ইকো পার্ক থেকে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি || পর্ব - ০৫
বন্ধুরা ,
সবাই তোমরা কেমন আছো ? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমিও অনেক অনেক ভালো আছি। |
---|
প্রথমেই আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম জানাই। বেশ কিছুদিন পর তোমাদের সাথে ইকো পার্ক থেকে তোলা আরো কিছু ফটোগ্রাফি আজকে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমার আগের শেয়ার করা ব্লগগুলো যারা দেখেছ তারা অবশ্যই জানে ইকোপার্ক কত বড় সেই সম্পর্কে কিছু কথা আমি অলরেডি শেয়ার করেছি। আমি যেদিন ইকো পার্ক গেছিলাম সেদিন সমস্ত জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখেছিলাম এবং যতটা সম্ভব হয়েছিল ফটোগ্রাফি করার তা করেছিলাম। আজকে যে জায়গার ফটোগ্রাফি শেয়ার করব সেটা আমাদের বাঙালিদের একটি গর্বের জায়গা যেখানে ভাস্কর্যের মাধ্যমে বাংলার ইতিহাসকে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলার জন্য যারা সব থেকে বেশি অবদান রেখেছেন সেইসব মহান মানুষদের ভাস্কর্য, ইতিহাসে বাংলায় কি কি ঘটেছিল সবকিছু এই উদ্যানে ভাস্কর্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে যার মাধ্যমে খুব সহজভাবে বাংলার ইতিহাসকে জানা যায়।
আমরা যখন ভাস্কর্যে বাংলার ইতিহাস উদ্যান এর মধ্যে যাই তখন এইখানে খুব একটা ভিড় ছিল না। কিছুটা বিকাল হয়ে গেছিল কিন্তু সবকিছু খুব স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছিল। আমরা ভিতরে ঢুকেই ইতিহাস বইয়ের কিছু কিছু জিনিস সামনেই দেখতে পাই ভাস্কর্যের মাধ্যমে। সব কিছু খুব ডিটেইলিং ভাবে না জানলেও অল্প ইতিহাস সম্পর্কে জানি। সেই সব কিছু ভাস্কর্যের মাধ্যমে সামনে তুলে ধরাই খুব ভালোভাবে পুনরায় জানতে পারছিলাম। পূর্বে আমাদের বাংলা কি পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গেছিল, কার কি অবদান রয়েছে বাংলার গৌরবময় ইতিহাসে ইত্যাদি সমস্ত বিষয়গুলো ভালোভাবে জানতে পেরে বাংলার সেইসব মানুষদের জন্য গর্ব হচ্ছিল। যেহেতু আমি এবং আমার বন্ধুরা সবাই একসাথে ছিলাম তাই আমরা সবাই ইতিহাসের সেইসব বিষয়গুলো আলোচনা করতে করতে উদ্যানটির সমস্ত জায়গা দেখছিলাম । সবাই আলোচনা করার কারণে বিষয়গুলো আরো স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছিল ।
পূর্বে বাংলার বিভিন্ন রাজা তাদের কাজকর্ম, যুদ্ধ কিভাবে করতো , পূর্বের মানুষ কিভাবে নাম কীর্তন করত, কার কি অবদান সবকিছু কেমন ভাস্কর্যের মাধ্যমে লাইভ দেখতে পাচ্ছিলাম। সত্যি কথা বলতে গেলে এই জায়গা থেকে সমস্ত কিছু খুব ভালোভাবে জানতে হলে আমাদের পুরো দিনই এখানে কাটাতে হতো তাই আমরা যতটুকু সম্ভব সবকিছু দেখি এবং সব জায়গার কিছু কিছু ফটোগ্রাফি করি। বাঙালি হিসেবে বাংলার ইতিহাস জানা জরুরী একটি বিষয়। বাংলার জন্য যেসব মহান মানুষরা অবদান রেখেছেন তাদের সম্পর্কে জানলে গর্ববোধ হয়। যাইহোক সেখানে ঘুরতে ঘুরতে যে ফটোগ্রাফিগুলো করেছিলাম তার কিছু অংশ আজকের ব্লগে শেয়ার করলাম। বাকি অংশের ফটোগ্রাফি গুলো পরের একটি পর্বে তোমাদের সাথে শেয়ার করব এবং সে সম্পর্কে আরো বিস্তারিত কথা জানাবো।
বাংলার গর্বিত মহান মানুষদের ভাস্কর্য করে রাখা হয়েছে। এইসব মহান মানুষ বাংলার জন্য যা অবদান রেখেছেন তা বাংলার মানুষ কোনদিন ভুলিনি এবং ভুলবে না।
সেই সময় ঢাক -ঢোল ,করতাল বাজিয়ে গ্রামে গ্রামে হরি কীর্তন , নামযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হতো সেই সব দৃশ্য ভাস্কর্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে ।
রাজাদের রাজ্য জয়ের নেশায় ঘটা যুদ্ধের দৃশ্যাবলী ।
রাজা এবং প্রজাদের কিছু কাজ কর্মের দৃশ্যাবলী । কাজকর্মের নামে প্রজাদের সেই সময় অত্যাচার করা হতো অন্যদিকে রাজারা আরামের জীবন যাপন করত।
ইতিহাসের পাতায় বাংলায় ঘটে যাওয়া যুদ্ধের কিছু দৃশ্যাবলী যা সুন্দর ভাস্কর্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: ইকো পার্ক, কলকাতা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
ইকোপার্ক ভ্রমণ করে এ পর্বে আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু আলোকচিত্র সেইসাথে অনেক সুন্দর কিছু তথ্যবহুল আলোচনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন খুবই ভালো লেগেছে। ইকোপার্কটি আয়তনে অনেক বড় এ কথা আপনি আগেই আমাদেরকে জানিয়ে ছিলেন।। সত্যিই এমন সবুজে নোয়ানোর জায়গা ভ্রমণ করতে আমারও অনেক ভালো লাগে আজকের ফটোগ্রাফির মধ্যে বিশেষ করে দেয়ালের উপর খোদাই করা চিত্র গুলা অসাধারণ ছিল।
অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে কথাগুলো বলার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ভাইয়া ভারতীয় অনেক ভাই বোনের পোষ্টের মাধ্যমে ইকো পার্ক সম্পর্কে অনেক জেনেছি এবং ফটোগ্রাফি দেখেছি। তবে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে ইকো পার্কের মূল সুন্দর্য দেখতে পারলাম। প্রত্যেকটা জাগায় প্রতেকটা দেয়ালে ছবির মাধ্যমে ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে। পার্কে গেলেই বাংলার অনেক ইতিহাস জানা যাবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। সমস্ত জায়গার ফটোগ্রাফি করা সম্ভব না হলেও সেদিন যতটুক জায়গা ঘুরেছিলাম সেই সব জায়গার ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি কয়েকটি পর্বের মাধ্যমে ।
এই ইকো পার্ক নিয়ে এর আগেও অনেক পোস্ট দেখেছি। যত বার দেখি ততবার ভালো লাগে। এত সুন্দর এই জায়গা টা। শুধু যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এমন টা নয়, নানান অতীত ঐতিহ্যর কারুকার্যেতে চারদিক পূর্ণ। মন ভরে যায় যেন দেখে। খুব সুন্দর ছিল ভাই আপনার পোস্ট টা।
হ্যাঁ ভাই ঠিক বলেছেন মন ভরে দেখার মত একটি জায়গা । এখানে গেলে সত্যিই সবার মন ভালো হয়ে যায়, সুন্দর একটা পরিবেশ সবসময় সবাইকে মুগ্ধ করে। বাংলার ইতিহাসের অনেক কিছু জানতে পেরেছিলাম এইখানে গিয়ে।
ফটোগ্রাফিতে যত সুন্দর লাগছে বাস্তবে দেখতে আরো অনেক বেশি সুন্দর । ভাস্কর্যের মাধ্যমে বাংলার ইতিহাসের অনেক বিষয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল যা দেখে সত্যিই বাংলার ইতিহাসের অনেক কিছু জানতে পেরেছিলাম। এইখানে যে বসার জায়গা গুলো রয়েছে সেখানে গিয়েও আমরা অনেকটা সময় বসে কাটিয়েছিলাম। সুন্দর একটা পরিবেশও ছিল সেদিন।