লাইফ স্টাইল || সরস্বতী পুজোর দিন পূর্বের কলেজে যাওয়া
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। |
---|
গতকালকে "সরস্বতী পুজো" এবং "ভালোবাসা দিবস" একই দিনে ছিল। আমি এরকমটা হতে কয়েকবার দেখেছি। যাইহোক, সরস্বতী পুজোর এই দিনটা আসলে আমাদের মত শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক ইম্পর্টেন্ট কারণ দেবী সরস্বতীকে আমরা বিদ্যার দেবী মনে করি। এই জন্য এই দিনটাতে আমরা উপোস থেকে পুজোর অঞ্জলি দিয়ে থাকি। ছোটবেলায় অনেক বেশি আনন্দ করে এই ব্যাপারগুলো করা হতো। তবে সময়ের সাথে সাথে কেমন জানি এই ব্যাপারটা কমে গেছে। বিগত বছর এই পুজোতে অঞ্জলি দিলেও , এই বছর আর অঞ্জলি দেওয়ার সুযোগ হয়নি আমার। যাইহোক, গতকালকে আমি একটু দেরি করেই কলেজের পুজো দেখার জন্য গেছিলাম। এটি মূলত আমার পূর্বের কলেজ ছিল সেখান থেকে আমি আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি।
সেখানে আমার অনেক বন্ধুদের আসার কথা ছিল গতকালকে। মূলত সেই জন্যই এই পূর্বের কলেজে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমি। প্রায় সাড়ে বারোটার দিকে আমি বাড়ি থেকে রওনা করি এবং একটার দিকে সেখানে পৌঁছে যাই। আমাদের এই কলেজের একদম গেটের পাশেই এই সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠান করা হয়েছিলো। আমি যে সময়টাতে গেছিলাম পুজো সম্পন্ন হয়ে গেছিল। সেজন্য আর বিশেষ কিছু দেখার সুযোগ হয়নি। তবে আমি গিয়ে ঠাকুরের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু সময় প্রার্থনা করি এবং সেখান থেকে কিছু ফটো তুলে নি। এরপর চলে যাই আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে অংশটাতে। যেখানে শত শত শিক্ষার্থীরা একসাথে জমা হয়েছিল এই দিনটা উদযাপন করার জন্য। যেহেতু সরস্বতী পুজোর সাথে সাথে ভালোবাসা দিবস ছিল, এইজন্যে প্রেমিক প্রেমিকার সংখ্যা বেশ দেখা যাচ্ছিল আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে।
অনেকদিন পর কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে সত্যিই অনেক ভালো লাগছিল। পুরনো কলেজটাকে অনেকদিন পর দেখতে পেয়ে মনের ভেতর একটা আলাদা অনুভূতি কাজ করছিল। পুরনো সেই স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে যাচ্ছিল। সেজন্য কলেজ ক্যাম্পাসটাকে একটু ভালো করে দেখি এবং কিছু ফটোগ্রাফিও করি। যাইহোক, কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে বসার জায়গা ছিল। আমি সেইখানে কিছু সময় বসে বন্ধুদের সাথে গল্প করি। আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসটা দেখতে অত্যন্ত সুন্দর ছিল। চারিদিকে ফুলের সমারোহ দেখা যাচ্ছিল। তাই পুরো ক্যাম্পাসটা আরো বেশি সুন্দর লাগছিল। তাছাড়া যেহেতু সবাই অনেক রংবেরঙের নতুন ড্রেস পড়ে এখানে এসেছিল তাই সবাইকে দেখতেও বেশ ভালো লাগছিল। সবার মনে উৎসবের রং লেগেছে এমনটা মনে হচ্ছিল।
কলেজ ক্যাম্পাসের এক অংশে কিছু সময় আড্ডা দেওয়ার পর আমরা অন্য আরেকটা অংশে চলে যাই এবং সেখানে গিয়ে আমরা নিজেদের কিছু ফটোগ্রাফি করি। তারপর কলেজের পেছনের দিকটাতেও যাই। কলেজে পড়ার সময় এই পিছনের অংশে আমরা বন্ধুরা বসে অনেক মজা করতাম। আমের সময় হলে কলেজের আম গাছ থেকে আম চুরি করে এখানে বসে মাখিয়ে খেতাম। এই ব্যাপার গুলো যদিও অনেক আগে তোমাদের সাথে আমি শেয়ারও করেছিলাম । যাইহোক, এখানে আসার পর এই সব কিছু একসাথে মনে পড়ে যাচ্ছিল। আমরা বন্ধুরা কলেজের এই পুরনো স্মৃতি নিয়ে আলোচনাও করি। এই ভাবে কলেজ ক্যাম্পাসে অনেকটা সময় কাটানো হয়।
আমরা এই সময় বাইরে থেকে কিছু খাবারও কিনে একসাথে বসে খাই। সরস্বতী পুজো উপলক্ষে আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। খাওয়া-দাওয়ায় আলুর দম এবং পোলাও ছিল। আমরা বন্ধুরা মিলে সেখান থেকেও খেয়ে নিই। বন্ধুদের সাথে একটা ভালো সময় কাটাতে পেরেছিলাম গতকালকে পূর্বের কলেজের সরস্বতী পুজো অনুষ্ঠানে গিয়ে। তাছাড়া সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল এতদিন পর কলেজে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল এইজন্য। কলেজের প্রতি সবারই অনেক ভালোবাসা থাকে, তেমনটা আমারও আছে। গতকালকে প্রায় দু'ঘণ্টার মতো সময় কলেজ ক্যাম্পাসে ছিলাম তারপর বাড়িতে চলে আসি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | এপিসি কলেজ ক্যাম্পাস, নিউ ব্যারাকপুর, নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
https://twitter.com/ronggin0/status/1759292930836320455?t=LGjwaLNGGjfV_0nNVdxA1w&s=19