ফটোগ্রাফি || গ্রাম থেকে বিভিন্ন সময় তোলা কিছু ফটোগ্রাফি।
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো । আমিও মোটামুটি ঠিক আছি। |
---|
আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে বাংলাদেশের একটি গ্রাম থেকে তোলা এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব।
ফটোগ্রাফি করতে আমার বেশ ভালো লাগে। অনেক আগেও টুকটাক ফটোগ্রাফি করতাম তবে আমাদের এই কমিউনিটিতে যোগদান করার পর থেকে অনেক বেশি ফটোগ্রাফি করা হয়। কোথাও গিয়ে সুন্দর কোন কিছু দেখতে পেলে তা ক্যামেরাবন্দি করে রাখি। বিশেষ করে গ্রামের দিকে যাওয়ার সুযোগ হলে, সেখানের দৃশ্য গুলো ক্যামেরাবন্দি করে রাখতে আরও বেশি ভালো লাগে। পরে যখন এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখা হয় আলাদা একটা ভালো লাগা কাজ করে নিজের মধ্যে। তোমরা সবাই জানো যে, প্রায় মাস খানেক আগে আমি বাংলাদেশ ভ্রমনে ছিলাম। সেখানে গিয়ে অনেকটা সময় আমি গ্রামে কাটিয়েছিলাম। সেখানে থাকার সময় আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম এলোমেলোভাবে। তার মধ্যে থেকে কিছু আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম।
প্রথমে ফটোগ্রাফিতে তোমরা দেখতে পাচ্ছো কাঁঠালের মুচি। এগুলো বড় হয়ে পরিপূর্ণ কাঁঠাল হতে অনেকটা সময়ের প্রয়োজন পড়বে। তবে আমি যেদিন এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম তারপর থেকে এখন পর্যন্ত হিসাব করলে এই কাঁঠালের মুচি গুলো অনেকটাই বড় হয়ে গেছে। যাইহোক, আমি বাংলাদেশে যাদের বাড়িতে ঘুরতে গেছিলাম তাদের বাড়িতে একটি কাঁঠাল গাছ ছিল। সেই কাঁঠাল গেছে অনেক ছোট ছোট মুচি হয়েছিল। সেখান থেকেই আমি এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম।
এই শীতের সময় সরিষা ফুলের সৌন্দর্য খুব ভালো ভাবেই উপভোগ করা যায়। যেখানে সরিষা ফুল গুলো থাকে, মনে হয় যেন গোল্ডেন ল্যান্ড। একটা অসম্ভব ভালো লাগা কাজ করে এই গুলো দেখতে। ফসলের জমিতে যেখানে সরিষা লাগানো হয়, সেখানে একটা আলাদাই সৌন্দর্য বিরাজ করছে এই সময়ে। আমি যখন বাংলাদেশ ভ্রমণে ছিলাম, একটা জায়গায় ঘুরতে গিয়ে সরিষা ক্ষেতের এই সুন্দর ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম।
গ্রামে পুকুর পাড়ে অথবা ঘেরের পাড়ে অনেক রকমের গাছ লাগানো হয়। তোমাদের সাথে এইখানে যে ফটোগ্রাফিটি শেয়ার করেছি, এখানে একটি ঘেরের পাড়ে অনেক পেঁপে গাছ দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া আশেপাশের সুন্দর প্রকৃতও দেখা যাচ্ছে। পেঁপে গাছ গুলোতে ব্যাপক পেঁপেরও ফলন হয়েছিল। আমি গ্রামের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই এগুলো দেখতে পাই। এগুলো দেখে আমার বেশ ভালো লেগেছিল তাই সেই মুহূর্তে এই ফটোগ্রাফিটি করে রেখেছিলাম।
এই শীতের সময় এরকম দৃশ্য গ্রামে দেখা যায়। গ্রামের জেলেরা তাদের মাছ ধরার জিনিস নিয়ে খালে বিলে মাছ ধরতে যায় এই শীতে এবং ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে বাড়িতে ফেরে। সেরকম এক জেলার মাছ নিয়ে বাড়ি ফেরার দৃশ্য এখানে দেখা যাচ্ছে। যারা সামনাসামনি এরকম দৃশ্য দেখেছে তারা এই ব্যাপারটা ভালোভাবে অনুভব করতে পারবে। শীতের মধ্যে এইগুলো দেখলে আমাদের একটু খারাপ লাগতে পারে, তবে জেলেরা এই কাজটা অনেকটা আনন্দ সহকারে করে থাকে। যখন বিল থেকে তারা হাঁড়ি ভরা মাছ নিয়ে বাড়িতে ফেরে, তাদের মুখে একটা আলাদা হাসি দেখা যায়।
এই ফটোগ্রাফিতে দেখা যাচ্ছে ধুতরা ফলের ফটোগ্রাফি। তবে এই ধুতরা ফলটি এখনো পরিপূর্ণ ভাবে বড় হয়নি। এই ধুতরা ফলকে অনেক বিষাক্ত মনে করা হয়। আমি গ্রামে গিয়ে এটাও জানতে পেরেছি এই ফল খেলে নাকি মানুষ পাগল হয়ে যায়। যদিও এই সম্পর্কে আমি সঠিক তথ্য জানিনা। তবে এই গাছের অনেক ঔষধি গুনাগুনও নাকি রয়েছে। যাইহোক, গ্রামের একটি বাড়ির পাশ থেকে আমি এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম। তাদের বাড়ির পাশে একটি ধুতরা গাছ ছিল, যাতে বেশ কিছু ফল হয়েছিল। এগুলো দেখে আমি কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। তার মধ্যে থেকে একটি আজ শেয়ার করলাম
ছোট বাচ্চারা নিষ্পাপ হয়। তাদের হাসি দেখলে মনটা আনন্দে ভরে ওঠে। কিছু সময়ের জন্য যেন সবকিছু ভুলে যাওয়া যায়। এখানে বাচ্চাটার হাসিটা দেখলে তোমরাও সেই ব্যাপারটা বুঝতে পারবে। কতটা নির্মল, সুন্দর, পবিত্র হাসি হয় একটা শিশুর। এই বাচ্চাটা একা একা বসে খেলছিল। আমি তার পাশে গিয়ে কথা বলে তাকে হাসানোর চেষ্টা করি। তাকে হাসানোর কোনো এক মুহূর্তে আমি তার এই ফটোগ্রাফিটি করে নিয়েছিলাম।
এগুলো যে কি, তোমরা যারা গ্রামে রয়েছো তারা অবশ্যই বুঝতে পারবে। এগুলোকে বলা হয় গোবর কাঠি (ঘুঁটে) । এগুলো সাধারণত জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। গ্রামের অধিকাংশ মানুষই এই গোবরের ঘুঁটে রান্নার জ্বালানিতে ব্যবহার করে থাকে। গ্রামে রাস্তার পাশে এরকম দৃশ্য অনেক দেখা যায়। আমি চলার পথে বিভিন্ন জায়গায় এইরকম দৃশ্য দেখেছিলাম। রাস্তার পাশের একটি জায়গা থেকে আমি এই ফটোগ্রাফিটি করে রেখেছিলাম অনেকদিন আগে যা এখন শেয়ার করলাম।
🍀🍀পোস্ট বিবরণ🍀🍀
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | নড়াইল, বাংলাদেশ। |
গ্রামীন পরিবেশ সবসময় সুন্দর হয়। আপনি গ্রাম্য পরিবেশের দারুন কিছু দৃশ্য ফটোগ্রাফি করেছেন । যেটা সব সময় দেখতে পাই কিন্তু সেই দৃশ্যটি নিয়ে কখনো ভাবা হয় না। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সেই সুন্দর দৃশ্য ফুটে ওঠে তখন ভাবতে ভালোই লাগে। অনেক ভালো লেগেছে আপনার ফটোগ্রাফি।
এটা একদম বাস্তব কথা ভাই, গ্রামীন পরিবেশ সবসময় সুন্দর হয়। যাইহোক, আমার শেয়ার করা গ্রাম্য পরিবেশের ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
বিভিন্ন ফটোগ্রাফির মধ্যে গ্রামের দৃশ্য গুলো খুবই সুন্দর হয়। আপনি বেশ সুন্দর সুন্দর গ্রামের দৃশ্যের ফটোগ্রাফি নিলেন। বিশেষ করে ছোট্ট কাঁঠালের ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে। তাছাড়াও গ্রামীণ দৃশ্যের আরো খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনি শেয়ার করলেন। প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
গ্রামীণ দৃশ্যের এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে সুন্দর লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ছোট্ট কাঁঠালের ফটোগ্রাফি টি আমার নিজের কাছেও বেশ ভালো লেগেছিল আপু।
বাহ্ দাদা বাংলাদেশের গ্রাম থেকে আপনি বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন দেখতে ভীষণ ভালো লাগলো। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে বাচ্চাটার হাসি সত্যি মনটা ভরে গেল দেখে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
বাচ্চাটার হাসিটা মন ভরে যাওয়ার মতই ছিল ভাই। এরকম ছোট ছোট বাচ্চাদের মুখে হাসি দেখলে মনের ভিতর একটা আলাদা ভালো লাগা কাজ করে। যাইহোক, আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
গ্রাম থেকে বিভিন্ন সময় তোলা অনেকগুলো ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। গ্রামীণ ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। চমৎকার বর্ণনার মাধ্যমে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফির সাথে, শেয়ার করা বর্ণনাগুলো আপনার কাছে চমৎকার লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো আপু।
অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আসলে গ্রাম বাংলার প্রকৃতির চিত্র ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। ধুতরা ফলের ফটোগ্রাফি বেশ সুন্দর লাগছে। পেঁপে গাছের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেশ দারুণ। সরিষা ফুলের সৌন্দর্য সত্যি হৃদয় ছুঁয়ে যায়। এত চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আমার শেয়ার করা সবগুলো ফটোগ্রাফির এত সুন্দর প্রশংসা করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন এখন আমাদের সবারই ফটোগ্রাফি করার প্রতি অনেক বেশি নেশা হয়ে গিয়েছে, যা দেখি তাই ফটোগ্রাফি করি ।আর গ্রাম থেকে তোলা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। এমনিতেই গ্রামের প্রকৃতি খুবই চমৎকার আর সেগুলো আপনি দারুন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। দেখে বেশ ভালো লাগলো ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু ফটোগ্রাফি করার নেশা এত পরিমাণে হয়েছে যে, ফোনের গ্যালারিতেই প্রায় ১২ হাজার ছবি রয়েছে! যাইহোক, আমার শেয়ার করা এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে চমৎকার লেগেছে, এটা জেনে অনেক খুশি হলাম।
গ্রামের অপরূপ সৌন্দর্যমায় দৃশ্যগুলো এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। সত্যি গ্রামের প্রকৃতির এই দৃশ্যগুলো আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ছেলে মাছ ধরে বাড়ি ফিরছে এই ফটোগ্রাফিটি অসাধারণ হয়েছে।
আমার শেয়ার করা এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে খুবই ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই।
https://twitter.com/ronggin0/status/1752003651714052569?t=dVuHlblMjizsVRntP2nBuw&s=19
আপনি আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে গ্রামের কিছু সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে ভাই। গ্রামের বাড়িতে দৃশ্য গুলো দেখতে এমনিতে অনেক সুন্দর লাগে। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গ্রামের সুন্দর কিছু মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করার চেষ্টা করেছি ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর এত সুন্দর প্রশংসা করার জন্য।
সুন্দর কিছুকে সুন্দর বলতেই হবে ভাই।