বোটিং করতে এত হয়রানি!
নমস্কার সবাইকে,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও খুব ভালো আছি। |
---|
কয়েকদিন আগে আমি এবং আমার এক বন্ধু গেছিলাম ইকো পার্কে। সে কথা পূর্বের একটি ব্লগে তোমাদের বলেছিলাম কিন্তু সেই ব্লগে আমি ইকোপার্ক ভ্রমণ সম্পর্কে কোন বিবরণ শেয়ার করিনি। আজকের ব্লগে আমি ইকোপার্কে বোটিং করতে যাওয়ার আগে গিয়ে কি কি ঘটেছিল সেই সম্পর্কে শেয়ার করব। ওয়েস্ট বেঙ্গলের মধ্যে সবথেকে বড় পার্ক হল এই ইকো পার্ক। এই ইকো পার্ক অনেক বড় এবং অনেক সুন্দর অনেকেই তোমরা এই বিষয়টা জানো। এই পার্কের অন্যতম একটি আকর্ষণ হল এই পার্কের বিশাল বড় লেক । এটি এতটাই বড় দেখে অনেকটা নদীর মতো মনে হয়। এই লেকের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বোটিং করার ব্যবস্থা রয়েছে। এর আগেও ইকো পার্কে অনেকবার গেছি, অনেকবারই ইচ্ছা হয়েছে বোটিং করার কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা আর করা হয়নি।
এইবার ইকোপার্কে যাওয়ার পূর্বেই আমি বাড়ি থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে গেছিলাম যে কোন উপায়ে বোটিং করেই বাড়ি ফিরব। যাইহোক আমি আমার যে বন্ধুর সাথে গেছিলাম সে সাঁতার জানে না সেজন্য সে বোটিং করতে ভয় পাচ্ছিল। অনেক বোঝানোর পরও বোটিং করানোর জন্য তাকে রাজি করাতে পারছিলাম না। প্রায় ৩০ মিনিট বোঝানোর পর তাকে বোটিং করানোর জন্য রাজি করাতে সক্ষম হই। ইকো পার্কে ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে ঘড়িতে যখন সময় প্রায় তিনটা বাজে তখন আমরা বোটিং কাউন্টারে যায় টিকিট কাটার জন্য। টিকিট কাটার জন্য এসে প্রথমেই বড় লাইনে দাঁড়াতে হয়। বোটিং করার লোক সংখ্যা অনেক ছিল সেই জন্য টিকিট কাটার লাইনে অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল টিকিট পাওয়ার জন্য।
প্রায় কুড়ি মিনিট দাড়িয়ে থাকার পর যখন টিকিট নেওয়ার জন্য টিকিট কাউন্টারের একদম সামনে চলে আসি তখন যে লোকটি টিকিট দিচ্ছিল সে জানায় একটা প্রবলেমর কারণে টিকিট দিতে আরো কিছুটা সময় লাগবে। এত সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর এই কথা শুনে অনেকটা রাগ হল কিন্তু কিছু করার নাই সেজন্যে আরো কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। অবশেষে আরও ১০মিনিট পর গিয়ে টিকিট পেলাম কিন্তু টিকিট পেলেই কাজ শেষ হয়ে যায় তা কিন্তু না। এই টিকিট নেওয়ার পর অন্য আরেকটি লাইনে দাঁড়াইতে হলো। সেই লাইন থেকেই লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে দেবে এবং বোটিং এর কাছে নিয়ে আমাদের বুঝিয়ে দেবে কিভাবে বোটিং করতে হবে।
এই লাইনটিতে দাঁড়িয়ে পুনরায় মনে হচ্ছিল আজ বোটিং করতে পারব কিনা কিন্তু টিকিট যখন কেটেছি বোটিং করতে পারব এই একটা ভরসা পাচ্ছিলাম। তারা কোনো না কোনো উপায়ে বোটিং করাবে যেহেতু তারা টিকিট দিয়েছে। ২৫ মিনিট বোটিং করার জন্য ২০০ টাকা নিয়েছিল আমাদের কাছ থেকে। আমরা যেহেতু দুই জনের জন্য টিকিট কেটেছিলাম তাই দাম কিছুটা কম ছিল। বিভিন্ন ধরনের বোটিং এর প্রাইস বিভিন্ন রকম ছিল। যাই হোক এই লাইনে প্রায় ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হলো লাইফ জ্যাকেট পাওয়ার জন্য। যারা আগে বোটিং করতে গেছিলো তারা তাদের টাইম মেনটেইন করছিল না, এই জন্যই আমাদের বেশি দেরি হয়ে যাচ্ছিল আর এই কারণেই আমাদের আরও বেশি হারানির শিকার হতে হয়েছিল। আমি বাদে অন্যান্য যারা ছিল তারাও বেশ হয়রানির শিকার হয়েছিল এই একই কারণে। অবশেষে যখন লাইফ জ্যাকেট পেলাম বোটিং করার আগে বেশ স্বস্তি লাগছিল। এত কিছুর পরে বোটিং করার কি অভিজ্ঞতা ছিল সে সম্পর্কে পরের ব্লগে তোমাদের সাথে শেয়ার করব।
ইকোপার্কের এরিয়াটা তো বেশ সুন্দর দাদা! ভিতরের পুকুরটাও বেশ বড় বুঝা যাচ্ছে। লাইনে দাড়িঁয়ে টিকেট তাহলে পেয়েই ফেলছিলেন! বোটিং করার অভিজ্ঞতা পরের কোনো পোস্টে জানতো পারবো!
ভাই লাইনে দাঁড়িয়ে ঠিকই টিকিট পেয়েছিলাম কিন্তু অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল এই আর কি। ইকো পার্কের মধ্যের লেকটা এত বড় দেখলে অনেকটা নদীর মতো মনে হয়।
ইকোপার্কের এরিয়াটা বেশ সুন্দর। বোটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে যেহেতু গিয়েছেন, তাই অনেক কষ্ট করে লাইনে দাঁড়িয়েছেন।আসলে কোন কিছু করতে হলে এভাবে ধৈর্য ধরে করতে হয়।যাইহোক অবশেষে বোটিং করতে পেরেছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মূহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
সেই দিন বোটিং করার জন্য টিকিট কাটতে গিয়ে ধৈর্য পরীক্ষায় পাস করেছিলাম বলেই বোটিং করার সুযোগ হয়েছিল আপু।
এই সাতার না জানা বন্ধুগুলো কে নিয়ে ভীষণ বিপদ।এদের নিয়ে শান্তিমত ঘুরেও মজা নেই।আমার এমন কয়েকটা আছে, এদের নদীর পাড়ে বসিয়ে রেখে নৌকায় ঘুরতে হয়।আপনার ধৈর্য এর প্রশংসা করতে হয় দাদা।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
সাতার না জানা বন্ধুকে নিয়ে যে কি বিপদে পড়েছিলাম সেই সম্পর্কে সামনের পর্বে জানতে পারবে ভাই!