শারদীয়া কনটেস্ট ১৪২৯ : সপ্তমীর পুজো দেখা এবং ফটোগ্রাফি।

🔱 নমস্কার সবাইকে 🔱

কলকাতার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি পেয়েছে।

🔱 প্রথম 🔱

⚜️⚜️ শেঠপুকুর পার্ক ক্লাব ⚜️⚜️

এই শেঠপুকুর পার্ক ক্লাবে প্রতিবছরই খুব সুন্দর করে পূজো হয়। তারা প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন থিম করে এই দুর্গোৎসব পালন করে। বারাসাতের মধ্যে এই ক্লাবের দুর্গোৎসব টা মোটামুটি ভালই বড় হয় । বারাসাত কিন্তু কালী পুজোর জন্য বিখ্যাত। বারাসাতে দুর্গাপুজো অনেক বড় করে হয়না কলকাতার মতো করে। তারপরও প্রতিবছর বারাসাতবাসীকে মুগ্ধ করে দেয় শেঠপুকুর পার্ক ক্লাবের থিম। এবারও তার অন্যরূপ ঘটেনি। খুবই সুন্দর একটি থিম নিয়ে তৈরি হয়েছে এবারের দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল। এবারের তাদের থিম ছিল সহজপাঠ। ছোটবেলায় পড়ে আসা সহজপাঠ বইয়ের বিভিন্ন জিনিস তুলে ধরা হয়েছে এবারের পুজো প্যান্ডেলে।

থিম: সহজ পাঠ।

স্থান: শেঠপুকুর পার্ক, বারাসাত।
ফটো তোলার সময়: সন্ধ্যা ছয়টা।
তারিখ: ০২-১০-২০২২
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin

পূজা মন্ডপে প্রবেশের পূর্বে দুটি গেট করা হয়েছিল এটি হলো দ্বিতীয় নাম্বার গেট ।এই গেটে সুন্দর করে সহজ পাঠ বইয়ের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

দ্বিতীয় গেটের অন্য একটি ফটোগ্রাফি।

গ্রামীন জনপদের ঐতিহ্যবাহী হুক্কা হাতে একটি লোক বসে আছে এবং পাশে তার কন্যা ,স্ত্রী বসে আছে।

পূর্বের ফটোগ্রাফটি অন্য অ্যাঙ্গেলে তোলা হয়েছে।

স্বামী বাঁশের চটা দিয়ে ঝুড়ি তৈরি করছে এবং পাশে স্ত্রী বসে আছে।

মা রান্না করছে এবং পাশে তার সন্তান বসে আছে।

গুরুগৃহে গুরু তার ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদান করছেন ।

দুটি মেয়ে বসে একটি মূর্তিতে নিখুঁতভাবে পেইন্টিং এর কাজ করছে।

মা ও মেয়ে বাড়ির বারান্দায় বসে রয়েছে।

প্যান্ডেলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার পরে দুর্গা মায়ের মুখ দর্শন করার সুযোগ হলো।

মা দুর্গার অন্য অ্যাঙ্গেলে নেওয়া একটি ফটোগ্রাফি।

প্যান্ডেলের অভ্যন্তরের একটি দেয়ালের ফটোগ্রাফি যেখানে সহজ পাঠ বইয়ের কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

প্যান্ডেলের ছাদ থেকে ঝোলানো একটি ঝাড়বাতির ফটোগ্রাফি ।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি মূর্তি যা প্যান্ডেলের মধ্যে করা হয়েছিল।

প্রথমে যে ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম সেটি ছিল দ্বিতীয় গেটের ফটোগ্রাফি আর এটি হল প্যান্ডেলের বাইরের প্রথম গেটের ফটোগ্রাফি।

🔱 দ্বিতীয় 🔱

⚜️⚜️ সাউথ শেঠপুকুর সার্বজনীন পূজা সমিতি ⚜️⚜️

প্রতিবছরই এই সাউথ শেঠপুকুর সার্বজনীন পূজা সমিতি দ্বারা দুর্গোৎসব পালিত হয় এইখানে। এরা খুব একটা বড় করে করে না পুজোর প্যান্ডেল। এবারে তাদের পুজোর থিম কোন একটা মন্দিরের মতো করে করেছিল কিন্তু কোন মন্দিরের আদলে করেছিল সেটা কোথাও উল্লেখ করা ছিল না তাই সেটা উল্লেখ করতে পারলাম না।

থিম: কোনো মন্দিরের আদলে করা।

স্থান: শেঠপুকুর ,বারাসাত।
ফটো তোলার সময়: সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা।
তারিখ: ০২-১০-২০২২
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin

প্যান্ডেলের বাইরে থেকে নেওয়া ফটোগ্রাফি- ০১।

প্যান্ডেলে বাইরে থেকে নেওয়া ফটোগ্রাফি- ০২ ।

প্যান্ডেলের ছাদে ঝোলানো ঝাড়বাতির ফটোগ্রাফি।

প্যান্ডেলের মধ্যে প্রবেশ করার পর তোলা মা দুর্গার প্রতিমার ফটোগ্রাফি।

🔱 তৃতীয় 🔱

⚜️⚜️ বারাসাত অ্যাসোসিয়েশন ক্লাব ⚜️⚜️

এই ক্লাবের দ্বারা আয়োজিত পুজো প্যান্ডেল কমিটি প্রতি বছরই অনেকগুলো পুরস্কার পায়। প্রতিবছরই খুব বড় করে এই ক্লাব দ্বারা দুর্গাপুজো পালন করা হয়। প্রতি বছরই নতুন নতুন চমক দেখা যায় এই জায়গার পুজো প্যান্ডেলে। এবারে এইখানে করা হয়েছিল অযোধ্যার রাম মন্দিরের মতো করে পুজো প্যান্ডেল। অযোধ্যা হল মহামানব রামের জন্মস্থান। প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতামত অনুসারে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল একাদশ শতাব্দীতে। এই জায়গায় পুনরায় কয়েক বছর আগে থেকে খুব বড় করে রাম মন্দিরের কাজ চলছে সেই রাম মন্দিরের আদলে এইবার তৈরি করা হলো বারাসাত অ্যাসোসিয়েশন ক্লাবের পুজো প্যান্ডেল ।

থিম: অযোধ্যার রাম মন্দির ।

স্থান: ডাকবাংলা মোড়, বারাসাত।
ফটো তোলার সময়: সন্ধ্যা সাতটা।
তারিখ: ০২-১০-২০২২
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin

প্যান্ডেলের মধ্যে প্রবেশের আগে দূর থেকে নেওয়া রাম মন্দিরের একটি ফটোগ্রাফি।

রাম মন্দিরের সিঁড়িতে ওঠার পূর্বে তোলা একটি ফটোগ্রাফি ।

একটি হাতির মূর্তির ফটোগ্রাফি যা প্যান্ডেলের সিঁড়ির পাশেই ছিল।

মন্দিরের সিঁড়িতে ওঠার পর নেওয়া ফটোগ্রাফি- ০১

মন্দিরের সিঁড়িতে ওঠার পর নেওয়া ফটোগ্রাফি- ০২

মন্দিরের মধ্যে প্রবেশের পর ভগবান শ্রী রামের একটি মূর্তি তৈরি করে রাখা হয়েছিল তার একটি ফটোগ্রাফ।

মন্দিরের একাংশের ফটোগ্রাফি

মন্দিরের এক পাশে তৈরি করে রাখা রাম, সীতা এবং হনুমানের মূর্তির ফটোগ্রাফি।

মন্দিরের ছাদ থেকে ঝুলিয়ে রাখা একটি ঝাড়বাতির ফটোগ্রাফি। খুবই সুন্দর লাগছিল এই ঝাড়বাতিটি ।

মন্দিরের অভ্যন্তরে করে রাখা মা দুর্গার প্রতিমার ফটোগ্রাফি- ০১

মন্দিরের অভ্যন্তরে করে রাখা মা দুর্গার প্রতিমার ফটোগ্রাফি- ০২

মন্দির থেকে বাইরে যাওয়ার পথে তোলা একটি ফটোগ্রাফি।

🔱 চতুর্থ 🔱

⚜️⚜️বসুনগর অ্যাসোসিয়েশন ক্লাব ⚜️⚜️

এই ক্লাবে প্রতিবছর মোটামুটি করেই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। মোটামুটি করে পুজো হলেও এই ক্লাবটি বেশি জনপ্রিয় স্থানীয়দের কাছে। স্থানীয়রা সবাই এখানে এসে অনেক আড্ডা গল্প করে এবং পুজো দেখে পূজোমন্ডলের মধ্যে বসে। এ বছর এই পুজো প্যান্ডেলে বিশেষ কোন থিমের আয়োজন করেনি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তবে যথেষ্ট সুন্দর করে পূজো মন্ডপটি সাজিয়েছিল তারা ।

থিম: বিশেষ কোন থিমের ব্যবহার করা হয়নি।

স্থান: বসুনগর, আড়াই নম্বর গেট , মধ্যমগ্রাম।
ফটো তোলার সময়: সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা।
তারিখ: ০২-১০-২০২২
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin

মন্দিরের মধ্যে প্রবেশের পূর্বে প্যান্ডেলের গেটের সামনে থেকে তোলা একটি ফটোগ্রাফি।

মন্দিরের মধ্যে প্রবেশ করার পর দুর্গা মায়ের মুখ দেখার সুযোগ হলো।

পুরোহিত মশাই দুর্গা মায়ের সামনে আরতি দিচ্ছেন। ফটোগ্রাফি -০১

পুরোহিত মশাই দুর্গা মায়ের সামনে আরতি দিচ্ছেন। ফটোগ্রাফি -০২

প্যান্ডেলের মধ্যে থাকা ঝাড়বাতির একটি ফটোগ্রাফি।

এই প্যান্ডেলটি মন্দিরের মধ্যে করা হয়েছিল এবং মন্দিরের একাংশের গেট বন্ধ ছিল সে অংশের ফটোগ্রাফি।

প্যান্ডেলের একাংশের একটি ফটোগ্রাফি।

🔱 পঞ্চম 🔱

⚜️⚜️রোটারি ক্লাব অফ মধ্যমগ্রাম মেট্রোপলিটন⚜️⚜️

প্রতিবছর ঘুরতে ঘুরতে এই ক্লাবেরও পুজো দেখতে আমি যাই। বিভিন্ন সময় তাদের বিভিন্ন থিম করতে দেখা যায়। এ বছর পূজোয় তাদের থিম ছিল রাজবাড়ী। কোন একটি রাজবাড়ীর মত করে তৈরি করা হয়েছিল এই পূজোর প্যান্ডেলটি। রাজবাড়ীর সমস্ত কিছু ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল এই প্যান্ডেলটির বিভিন্ন অংশে।

থিম: রাজবাড়ী।

স্থান: বসুনগর, মধ্যমগ্রাম ।
ফটো তোলার সময়: সন্ধ্যা আটটা।
তারিখ: ০২-১০-২০২২
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin

প্যান্ডেলের সামনে রাজবাড়ীর বিভিন্ন জিনিস তুলে ধরা হয়েছে। এই ফটোগ্রাফিটি আমি মন্দিরে প্রবেশের পূর্বে তুলেছিলাম।

একটু অন্য অ্যাঙ্গেলে তোলা পূর্বের ফটোগ্রাফিটির মতো অন্য আরেকটি ফটোগ্রাফি ।

প্যান্ডেলের মধ্যে প্রবেশ করার পর তোলা মা দুর্গার প্রতিমার ফটোগ্রাফি।

মা দুর্গার প্রতিমার আরো একটু কাছে গিয়ে তোলা অন্য একটি ফটোগ্রাফি।

প্যান্ডেলের ছাদ থেকে ঝোলানো সুন্দর একটি ঝাড়বাতির ফটোগ্রাফি। ঝাড়বাতির সাইডে থাকা প্যান্ডেলের ডিজাইন আমার খুব ভালো লেগেছিল।

আজকের শেয়ার করা সপ্তমীর পুজো দেখা এবং বিভিন্ন প্যান্ডেল দেখতে দেখতে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন। সবাই ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন , সুন্দর থাকেন ,হাসিখুশি থাকেন , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকেন , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

⚜️⚜️ ধন্যবাদ সবাইকে⚜️⚜️