হঠাৎ করেই রথের মেলায় ঘুরতে যাওয়া (পর্ব -০২) শেষ পর্ব
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। |
---|
কয়েকদিন আগে রথের মেলায় ঘুরতে যাওয়ার নিয়ে একটি ব্লগ শেয়ার করেছিলাম। আজ দ্বিতীয় পর্বে রথের মেলায় ঘুরতে যাওয়া নিয়ে আরো কিছু কথা শেয়ার করব।
রথের মেলায় গিয়ে খাবারের দোকান থেকে আমি এবং আমার বন্ধু খাবার কিনে মেলার সব থেকে বড় আকর্ষণ নাগরদোলার দিকটাতে যাই । কোথাও মেলা হলে সেখানে নাগরদোলা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। নাগরদোলা যদি না থাকে তাহলে সেটাকে মেলা হিসেবে ভাবতেও কেমন জানি লাগে। কোথাও মেলা হলে বড় বড় এই নাগরদোলা গুলো দেখা যায়। কয়েক বছর আগেও এই নাগরদোলাতে উঠতে আমার ভয় করত কিন্তু বর্তমানে এই ভয়টা অনেকটাই কেটে গেছে । মূলত ভয় থেকে বেশি মাথা ঘুরতো নাগরদোলায় উঠলে সেই জন্য চড়তে চাইতাম না। কিন্তু এখন দিব্যি নাগরদোলায় চড়ে বেশ ইনজয় করতে পারি। যদিও এই মেলায় গিয়ে আমি নাগর দোলায় চড়িনি।
আমার সাথে আমার যে বন্ধু ছিল সে যদিও নাগরদোলায় উঠার কথা বলেছিল কিন্তু সেই সময়টাতে হাতে খাবার থাকার কারণে আর উঠিনি। নাগরদোলায় মানুষের ভিড় খুব একটা দেখিনি কিন্তু নাগরদোলার সামনের গলিতে প্রচন্ড ভিড় ছিল লোকজনের। নাগরদোলার পাশেই ছিল বাচ্চাদের জন্য অন্য আরেকটা আকর্ষণ। যদিও এটা কি নামে পরিচিত আমি ঠিক জানিনা। তোমরা আমার শেয়ার করা তিন নাম্বার ফটোগ্রাফি দেখলেই বুঝতে পারবে আমি কোনটির কথা বলছি। যাইহোক আমরা হাতে খাবার নিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু সময় এসব দেখছিলাম। নাগরদোলার ঠিক সামনেই বসেছিল পানের দোকান। এটি কিন্তু নরমাল পানের দোকান ছিল না । এটি ছিল ফায়ার পানের দোকান।
পান গুলোকে বরফের উপর সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছিল। আমরা সেইখানে পৌঁছানোর আগেই একজনকেই ফায়ার পান খেতে দেখি। ফায়ার পান করা অবস্থায় ভেবেছিলাম ফটোগ্রাফি করব কিন্তু তা আর করতে পারিনি। ফায়ার পানের দোকান রেখে আমরা তার পাশ ঘেঁষে চলে যাই মেলার আরো কিছুটা ভিতরে। মেলার ভিতরে অনেক ধরণের দোকান তো ছিল কিন্তু সেখানে শিশু এবং মহিলাদের জন্য জিনিসপত্র বেশি পাওয়া যাচ্ছিল। আমাদের মত ছেলেদের জন্য বিশেষ কোনো আকর্ষণ মেলায় আমি দেখতে পাইনি। আমাদের জন্য কোন জিনিস না থাকায় আমরা মহিলা এবং শিশুদের জিনিসগুলোই মেলায় ঘুরে ঘুরে দেখে বেড়াচ্ছিলাম।
মেলার একটা অংশে ফুচকার দোকান বসে ছিল । সেখানে গিয়ে দেখি আমার এক পরিচিত ভাই মেলায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খাচ্ছে তার বন্ধুদের সাথে। তার সাথে দেখা হওয়ার পর ভালো মন্দ অনেক কথা হয়। অনেকদিন পরেই তার সাথে দেখা হয়েছিল। সেখানে তার সাথে কথা হওয়ার পরে আমি এবং আমার বন্ধু সেখানে দাঁড়িয়ে কুড়ি টাকার করে ফুচকা খাই। মেলার ফুচকা আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না । তবে যেখান থেকে খেয়েছিলাম ফুচকা মোটামুটি ভালই ছিল। যেহেতু মেলাটি খুব একটা বড় জায়গা নিয়ে হচ্ছিল না তাই মেলা ঘুরে দেখতে খুব একটা বেশি সময় প্রয়োজন হয়নি। ফুচকা খাওয়া শেষ করে পুনরায় মেলার আশেপাশে একটু ঘোরাঘুরি করে আমরা মেলা থেকে বেরিয়ে পড়ি।
পোস্ট বিবরণ
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | হেলার বটতলা ,বারাসাত। |
ভাইয়া এপার বাংলা ওপার বাংলা দুই বাংলাতেই রথের মেলার উৎসব বয়ে গেছে। আমাদের দিকেও মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তবে এখনো যাওয়া হয়নি। আপনার পানের পিকটা দারুন লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ ভাই দুই বাংলাতেই রথযাত্রা খুব সুন্দর করে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই সময়টাতে বিভিন্ন জায়গায় রথের মেলা দেখা যায়। আমি এই নিয়ে আমাদের এইখানের দুটি রথের মেলায় ঘুরেছি অলরেডি।
রথের মেলা ঘুরতে গিয়ে আজ আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং তার পাশাপাশি অসাধারণ বর্ণনা তুলে ধরেছেন, যা আজকে নতুন কিছু বিষয় সম্পর্কে ধারনা অর্জন করতে পারলাম আপনার এ পোস্ট এর মধ্য দিয়ে। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট পড়ে এবং নতুন ধারণা জেনে
এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি নতুন কিছু বিষয় সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাই।