জেনারেল রাইটিং || জীবনে হতাশ হবেন না
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও বেশ ভালো আছি। |
---|
আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। আজকে ব্লগে তোমাদের সাথে আমাদের জীবন রিলেটেড কিছু কথা শেয়ার করবো।
আমরা মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছি। তবে আমাদের জীবনের প্রকৃতি কেমন হওয়া উচিত তাই নিয়ে কখনো আমরা গভীরভাবে ভেবে দেখি না। আমাদের যেখানে সবসময় আনন্দে থাকা উচিত সেখানে আমরা সবসময় দুঃখী থাকি। আমরা যখন কোন কাজ করতে যাই, সেই কাজে একটু অসফল হলেই সহজে হতাশ হয়ে পড়ি। কিন্তু এটা মোটেও উচিত কাজ নয়। আমাদের জীবন কি, আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কি, এগুলো যদি আমরা সঠিক ভাবে জানতে পারি এবং বুঝতে পারি জীবনের উপলব্ধি থেকে তাহলে আমরা সহজে হতাশ হয়ে যাব না। আমরা যদি অন্য সবার জীবনের দিকে তাকাই তাহলে আমরা কিছু না কিছু ভালো আমাদের নিজের জীবন থেকেই খুঁজে পাবো। আর যা আমাদের জীবনকে হতাশ হতে দেবে না।
আমরা কোন না কোনভাবে অনেকের থেকে অনেকটাই ভালো থাকি বা সুখে থাকি কিন্তু আমরা সেই বিষয়গুলো দেখি না। অন্য যারা বেশি ভালো রয়েছে আমাদের থেকে, সেই তুলনায় নিজেদের ছোট করে ফেলি। সেজন্যই আমরা মূলত দুঃখী থাকি, হতাশ হয়ে পড়ি। এই হতাশার মধ্য দিয়ে অধিকাংশ মানুষ যায় এবং জীবনের অনেকটা সময় এখানেই ব্যয় করে ফেলে। জীবনটাকে উপভোগ করার কথা তারা ভুলেই যায়, জীবনের হতাশা দেখতে দেখতে। আমি আমার জীবনে অনেক হতাশ লোকই দেখেছি। তারা সামান্য কারণেই হতাশ হয়ে পড়ে।
তবে তারা যদি সঠিকভাবে জিনিসটা বুঝতে পারে তাহলে কিন্তু তারা হতাশ হবে না। কিন্তু অনেকে এই হতাশার মাঝে নিজেদের হারিয়ে ফেলে। হতাশার থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে পায় না। যদিও কেউ কেউ এর উপায় খুঁজে পায় কিন্তু তারা সেটা নিজের জীবনে এপ্লাই করতে পারে না। সফলতা অসফলতা সবকিছু নিয়েই আমাদের জীবন। সফল হলেই সুখে থাকতে হবে বা আনন্দে থাকতে হবে আর অসফল হলেই দুঃখী হয়ে যেতে হবে, এটা মোটেও উচিত নয়। আমাদের প্রত্যেকটা ব্যাপারকে একটা সিচুয়েশন হিসেবে মেনে নেওয়া উচিত।
ভালো হোক মন্দ হোক সেটা একটা সিচুয়েশন এবং সেই সিচুয়েশন অনুযায়ী চলা উচিত । আমাদের এটা উচিত নয় অতিরিক্ত খুশি হয়ে যাওয়া অথবা অতিরিক্ত দুঃখী হয়ে যাওয়া। আমরা যদি এ দুটোর মাঝ বরাবর একটি অবস্থানে থাকতে পারি তাহলে আমরা না দুঃখী হবো, না সুখী হব। একটা স্থির জীবনযাপন করতে পারব। এই হতাশা ব্যাপারটা তখন আর আসবে না, আমি ব্যক্তিগতভাবে এটাই মনে করি । আমি যেই কথাগুলো এখানে বলছি আমি আমার নিজের জীবনেও এপ্লাই করি, সেই জন্যেই বলছি। আমি এটা বিশ্বাস করি, কাউকে কোন কিছু বলার আগে সেই ব্যাপারগুলো নিজের জীবনেও এপ্লাই করা উচিত। নিজে এপ্লাই না করে সেই বিষয়ে অন্য কাউকে জ্ঞান দেওয়া মোটেও উচিত নয়। আমি আমার পার্সোনাল জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে এই কথাগুলো বললাম। বর্তমানে ইয়ং জেনারেশন থেকে শুরু করে বৃদ্ধ, সবাই অনেক হতাশাগ্রস্থ থাকে। এটা বর্তমান সময়ের বড় একটা সমস্যা।
জীবনে হতাশাগ্রস্ত হয়ে যখন অনেক ভেঙ্গে পড়বেন তখন কোন একটা হসপিটালে গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। সেখানে গিয়ে দেখবেন আপনার থেকেও অনেক হতাশাগ্রস্থ এবং দুঃখী লোক রয়েছে। জীবন মৃত্যুর সাথে লড়ছে তারা। তবে তারাও জীবনে আশা দেখে, জীবনের আশা ছাড়েনি। আপনি সেখানে গিয়ে নিজেকে তাদের থেকে অনেক সুখী অনুভব করতে পারবেন। তখন এটা আপনার কাছে অবশ্যই মনে হবে, আপনার যে সমস্যাটা চলছে এবং আপনি যে কারণে হতাশ, সেটা কোন কারণই না। সবাই যদি নিজেদের পজেটিভ দিকগুলো সব সময় বিবেচনা করে এবং তাদের কাছে যা কিছু আছে তাই নিয়েই ভালো থাকার চেষ্টা করে তাহলে কিন্তু তারা এতটা হতাশ হবে না। সবাই দিনশেষে ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক এবং হতাশা মুক্ত থাকুক এই প্রত্যাশাই করি। সবাই নিজেদের কাছে যা আছে তাই নিয়ে আনন্দে থাকতে শিখলে এই হতাশার ব্যাপারটা আর আসবেনা।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
লোকেশন | বারাসাত, কলকাতা। |
এই জীবনে কারোরই উচিত না হতাশ হওয়া। জীবনের সফলতার আগে অবশ্যই ব্যর্থতা আসে, তখন হতাশ হওয়া কারোরই উচিত নয়। দুঃখের সময় যদি আমরা হতাশ হয়ে পরি তাহলে আমরা জীবনে সুখ দেখতে পাবো না এবং কি এগিয়ে যেতে পারবো না। তাই আমাদের সব থেকে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে হতাশাকে দূরে রাখা। হতাশা মুক্ত থাকতে পারলেই মানুষ জীবনে ভালো কিছু করতে পারবে এবং সফলতার মুখ দেখতে পাওয়া। আপনার আজকের এই লেখাটা সত্যি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
আমার আজকের এই লেখাটা যে আপনার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে, সেটা জেনে অনেক খুশি হলাম আপু।
দাদা আপনার আজকের জেনারেল রাইটিং পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলো মার্ক ডাউন ইউজ করে বড় করেছেন খুবই ভালো ব্যাপার এটা। আপনি সত্যি বলেছেন দাদা আমাদের অতিরিক্ত সুখী বা অতিরিক্ত হতাশ হওয়া যাবে না দুটোর মাঝামাঝি থাকলে জীবনটা সুন্দর উপভোগ করা যাবে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমার এই পোস্টটা আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে, জেনে অনেক খুশি হলাম ভাই।
মানুষের জীবনে বাধা আসবেই আর সব বাধা পেরিয়ে জীবনকে সচল রাখতে হবে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই মানুষ হতাশায় জীবন পার করে দেয় তবে সেটা তার একটা বড় ভুল। কেননা জীবন চলার পথে সব বাধা পেরিয়ে নিজেকে সচল রাখাই বড় সার্থকতা।
এত সুন্দর করে আপনার মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি সফল হয়েছেন কিংবা ব্যর্থ... যেটাই হোন না কেন সেটা শুধু একজনের পক্ষ থেকেই হয়েছেন। আর যখন আপনার জীবনে কোনো ভালো কিছু হবে সেই একজনের কাছ থেকেই হবেন। জীবনে হতাশা তারাই হয় যারা তাদের কর্মজীবনের উপরে আত্মবিশ্বাসী না। জীবনে কখনোই হতাশা হওয়া যাবে না দুঃখ কষ্টকে সাথে নিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
বাহ! অনেক সুন্দর কথাগুলো বলেছেন তো ভাই। আপনার এই মন্তব্যটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
আমিও একমত আপনার এই কথার সাথে।
আমরা এমন মানুষ অল্পতে হতাশ হয়ে যাই। কিন্তু যুগ যুগ ধরে যেসব মানুষ সফলতার দ্বার প্রান্তে পৌঁছেছেন তাদের হতাশ হতে কখনো দেখা যায়নি। তারা বারবার পড়ে গেছেন আবারো উঠে দাঁড়িয়েছেন। তাই হতাশ না হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই উচিত। তাহলে সফলতা খুব কাছাকাছি আসবে। হয়ত আজকে আসবে না কিন্তু একদিন তো আমরা সফলতায পাব।
মোটকথা আমাদের হতাশ হলে চলবে না, হতাশ না হয়ে সামনে এগিয়ে চলা উচিত।
আমরা যদি আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস দিয়ে আমাদের সকল কাজকর্ম সম্পাদন করতে পারি তাহলে আমরা কখনোই কোন খারাপ কাজে পতিত হবোনা। এর ফলে আমরা হতাশা ব্যাতিত জীবন যাপন করতে পারব৷ আমরা যদি আমাদের কাজকে কোন গুরুত্ব সহকারে না দেখি, শুধুমাত্র কোনমতে করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা কোনো কাজে ব্যর্থ হবো না। তাই আমাদের সকলের উচিত আমাদের কাজ গুরুত্ব সহকারে দেখা এবং যতবারই আমরা ব্যর্থ হবো ততবারই এর পিছনে লেগে থাকে। সফলতা অর্জন করা পর্যন্ত এর সাথে লেগে থাকতে হবে। অনেক ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে এই পোস্ট পড়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার শেয়ার করা এই পোস্টটি পড়ে আপনার অনেক ভালো লেগেছে, জেনে খুশি হলাম ভাই।
জী ভাইয়া ঠিক বলেছেন। জীবনটাই যুদ্ধ। হতাশ হলে চলবে না। পৃথিবীতে টিকে থাকলে হলে,যুদ্ধ করেই থাকতে হবে। আর যে কোন জিনিষ পেতে হলে চেষ্টা করতে হবে। চেষ্টা করলে একদিন সব কিছুই পাওয়া সম্ভব। তাই হতাশ হলে চলবে না। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই, পৃথিবীতে টিকে থাকতে গেলে অবশ্যই যুদ্ধ করে যেতে হবে। এটা একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই, কোন কিছু পেতে গেলে আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে, হতাশ হলে চলবে না।
মানুষের এই স্বল্প আয়ুতে মানুষ অনেক সময় অনেক জায়গাতে মানুষ হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। আসলে জীবনে চলার পথে এমন কিছু পরিস্থিতি সামনে আপনি হবেন এমনিতেই নিজেই নিজেকে ভেঙে পড়তে হয়। তারপরও হতাশা না হয়ে যদি সেগুলো থেকে ঘুরে দাঁড়ানো যায় তাহলে সেটাই সবার জন্যই ভালো। আপনি আজকে খুবই চমৎকার লিখেছেন ভাই। আপনার লেখা পড়ে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। চমৎকার ভাবে লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমার লেখা গুলো আপনার কাছে খুব চমৎকার লেগেছে জেনে খুশি হলাম। অভারঅল আপনার মন্তব্যটির জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলেই দাদা নিজের অবস্থা নিয়ে সবসময় সন্তুষ্ট থাকা উচিত। আমরা সবচেয়ে বেশি ডিপ্রেসড হয়ে যায় প্রিয় কিছু থেকে আঘাত পেলে অথবা কেউ ভালো অবস্থানে আছে সেটা দেখে ভাবী আমরা কেন ভালো নেই। জীবনের খারাপ সময়েও আমাদের ধৈর্য ধরা উচিত। জীবনে ভালো সময় আসবেই 🌼
জীবনে আমাদের ধৈর্য হারালে চলবে না, ঠিক বলেছেন ভাই। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে ।