সময় পেয়ে একটু ঘুরে এলাম বারো মন্দির ঘাট গিয়ে

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

নমস্কার সবাইকে,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমিও অনেক ভাল আছি।
আজ আমার ব্লগে আপনাদের সাথে কিছু ফটোগ্রাফি এবং ফটোগ্রাফি সংক্রান্ত জায়গা নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করব। এই ফটোগ্রাফিগুলো আমি গতকাল বিকালে বারো মন্দির ঘাট,পানিহাটি ঘুরতে গিয়ে তুলেছিলাম।

20220727_182508.jpg

গতকাল সকাল থেকেই ভাবছিলাম কোথাও গিয়ে একটু ঘুরে আসব কিন্তু কোন জায়গায় যাব সেই জায়গায় ঠিক করতে পারছিলাম না । তারপর বন্ধুদের সাথে কথা বলি কোথাও গিয়ে ঘুরে আসার জন্য তাদেরকে বলি কিন্তু তাদের একটু সময়ের অভাব থাকার কারণে আমি একা একাই প্ল্যান করি কোথাও গিয়ে ঘুরে আসবো। আমি ঠিক করি বিকালের দিকে একটু নদীর ঘাটে গিয়ে ঘুরে আসব। আর নদীর ঘাটের কথা আসলেই যে ঘাটটির নাম আমার মাথায় প্রথমে আসে তা হলো বারো মন্দির ঘাট। প্লান মত আমি মোটামুটি ভাবে বাড়ি থেকে চারটার দিকে বের হয়ে পড়ি। প্রথমে ট্রেনে করে তারপর অটো করে আমি সেই বারো মন্দির ঘাট পৌছে গেছিলাম মাত্র 40 মিনিটের মধ্যে।

20220727_182503.jpg

উত্তর 24 পরগণা জেলার ব্যারাকপুর মহকুমার অন্তর্ভুক্ত পানিহাটির সুকচরে হরিশ চন্দ্র দত্ত রোডে বারো মন্দির ঘাটটি অবস্থিত। 1213 বাংলা সালে প্রায় 200 বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল । নবীন চন্দ্র দত্ত এটি নির্মাণ করেন । এটি তিনি নির্মাণ করেছিলেন তাঁর পিতা হরিশ চন্দ্র দত্তের স্মরণে। বারোটি সংলগ্ন শিব মন্দিরের সাথে ঘাটটি নির্মাণ করেন তিনি।

20220727_182447.jpg

যাই হোক আমি এখানে পৌঁছানোর পর যখন মূল নদীর ঘাটে আসি তখন মোটামুটি লোকজন ছিল। তারা যে যার মত বসেছিল এবং নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছিল। আমি এমন একটি জায়গা খুজছিলাম যেখানে বসে আমি নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারি সবথেকে সুন্দর ভাবে । নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি এইখানে জোরে জোরে হাওয়া বইছিল।জোরালো হওয়ার কারণে এইখানে নদীতে জোরে জোরে ঢেউ দিচ্ছিল ।নদীর ঢেউয়ের দৃশ্য দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল। জার্নি এর যতো ক্লান্তি ছিল শরীরে সবকিছুই কয়েক মিনিটের মধ্যে দূর হয়ে যায় এইখানের শীতল বাতাসের ছোঁয়ায় । কিছু সময় পর একজন লোকাল ঘটি গরম চানাচুর বিক্রেতা গরম চানাচুর মাখা নিয়ে আসে । সেই বিক্রেতার কাছ থেকে আমি গরম গরম চানাচুর মাখা কিনে খাই। আমি এর আগেও এখানে এসেছি সেই সময়ের তুলনায় আজ একটু ভিড় কম ছিল। আর ভিড় যত কম হবে আমার তত বেশি ভালো লাগে সেই জায়গাতে বেশি সময় থাকতে। আমি সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিলাম এবং খুব ইনজয় করেছিলাম পরিবেশটাকে।ইনজয় এর ফাঁকে ফাঁকে কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম সেই গুলো তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম ।

20220727_182456.jpg
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin

20220727_182533.jpg

20220727_182539.jpg

লোকেশন :

https://what3words.com/placidly.financial.woke

20220727_182600.jpg

20220727_182612.jpg

20220727_182546.jpg
পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন 2018 সালে ঘাটটিকে হেরিটেজ হিসাবে ঘোষণা করেছিল।

সময় নিয়ে আমার ব্লগটা পড়ার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । সবাই ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন , সুন্দর থাকেন,হাসিখুশি থাকেন, নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকেন , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  

বাহ্ পড়ন্ত বিকালে, নদীর পাড়ের বিশুদ্ধ বাতাসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে কার না ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মন্ডিত পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ স্থান আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নদীর পাড়ে সূর্য ডোবার প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ বারো মন্দির ঘাটের সুন্দর ফটোগ্রাফি ও আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

এত সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে একটি কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই ।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

দেখছি বেশ সুন্দর একটি জায়গা পরিদর্শন করলেন। এরকম জায়গাগুলোতে সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগে। জায়গাটা বেশ মনোমুগ্ধকর। তাছাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আলো বাতাস সবকিছুই বেশ ভালো লেগেছে। এরকম সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

হ্যাঁ আপু এরকম জায়গায় সময় কাটাতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে । কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

সুন্দর লিখেছেন আপনি।ঘুরোঘুরির লেখা বরাবরই ভালো লাগে।
তবে এভাবে লোকেশন দিলে হবেনা।লোকেশন দেওয়ার নিয়মটি পিন করা একটি পোস্টে পেয়ে যাবেন।আরিফ ভাই এর টিউটোরিয়াল পোস্টটি পিন করা রয়েছে,সেটার মাঝেই পাবেন।

 2 years ago 

আপু লোকেশনের বিষয়টি আমি সংশোধন করে দিয়েছি অনুগ্রহ করে একটু চেক করে নেবেন ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59991.95
ETH 2664.96
USDT 1.00
SBD 2.45