কলকাতার চায়না টাউনে ঘুরতে যাওয়া (পর্ব -০৪) শেষ পর্ব
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও বেশ ভালো আছি। |
---|
আজকের নতুন একটি ব্লগে প্রথমেই সবাইকে স্বাগতম জানাই। বেশ কিছুদিন আগে বন্ধুদের সাথে নিয়ে কলকাতার চায়না টাউনে ঘুরতে গেছিলাম তাই নিয়ে আজকের ব্লগে কিছু কথা শেয়ার করব।
কলকাতার চায়না টাউনে ঘুরাঘুরি নিয়ে আজকে তোমাদের সাথে শেষ পর্বটি শেয়ার করব। চায়না টাউন ঘুরতে যাওয়া নিয়ে বিগত কয়েকটি পর্বের মাধ্যমে তোমাদের সাথে অনেক কিছু শেয়ার করেছি। গত পর্বে ঘোরাঘুরি রিলেটেড অনেক কথাই শেয়ার করেছিলাম। আজকের এই শেষ পর্বে, চায়না টাউন গিয়ে ঘোরাঘুরির শেষ দুই ঘন্টা আমরা কেমন করে কাটিয়ে ছিলাম বা কি করেছিলাম তাই শেয়ার করব। আমরা বন্ধুরা ঘোরাঘুরি সময় সস্তায় কোন রেস্টুরেন্ট পাওয়া যায় কিনা তারও খোঁজ করতে থাকি। অবশেষে আমরা একটি এসি রেস্টুরেন্ট পেয়ে যাই, যেখানে খাবারের দাম যথেষ্ট কম ছিল যা আমাদের আকৃষ্ট করে। সেই জন্য আমরা সেই রেস্টুরেন্ট এর মধ্যে যাই।
বাইরে থেকে ঢোকার আগে বেশ ভালই লাগছিল কিন্তু ভিতরে যাওয়ার পরে যখন আমরা সবাই মিলে বসি তখন অতটা ভালো লাগছিল না। আমরা যেরকম পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা চাইছিলাম সেরকমটা ঠিক ছিল না, তবে মোটামুটি পরিষ্কার ছিল। সেখানে যাওয়ার পর আমাদের ঠান্ডা জল দিয়ে স্বাগতম জানানো হয়। বাইরে গরমের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করে আমাদেরও বেশ গরম লেগে গেছিল। পরে এই এসির মধ্যে এসে অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি আমরা। তারপর আমরা সবাই সেই ঠান্ডা জল খেয়ে আলোচনা করতে বসে যাই এই রেস্টুরেন্ট থেকে কি কি খাওয়া যায় এই নিয়ে। এই রেস্টুরেন্টে যে ননভেজ আইটেমগুলো ছিল তার দাম অনেকটাই কম ছিল। আর যে ভেজ আইটেম গুলো দেখছিলাম তার দাম বেশি ছিল যা আমার কাছে বেশ উল্টো লেগেছিল। আমার দেখা অন্যান্য জায়গায় ননভেজ এর দাম বেশি থাকে আর ভেজের দাম কম থাকে।
আমি যেহেতু ভেজ খাব তাই আমি আমার জন্য গ্রেভি ভেজ চাওমিন অর্ডার করে দিয়েছিলাম । অন্যদিকে আমার বন্ধুরা কনফিউশনে পড়ে যায় তারা কোনটা রেখে কোনটা খাবে তাই নিয়ে। অবশেষে তারা তাদের জন্য ননভেজ চাওমিন জাতীয় একটি খাবার , চাওমিন স্যুপ এবং আরো একটি আইটেম অর্ডার করে যার নাম আমার মনে নেই। খাবার অর্ডার করে দেওয়ার পরেই আমাদের সংশয় ছিল খাবারের কোয়ালিটি নিয়ে কারণ আমাদের পাশের একটি টেবিলে পূর্বে যারা খেয়েছিল তারা খাবার রেখেই চলে গেছিল। সেই জন্যই আমরা কনফিউশনে ভুগছিলাম খাবারের কোয়ালিটি কেমন হবে তাই নিয়ে। যাই হোক, খাবার অর্ডার করার পরে আমরা বন্ধুরা বসে অনেক গল্প করতে থাকি, হাসি-মজা অনেক হয় এই রেস্টুরেন্ট গিয়ে। কুড়ি মিনিট পরে আমাদের খাবার গুলো এক এক করে টেবিলের উপর চলে আসে। আমরা খাবারগুলো খাওয়ার পরেই বুঝতে পারি যে খাবারের টেস্ট অতটা ভালো না। অবশেষে আমাদের সন্দেহ ঠিক হয়েছিল।
আমরা এই খাবারের কোয়ালিটি নিয়ে অনেক হাসাহাসিও করেছিলাম । আমরা একটা কথায় বিশ্বাসী ছিলাম, "শেষ ভালো যার, সব ভালো তার" কিন্তু আমাদের শেষটাই এরকম খারাপ হবে আমরাও ঠিক বুঝতে পারিনি আগে। কি আর করা যাবে মুখ বুজে অনেক কষ্ট করে যে যার মত খাবারগুলো খাই কিন্তু সব খাবার খেয়ে আমরাও শেষ করতে পারিনি। আমাদের খাবারও অনেকটা নষ্ট হয়ে যায়। খাবারের কোয়ালিটি ভালো না থাকলে খাওয়া বেশ কষ্টকর একটা ব্যাপার। এইখানে গিয়ে চাইনিজ খাবার খাওয়ার অভিজ্ঞতাটা আমাদের তেমন ভালো ছিল না। খাবারের কোয়ালিটি ভালো না থাকলেও বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিয়ে যে হাসাহাসি করেছিলাম সেইটুকুই আমাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া ছিল।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: চায়না টাউন, কলকাতা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
চায়না টাউন ঘুরাঘুরি শেষ পর্ব উপস্থাপন করেছেন আজ। রেস্তোরাঁ খুঁজতে গিয়ে যাও একটা পেলেন সেটার ভেতরের পরিবেশটা মোটামুটি আর খাবারের মান তেমন ভালো না বলছিলেন। যাইহোক বন্ধুরা মিলে বেশ গল্প আর আড্ডায় চমৎকারভাবে সময়টা কাটিয়ে দিলেন।
ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
কলকাতার চায়না টাউনে ঘুরতে যাওয়ার শেষ পর্বটি ও বেশ সুন্দর ছিল ভাইয়া। প্রতিটি পর্বে আপনি অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। তবে রেস্টুরেন্টের ভিতরে জায়গাটা খুব একটা পরিষ্কার ছিল না বললেন। যাই হোক অনেক সুন্দর
ঘোরাঘুরি করেছেন বন্ধুদের সঙ্গে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সেদিন ঘুরতে গিয়ে বন্ধুদের সাথে অনেক মজা হয়েছিল। শেষ যে রেস্টুরেন্টটিতে গেছিলাম সেই রেস্টুরেন্টের অভিজ্ঞতা খুব একটা ভালো ছিল না, তবে বন্ধুদের সাথে যা মজা করেছিলাম তা মনে রাখার মত।