ওয়েস্টসাইড শপিংমলে, শপিং এর উদ্দেশ্যে (পর্ব -০১)
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও বেশ ভালো আছি। |
---|
সামনে দুর্গা পুজো আসছে, এই সময় শপিং করার তাড়াহুড়ো একটু বেশিই দেখা যাবে সবার মধ্যে। পুজোর আগের দিনগুলো বেশ ব্যস্ত ভাবেই যায় মানুষের এই শপিং করার জন্য । আমি আমার নিজের জন্য কম বেশী শপিং এই পুজোর সময় করে থাকি। সারা বছর তেমন একটা জামা কাপড় কেনা হয় না তবে পুজোর সময় নতুন কোন বস্ত্র নিতে হয় এটা আমার পরিবারের লোক বলে থাকে এই কারণে অনেক সময় ইচ্ছা না থাকলেও কেনা হয়। পুজো আসলে বন্ধুবান্ধবের সাথে শপিংমল গুলোতেও যাওয়া হয় ।
শপিংমলে সাধারণত একা আমার যেতে ইচ্ছা করে না। এই জন্য বন্ধু অথবা বান্ধবী কেউ না কেউ সাথে থাকে অধিকাংশ সময়। কিছুদিন আগে ই আমার এক বান্ধবী আবদার করে তাকে সাথে নিয়ে শপিং করতে যাওয়ার জন্য কিন্তু তার একটা দাবি ছিল সে হলো, "স্টার মলে" শপিং করতে যাবে না। অনেকবারই সে এই জায়গায় গিয়েছে তাই নতুন কোন জায়গায় নিয়ে যেতে বললো আমায় । তারপর আমি অনেক ভেবে দেখলাম আমাদের বাড়ির কাছাকাছি নতুন একটি শপিংমল খুলেছে "ওয়েস্টসাইড" নামে তাকে নিয়ে এই নতুন শপিংমলটিতে যাব। এটি "টাটা" গ্রুপের অন্তর্গত একটি শপিংমল।
যেহেতু আমারও এইখানে আগে কোনদিন যাওয়া হয়নি এবং সেও কোনদিন যাইনি তাই নতুন এই জায়গায় গিয়ে নতুন সবকিছু দেখার সুযোগ হবে এমনটাই ভেবেছিলাম আমি। নতুন নতুন জায়গায় গেলে নতুন নতুন কালেকশন, ডিজাইন এবং নতুন পরিবেশ দেখার সুযোগ হয়। যাইহোক দুই দিন আগেই বিকালের সময়টাতে আমার সেই বান্ধবীকে সাথে নিয়ে গেছিলাম এই শপিংমলটিতে। এই শপিংমল টি দেখতেও অনেক বড় ছিল। এখানে সাধারণত ছেলেদের মেয়েদের জামা কাপড় থেকে শুরু করে পারফিউম, ব্যাগ, কসমেটিক্স, মর্ডান গয়না এবং অন্যান্য অনেক কালেকশনই ছিল।
আমরা যখন প্রথমে এই শপিং মলটিতে প্রবেশ করি তখন আমার মনে হয় অন্য কোনো জগতে চলে এসেছি। সত্যিই সে এক অন্যরকম অনুভূতি! বাইরে থেকে দেখে বিষয়টা বোঝা যাচ্ছিল না, ভিতরে যাওয়ার পরে মনে হয় অন্য কোন বাইরের দেশের শপিংমলে চলে এসেছি এরকমটা ফিল হচ্ছিল। ভেতরের পরিবেশটা এত সুন্দর ছিল যা কল্পনার বাইরে। চারিদিকে মিরর লাগানো ছিল তাই খুব সহজেই যে কোনো ড্রেস সাইডে নিয়ে দেখার সুযোগ ছিল। যার ফলে কোন ড্রেসটি কেমন লাগবে পড়লে সেটা অনেকটা বোঝা যাচ্ছিল। এখানে ঢুকেই নিচ তলায় মেয়েদের কালেকশন ছিল। তাই আমার বান্ধবী দেখা শুরু করে প্রথমে। আমরা যখন নিচতলায় ছিলাম আমি আমার মতো করে ভিতরে হেঁটে বেড়াচ্ছিলাম আর সে তার প্রয়োজনীও জিনিসগুলো দেখছিল। এখানের জিনিসগুলো তো তার অনেক পছন্দ হয়েছিল কিন্তু এখানের দাম অনেকটা বেশি ছিল তাই সে অনেকটা কনফিউজড হয়ে যাচ্ছিল।
চলবে...
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: বারাসাত , নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
এমন জাঁকজমকপূর্ণ শপিংমলে জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়াটা স্বাভাবিক ভাই। তবে এমন শপিংমলে গিয়ে শপিং করতে খুব ভালো লাগে। বেশ কয়েকঘন্টা শপিং করলেও ক্লান্তি আসে না শরীরে। শপিংমলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এবং পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
হ্যাঁ ভাই এরকম পরিবেশে কয়েকঘন্টা শপিং করলেও ক্লান্তি আসে না শরীরে এটা একদম ঠিক কথা বলেছেন।
সুন্দর একটি শপিংমলের শপিং করতে গিয়েছেন এবং সেখানকার দারুন পরিবেশ এবং অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ফটোগ্রাফি ও বর্ণনার সাথে। এমন চমৎকার পোস্টগুলো আমার খুবই ভালো লাগে। পাশাপাশি বাজার সম্পর্কেও ধারণা লাভ করতে পারি।
এমন ধরণের পোস্ট আপনার ভালো লাগে জেনে অনেক খুশি হলাম ভাই। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।