পুজোর পরের দিন বেরিয়েছিলাম ঠাকুর দেখতে
নমস্কার সবাইকে ,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মোটামুটি সুস্থ আছি এখন। |
---|
গত কয়েকদিন আগে আমার শরীর একটু খারাপ ছিল তা আমার গত কয়েকটি ব্লগে শেয়ার করেছি। আমার শরীর যখন খারাপ ছিল সেই সময়ই বিশ্বকর্মা ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলাম এবং ঠাকুর দেখতে গিয়ে সেখান থেকে ঠাকুরের সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি তুলেছিলাম সেগুলো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব ।
দিনটি ছিল বিশ্বকর্মা পুজোর পরের দিন। পুজোর দিন একটু বেশি অসুস্থ ছিলাম তাই সেদিন আর বের হয়নি। পুজোর পরের দিনও শরীর খারাপ ছিল কিন্তু খুব একটা খারাপ ছিল না তাই একটু বেরিয়েছিলাম আমার এক বন্ধুর কথায়। তার বাড়ির কাছে বেশ বড়সড়ো করে এই বিশ্বকর্মা পুজো হয়েছিল এবং সেখানে খুব সুন্দর করে প্রতিমা বানিয়েছিল বিশ্বকর্মা ঠাকুরের তাই দেখার জন্য সে আমায় ডেকেছিল। আমি তাকে আমার অল্প অসুস্থতার কথা জানানোর পরও সে সেখানে যেতে বলে কারণ হলো অনেকদিন ধরে সে আমার সাথে দেখা করবে কিন্তু সময় হচ্ছিল না। সে আবার বাইরে কোথায় চলে যাবে তাই যাওয়ার আগে চাইছিল আমার সাথে দেখাটা করে যাক। তাই সেদিন শরীর কিছুটা অসুস্থ থাকলেও সেই শরীর নিয়ে বেরিয়ে পড়ি গন্তব্যের দিকে।
যাইহোক প্রথমে বিশ্বকর্মা ঠাকুরের পুজো করা নিয়ে কিছু কথা বলে রাখি। বিভিন্ন পেশার লোক এই বিশ্বকর্মা পুজো করে থাকে । নিজেদের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি, সুন্দর ভবিষ্যৎ , নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সাফল্য কামনা করে এই পুজো করে থাকে। মূলত যাদের কারখানা ,শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং যন্ত্রপাতি আছে অথবা এসব জায়গায় কাজ করে তারাই সবচেয়ে বেশি ধুমধাম করে এই পুজো পালন করে থাকে। এছাড়াও হিন্দু ধর্মাবলম্বী সব মানুষদের বাড়িতে অল্প সল্প করে হলেও এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। বাড়িতে যাদের সাইকেল আছে, গাড়ি আছে, বাইক আছে তারা সেই সবের পুজো করে থাকে এই দিনটাতে। ছোটবেলায় আমি বিশ্বকর্মা পুজো মানে শুধু জানতাম ঘুড়ি উড়ানো। যাই হোক এই বিশ্বকর্মা পুজো আসলে বাঙালির মনে অন্য আরেকটা আনন্দ ঘুরে বেড়ায় সেটি হলো দুর্গা পুজোর আনন্দ কারণ বিশ্বকর্মা পুজোর কয়েকদিন পরেই দুর্গাপুজোর আগমন ঘটবে।
এইবার সেদিন বের হওয়া নিয়ে কিছু কথা বলি। আমার সেই বন্ধুর বাড়ি ছিল মধ্যমগ্রাম স্টেশনের খুব কাছেই। আর মধ্যমগ্রাম স্টেশনের খুব কাছেই যে অটো স্ট্যান্ড রয়েছে সেখানে ধুমধাম করে এই বিশ্বকর্মা পুজো অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আমার তো এই সব কিছু পূর্ব পরিচিত ছিল। আমি মধ্যমগ্রাম স্টেশনে গিয়ে আমার বন্ধুকে ফোন করি। ফোন করার পর সে বলল ৫ মিনিটের মধ্যে সে আসছে। আমি ততক্ষণে এই অটো স্ট্যান্ডে ঠাকুর দেখতে চলে যায়। গিয়ে দেখি সত্যিই খুব সুন্দর এবং বড় প্যান্ডেল করে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়েছিল। চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছিল এত সুন্দর করে সাজিয়েছিল সবকিছু। আমি সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঠাকুরের প্রতিমা দেখার সময় কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম তখন। পাঁচ মিনিট পর যখন আমার বন্ধু চলে আসে তার সাথেও কিছু সময় এখানে কাটায়। যেহেতু পূজোর পরের দিন ছিল তাই কোন প্রকার পুজোর প্রসাদ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল না আমদের।আমরা শুধু প্রতিমা টা দেখতেই বের হয়েছিলাম । কিছুটা সময় সেখানে কাটিয়ে সেখান থেকে আমি এবং আমার বন্ধু অন্য একটি জায়গায় গেছিলাম একসাথে একটু আড্ডা দেওয়ার জন্য।
ক্যামেরা পরিচিতি : SAMSUNG
ক্যামেরা মডেল : SM-M317F
ফটোগ্রাফার:@ronggin
স্থান: মধ্যমগ্রাম অটো স্ট্যান্ড, নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
পুজোর পরের দিন বেরিয়ে মধ্যমগ্রাম অটো স্ট্যান্ডে গিয়ে তোলা বিশ্বকর্মা ঠাকুরের সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন। এতটা সময় দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ । সবাই ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন , সুন্দর থাকেন ,হাসিখুশি থাকেন , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকেন , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।
আমি নিজেও বিশ্বকর্মা পুজোর দিন সন্ধ্যায় ঘর থেকে বেরিয়ে ছিলাম ঠাকুর দেখার জন্য। আমি যদিও শুনেছিলাম মধ্যমগ্রামের ওইদিকে অর্থাৎ স্টেশনের পাশে খুব বড় করে একটা পূজা হচ্ছে। কিন্তু সময়ের সল্পতার কারণে যেতে পারিনি। আমাদের পাড়ার পূজো দেখতে দেখতে এবং প্রসাদ খেতে খেতে অনেকটা সময় চলে গেছিল। তবে বেশ খারাপ লাগলো যে, এতদূর গিয়েও পূজার প্রসাদ পাওনি।
আমি আপনার সেই দিনের ব্লগটি পড়েছি। আপনি তো নিজের পাড়ার প্রসাদ না পেয়ে অন্য পাড়ায় গিয়ে প্রসাদ খেয়ে এসেছিলেন। যদিও এই পুজোর প্রসাদ আমি তো কোথাও গিয়ে পাইনি কারণ আমি পুজোর পরের দিন গেছিলাম।
আপনার তোলা ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।সুন্দর ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ইউ আর ওয়েলকাম আপু।
শরীর খারাপ থাকা সত্ত্বেও পুজো দেখার জন্য বের হয়েছেন এতে আপনার মংগল হবে। আপনার পুজোর ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। পুজো এঞ্জয় করেছেন দেখে ভাল লাগলো। ধন্যবাদ দাদা।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই । আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।