তবে অনেক জায়গায় একটু অন্যরকম করেও হয়ে থাকে। আমি যে গ্রামে এসেছি সেই গ্রামের হাট সপ্তাহে দুই বার বসে, এক রবিবারে আর বৃহস্পতিবারে। এখানের হাট সম্পর্কে আমি আগে যা জেনেছিলাম তা হল বিকালের অনেকটা আগেই এখানের হাট শেষ হয়ে যায়। গ্রামে রাত অনেক তাড়াতাড়ি হয় । আমি এই গ্রামে এসে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যেই সবাইকে ঘুমিয়ে পড়তে দেখেছি।
এই শাকসবজি গ্রামের থেকে শহরে গেলে কিছুটা কম দামে অবশ্যই পাওয়া যায়। এখানে শাকসবজির দাম শুনে প্রথমে আমি অনেকটা অবাক হয়েছিলাম। তারপরও আমি এই হাটে গিয়ে মিষ্টি কুমড়ো, ওলকপি, শিম , পাতা কপি এরকম কিছু শাকসবজি কিনে নিয়ে এসেছিলাম আজকে বাজারে গিয়ে। আমাদের কলকাতাতে বাজারে গেলে ১০০ গ্রাম অথবা ৫০ গ্রাম করে শাক সবজি কেনা যায় তবে এইখানে এই সিস্টেমটা দেখি নি। এখানে কমপক্ষে সবকিছু ২৫০ গ্রাম করে নিতেই হয়। আমি গ্রামের হাটে যাওয়ার আগে ভেবেছিলাম এখানে হয়তো সবকিছু অনেকটা কম দামে বাজার করে নিয়ে আসতে পারবো তবে কিছু পরিমাণ শাকসবজি কিনেই ২০০ টাকার মতো আজ খরচ হয়ে যায়। সব কিছুর দাম বেশি হলেও এখানের মানুষজন বেশ সহজ সরল। খুব সুন্দর ভাবে কথা বলে সবাই। এই ব্যাপারটাই শুধু ভালো লেগেছে সেখানে গিয়ে।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: নড়াইল, বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে এসেছেন জেনেছি ভাইয়া।তবে বাংলাদেশের একটি গ্রামের হাটে গিয়ে বেশকিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন, আপনার মতো আমার ও অবাক লাগলো এতো দাম কেন বেশি হবে।আর সত্যি এখানে কিছু কিনতে হলে আড়াই শো গ্রামের নীচে দেয় না।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু, এটাই দেখছি এখানে এসে । শহরের থেকে গ্রামে শাকসবজির দাম বেশি কেন সেটা আমিও বুঝতে পারলাম না।
গ্রামীণ সবজি হাঁটের দারুন চিত্র আজকে আপনি এই ব্লগের মাঝে তুলে ধরছেন। আপনার সুন্দর এই চিত্র দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে কারণ এখানে খুঁজে পেয়েছি গ্রামীন শীতকালের বিভিন্ন পর্যায়ের সবজি, আর আপনার সুন্দর উপস্থাপনা। আর এটাকেই বলা হয় গ্রাম বাংলার সুন্দর দৃশ্যপট।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে শহরে বেশি দামের আশায় শাকসবজি গ্রাম থেকে শহরে নিয়ে যায়। আর শহরে আমদানি বেশি হওয়াতে দাম কম হয় ও গ্রামের হাট বাজার গুলোতে দাম বেশি হয়ে থাকে।গ্রামের হাটগুলোতে তরতাজা সবজি পাওয়া যায়।ধন্যবাদ বাংলাদেশ এসে হাটে সবজি কেনা ও তার অনুভুতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
শহরে শাকসবজি বেশি আমদানির কারণে গ্রামে শাকসবজির দাম বেড়ে যায়, এবার আসল কারণটা বুঝতে পারলাম দিদি। তবে দাম বেশি হলেও তরতাজা শাকসবজি গ্রামে পাওয়া যায় এটা ঠিক কথা।