নতুন চশমার ফ্রেমের খোঁজে
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও বেশ ভালো আছি। |
---|
কয়েক বছর আগে আমার একটা বাজে অভ্যাস ছিল সেটা হল ছয় মাস পরপর নতুন ফ্রেমের চশমা ক্রয় করা। ৬ মাস পর পর নতুন ফ্রেম নেওয়ার আগে আমি আমার চোখ টেস্ট করিয়ে নিতাম। চোখ টেস্ট করার পর দেখা যেত চোখের পাওয়ারের কোন পরিবর্তন হয়নি এই জন্য পুরনো সবগুলো চশমাও ব্যবহার করতে পারতাম নতুন চশমা গুলোর সাথে সাথে । তবে সময়ের সাথে সাথে এই ব্যাপারটা আমি পরিবর্তন করে ফেলেছি অর্থাৎ এখন তেমনভাবে নতুন চশমার ফ্রেম আর নেওয়া হয় না। সামনে পুজো আসছে তাই এইবার ভাবলাম নতুন একটা ফ্রেম নেব , সেই উদ্দেশ্যেই কয়েকদিন আগে গেছিলাম আমাদের এইখানের সবথেকে জনপ্রিয় চশমার দোকান লেন্সকার্টে।
লেন্সকার্ট জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হচ্ছে এখানে ফ্রিতেই চোখ টেস্ট করা যায়। তাছাড়া ভালো অফার থাকে চশমার ফ্রেমগুলোতে। আমার লেন্সকার্টে গোল্ড মেম্বারশিপ করা থাকে এই এই জন্য আরো কিছুটা এক্সট্রা অফারও পেয়ে যাই। যাই হোক কয়দিন আগে আমি একা একাই গেছিলাম এই লেন্সকার্টে। বন্ধুরা কেউ এইখানে নেই এই জন্য তাদের নিয়ে আর যাওয়া হয়নি, একা একাই গেছিলাম। বন্ধুরা থাকলে হয়তো তাদের সাথে নিয়েই যেতাম। লেন্সকার্টে হাজার রকমের ফ্রেম ছিল।
সেখান থেকে আমি প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চোখে পড়ে ফ্রেমগুলো সিলেক্ট করি । এভাবে অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটি ফ্রেম পছন্দ হয়। লেন্সকার্ট গিয়ে একটি ফ্রেম কিনতে গেলে অনেকটা লস হয়ে যায়। দুটি ফ্রেম কিনলে অনেকটা লাভ হয়, ভালো অফার পাওয়া যায় । এই জন্য আরো অনেকটা সময় নিয়ে আমি দ্বিতীয় ফ্রেমটি চয়েস করি। আগেই বলে রাখা ভালো আমি যখন লেন্সকার্টে ঢুকেছিলাম তখনই আমি আমার চোখ টেস্ট করে নিয়েছিলাম। এবারও একই রেজাল্ট! আমার চোখে যে পাওয়ার ছিল তা চেঞ্জ হয়নি। যার ফলে আমার পূর্বের ব্যবহার করা চশমা গুলো ফেলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না নতুন চশমা নিলেও।
লেন্সকার্টে চশমা অর্ডার করার দুই থেকে তিনদিন পরেই বাড়িতে দিয়ে যাই। আবার যদি আমি বলি, আমি লেন্সকার্ট শপে এসে নিয়ে যাব সেটাও হয়। লেন্সকার্ট শপে এসে নিলে এক্সট্রা কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। কোন সময় চশমায় এডজাস্ট করার কোন প্রবলেম থাকলে তারা এডজাস্ট করে দেয় । তাছাড়া কোন প্রকার ত্রুটি থাকলে চশমা রিলেটেড তারা তার সলিউশন খুব সহজে করে দেয়। তাই আমি লেন্সকার্ট শপে এসে তিনদিন পরে নেব এমনটাই তাদের জানিয়েছিলাম। নতুন ফ্রেমের খোঁজে এসে দুটি ফ্রেম নিয়ে আমার বেশ ভালই লেগেছিল । আমি ফটোগ্রাফিতে একটি ফ্রেম চোখে পড়ে শেয়ার করেছি। তোমরা কমেন্ট করে জানাতে পারো ওই ফ্রেমটি কেমন লাগছে। এই দিন দুটো চশমা কিনতে আমার মোটামুটি তিন হাজার টাকার মত খরচ হয়েছিল। তবে টাকা একটু বেশি খরচ হলেও মনের মত চশমার ফ্রেম পেয়েছিলাম এটাই আনন্দের বিষয় ছিল।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: বারাসাত , নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
লেন্সকার্ট এ তো দেখছি অনেক সুযোগ-সুবিধা আছে । আপনার চোখ টেস্ট করার পরে পাওয়ারের কোন পরিবর্তন হয়নি জেনে ভালো লাগলো। আসলে পাওয়ার কমে গেলে সেটা ভালো কথা তবে পাওয়ার বেড়ে গেলে তো খারাপ। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে নতুন ফ্রেম এর খোঁজ নিয়েই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পাওয়ার কমে গেলে ভালো আবার পাওয়ার বেড়ে গেলে খারাপ তবে ভাই আমি মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছি, পাওয়ার বাড়েও না, কমেও না।