লাইফ স্টাইল || বারাসাতে কালী পুজোয় ঘোরাঘুরি ( তরুছায়া ক্লাবের পুজো প্যান্ডেল)।
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও বেশ ভালো আছি। |
---|
বন্ধুরা, আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে বারাসাতের কালী পুজোয় ঘোরাঘুরি নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো। আজ তোমাদের সাথে "তরুছায়া ক্লাবের পুজো প্যান্ডেল" নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করব। এই তরুছায়া ক্লাবের পুজো প্যান্ডেল, বারাসাত ফায়ার ব্রিগেড -এর পুজো প্যান্ডেল নামেও পরিচিত। তোমাদের সাথে কিছুদিন আগে আমি জাগৃতি সংঘের পুজো প্যান্ডেল নিয়ে শেয়ার করেছিলাম। আমি কালী পুজোর সময় জাগৃতি সংঘের পুজো প্যান্ডেল দেখে, সেইখান থেকে এই তরুছায়া ক্লাবের পুজো প্যান্ডেল দেখার জন্য গেছিলাম।
সেদিন আমার সাথে আমার এক বন্ধুও ছিল। আমরা দু'জনে মূলত বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেল গুলো ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। যাইহোক, "জাগৃতি সংঘের পুজো প্যান্ডেল থেকে পাঁচ মিনিট পায়ে হেঁটে দূরত্ব ছিল, এই তরুছায়া ক্লাবের পুজো প্যান্ডেলটির"। প্রতি বছরই আমি এই পুজো প্যান্ডেলটিতে যাই। এই পুজো প্যান্ডেলটি অনেক বড় করে তা কিন্তু নয়, মোটামুটি ছোট সাইজেরই করে কিন্তু প্রত্যেকবার এমন কিছু আকর্ষণ এখানে থাকে যা মানুষের নজর কেড়ে নেয়। এইজন্য পুজোর সময় মাঝে মাঝে এই পুজো প্যান্ডেলটিতে অনেক ভিড়ও হয়ে যায়। তবে আমি যেদিন, যে সময়ে গেছিলাম তখন খুব বেশি ভিড় ছিল না।
এই বছর এই পুজো প্যান্ডেলটির থিম ছিল "আদিবাসী ডাকাতে কালী"। তিনদিন আগে আমাদের কমিউনিটির ফাউন্ডার, আমাদের প্রিয় দাদাও এই পুজো প্যান্ডেলটি নিয়ে শেয়ার করেছিলেন। আমি দাদার ব্লগটি পড়েছিলাম, সেই জন্য এই পুজো প্যান্ডেলটি সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত জানতে পেরেছিলাম। তার আগে আমি এই পুজো প্যান্ডেলটি সম্পর্কে তেমন বেশি কিছু জানতাম না। আমি শুধু জানতাম যে, আদিবাসী মানুষরা পুজো করছে এরকম কোন কিছু নিয়ে একটি পুজো প্যান্ডেল করেছে। তবে আসল রহস্য দাদার সেই ব্লগ পড়েই জানতে পেরেছিলাম। তাই আমি আমার লেখার ক্রেডিট দাদাকে দিতে চাই। যাইহোক, তোমরা যারা যারা দাদার সেই ব্লগটি পড়েছ তারা অবশ্যই এই সম্পর্কে জানো। তাও আমি অল্প করেই সেই বিষয় নিয়ে বলছি ।
এখানের পুজো প্যান্ডেলটির ভাবনা ছিল, ডাকাতরা আদিবাসী কালী মন্দিরে কালীপুজো করছে, সে রকম একটি বিষয় । প্রাচীন ভারতে প্রচুর আদিবাসী ছিল। এই আদিবাসীরা সাধারণত গহীন জঙ্গলে বসবাস করত। আর এই গহীন জঙ্গলে অপরাধে লিপ্ত ডাকাতরা গিয়েও আস্তানা করত নিজেদের। আদিবাসী মানুষজন মন্দির করে মা কালীর পুজো করত সবসময়। অন্য দিকে জঙ্গলে থাকা ডাকাতরা কোনো মন্দির তৈরি না করেই আদিবাসীদের করা এইসব মন্দিরে গিয়েই নিজেদের কালী পুজো সম্পন্ন করতো । সেরকম কিছু বিষয় পুরো প্যান্ডেলটাতে সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। যাইহোক, এই প্যান্ডেলটিতে যখন আমি প্রবেশ করি তখনই দেখি, এখানে পাটের দড়ি, বেত, বাঁশের চটা ইত্যাদি উপকরণ দিয়ে বড় সাইজের মাছ বানানো রয়েছে। এগুলো দেখতে বেশ সুন্দরই লাগছিল।
তারপর ভিতরে গিয়ে দেখি অসাধারণ করে ভিতরের সব কিছু করেছে । এই পুজো প্যান্ডেলটি তৈরি করতে নলখাগড়া, বাঁশ,ছন, হোগলা, কাশ, বেত, পাটকাঠি ইত্যাদি অনেক উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছিল। তাছাড়া কিছু কিছু জায়গায় লাইটিংটাও বেশ ভালো লাগছিল। যাইহোক, এখানে জায়গায় জায়গায় আদিবাসী এবং ডাকাতদের মূর্তি বানানো ছিল। মা কালীর প্রতিমাটিও অনেক সুন্দর করে করেছিল এখানে। শিল্পীর নিখুঁত হাতের কাজে সবকিছুই এখানে সুন্দর করে ফুটে উঠেছিল। এই পুজো প্যান্ডেলটি আমার কাছে বেশ ইউনিক লেগেছিল।
এদের থিম বা ভাবনা অনেকটাই আলাদা লেগেছিল অন্যান্য পুজো প্যান্ডেল গুলোর থেকে। আমি পুজো প্যান্ডেলটি দেখতে দেখতে চারপাশের বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। তোমরা এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে এই পুজো প্যান্ডেলটি সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা পেয়ে যাবে। সেদিন এখানে মোটামুটি ১০ থেকে ১২ মিনিটের মতো ছিলাম এবং যতটুক পারি দেখে, আমি অন্য একটি পুজো প্যান্ডেলের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | বারাসাত , ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
ওয়াও দাদা বারাসাতে কালীপুজোয় ঘোরাঘুরি করেছেন এবং সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। খুবই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
https://twitter.com/ronggin0/status/1756191487514349641?t=CBNCK62zbizJDpDZEh31Gw&s=19