লাইফ স্টাইল|| এই ঠান্ডায় বাড়িতে অর্ডার করে পিৎজা খেলাম।
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। |
---|
বেশ কিছুদিন ধরে বেশ ভালই ঠান্ডা পড়েছে। এই ঠান্ডায় বাড়ি থেকে বের হাওয়া বেশ মুশকিল কাজ হয়েছে বর্তমানে।তার মধ্যে দেখছি কয়েক জায়গায় হালকা হালকা করে বৃষ্টিও হচ্ছে। এই ঠান্ডার মধ্যে বৃষ্টি হলে আরো বেশি ঠান্ডা লাগে। বাড়ি থেকে যেহেতু বের হতে পারছি না তাই আজকে একটা প্ল্যান করলাম বাড়িতে বসেই পিৎজা খাবো। আমি পিৎজা খেতে অনেক বেশি ভালোবাসি এবং মাঝে মাঝেই আমি পিৎজা খেয়ে থাকি। তবে অধিকাংশ সময় ডমিনোজ এর যে রেস্টুরেন্ট রয়েছে সেখানে গিয়েই পিৎজা গুলো খেয়ে থাকি। আর মাঝে মাঝে বাড়িতেও অর্ডার করে খেয়ে থাকি।
এক্ষেত্রে আমি ডমিনোজ এর রেস্টুরেন্ট গিয়ে খাওয়াই বেশি পছন্দ করি। এর কারণ হচ্ছে অনেক বেশি গরম থাকে পিৎজা গুলো সেখানে গিয়ে খেলে। আর পিৎজা গরম অবস্থাতেই বেশি ভালো লাগে। বাড়িতে অর্ডার করলে যে পিৎজা গুলো আসে সেগুলোও গরম থাকে তবে অনেক গরম থাকে না। সেই জন্য বাড়িতে খাওয়া খুব বেশি করা হয় না আমার। তবে যেহেতু এখন একটু ঠান্ডা পড়েছে এবং বাইরে যাওয়া অনেকটা মুশকিল হয়ে পড়েছে তাই ভাবলাম বাড়িতেই অর্ডার করে খাই।
আজ সন্ধ্যার সময়টাতে বাড়িতে অন্য কেউই ছিল না আর সন্ধ্যার সময় হালকা খিদেও লেগে গেছিল। সেই জন্য নিজের জন্য তিনটা তিন ফ্লেভারের পিৎজা অর্ডার করি। অর্ডার করার ৩০ মিনিটের মধ্যেই পিৎজা গুলো বাড়িতে চলে আসে। অন্যদিন পিৎজা একটু বেশি ঠান্ডা হয়ে গেলেও আজকে যে পিৎজা গুলো এসেছিল সেগুলো মোটামুটি গরম ছিল। তবে যেহেতু বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা সেই কারণে অনেক বেশি গরম ছিলো না। পিৎজা গুলো আসার পর আমি আমার কম্বলের উপর নিয়ে বসি এই পিৎজা গুলো এবং এক এক করে খাওয়া শুরু করি।
এই পিৎজার সাথে কোল্ড ড্রিংকস খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। পিৎজা খেতে খেতে হঠাৎ কোল্ড ড্রিংকস এর কথা মনে পড়ে। তারপর ফ্রিজ থেকে কোল্ড ড্রিংকস নিয়ে আসি। কয়েক দিন আগেই ছোট একটা কোল্ড ড্রিংকস এর বোতল কিনে নিয়ে এসেছিলাম, সেটাই ছিল ফ্রিজে। তারপর আর কি একা একা বসে তিনটা পিৎজাই ইনজয় করি। বেশ ভালো লেগেছিল আমার কাছে এগুলো। ডমিনোস এর পিৎজার প্রশংসা আমি সবসময় করে থাকি। কারণ এরা টেস্টের কোয়ালিটির সাথে কখনো কম্প্রোমাইজ করে না। আমি ডমিনোজ পিৎজার বড় একজন ফ্যান বলতে পারা যায়। আজকের দিনটা পিৎজা খেয়ে পেট অনেকটাই ভরে গেছিলো।আমার তিনটা পিৎজা খাওয়ার কথা শুনে কারোও অবাক হওয়ার ব্যাপার নেই। কারণ আমি এরকম বেশি অর্ডার করেই পিৎজা খাই। আমি পিৎজা খেতে একটু বেশি ভালোবাসি, এই জন্য একটু বেশি করে অর্ডার করি যেদিন এইগুলো খেতে ইচ্ছা হয় সেইদিন।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: বারাসাত , নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
আমাদের এদিকে ঠান্ডার মধ্যে বৃষ্টিও হচ্ছে। বলতে গেলে শীতের মাঝে বৃষ্টির অনুভূতি! ওয়েদার এভাবে থাকলে জনজীবন কঠিন হয়ে যাবে। যাক, গরম গরম পিৎজা খাওয়ার মজাই অন্যরকম। আপনাদের এদিকে সার্ভিস সেবা বেশ ভালো। ত্রিশ মিনিটের মাঝেই দিয়ে চলে গেল! আমাদের এদিকে লেইট করে অনেক।
হ্যাঁ ভাই, আমাদের এইখানে পিৎজা ডেলিভারি সার্ভিসটা সত্যি অনেক ভালো, টাইম মত চলে আসে।
আপনি তো একেবারে একা একা কম্বলের নিচে বসে তিনটা পিৎজা খেয়ে ফেললেন। আমাদেরকে এত ডাকতে পারতেন খাওয়ার সময়। যাইহোক চোরের মত একা একা খেয়ে ফেললেন কি আর করব। কিন্তু এরকম ঠান্ডার সময় আসলে বাহিরে যেতে তেমন ইচ্ছা করে না। কারণ বাহিরে আজ কয়দিন প্রচুর ঠান্ডা পড়তেছে। তাছাড়া আজ দুদিন কোথাও কোথাও হালকা হালকা বৃষ্টিও হচ্ছে। তাতে তো ঠান্ডাটা আরো অনেক বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু অর্ডার করে পিৎজা নিয়ে এসে বাড়িতে খেয়েছেন আর সেই মুহূর্তটা আমাদের মাঝেও সুন্দরভাবে শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো।
কম্বলের উপরে বসে খেয়েছি আপু!